Begin typing your search above and press return to search.

‘এক দেশ,এক নির্বাচন’ ইস্যুতে কমিটি গড়বে কেন্দ্ৰঃ মোদি

‘এক দেশ,এক নির্বাচন’ ইস্যুতে কমিটি গড়বে কেন্দ্ৰঃ মোদি

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  20 Jun 2019 9:04 AM GMT

নয়াদিল্লিঃ ‘এক দেশ,এক নির্বাচন’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ইস্যু খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হবে। নয়াদিল্লিতে বুধবার এই বিষয় নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে আলোচনার সময় একথা বলেন প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি। এই বিষয়টি আরও অনুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখার জন্যই কমিটি গড়তে চাইছে কেন্দ্ৰ।

প্ৰতিরক্ষা মন্ত্ৰী রাজনাথ সিং বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান। গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এই বিষয়টি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক চলে প্ৰায় সাড়ে তিন ঘণ্টা। সিং বলেন,বৈঠকে মূলত পাঁচটি প্ৰধান এজেন্ডা নিয়ে কথা হয়েছে। ‘এক দেশ,এক নির্বাচন’ অর্থাৎ দেশে একই সঙ্গে লোকসভা ও সব রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে সর্বদলীয় বৈঠকে। তিনি বলেন,আলোচনা যথেষ্ট ফলপ্ৰসূ হয়েছে বলা যায়। সিপিআই ও সিপিআই(এম)ছাড়া বৈঠকে উপস্থিত অন্যান্য বিরোধী দলগুলি কেন্দ্ৰের এই ধারণার প্ৰতি সমর্থন জানিয়েছে। বৈঠকে এই ইস্যুতে বিরোধী দলগুলির নেতারা নিজের নিজের মতামত তুলে ধরেছেন।

কেবলমাত্ৰ সিপিআই ও সিপিআই(এম)বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেছে। তারা বলেছে’‘এটা কিভাবে রূপায়ণ করা সম্ভব’?-জানান প্ৰতিরক্ষা মন্ত্ৰী রাজনাথ।

৪০টিরও বেশি দলকে এই বৈঠকে আমন্ত্ৰণ জানানো হয়েছিল। এর মধ্যে ২১টি দলের প্ৰধানরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনজন বিভিন্ন কারণে বৈঠকে যোগ দিতে পারছেন না বলে জানিয়েছিলেন-উল্লেখ করেন সিং।

এদিকে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্ৰী এবং বিজু জনতা দল(বিজেডি)প্ৰধান নবীন পট্টনায়ক বুধবারই কেন্দ্ৰের বিজেপি ও এনডিএ জোটের প্ৰস্তাবিত ‘এক দেশ,এক নির্বাচন’ ফর্মুলাটির প্ৰতি তাদের সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন।

‘ঘন ঘন নির্বাচন আয়োজন করতে হলে তা দেশের উন্নয়নে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে এবং যুক্তরাষ্ট্ৰীয় সহযোগিতার গতি রুদ্ধ করে। এজন্যই বিজু জনতা দল ‘এক দেশ,এক নির্বাচন’ প্ৰস্তাবটির প্ৰতি সরাসরি সমর্থন জানিয়েছে’। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দেওয়া-নেওয়ার একটা মনোভাব থাকতে হবে’-বলেছেন পট্টনায়ক।

সংসদ ভবনে প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদির ডাকা সর্ব দলীয় প্ৰধানদের এই বৈঠকে বক্তব্য রাখেন বিজেডি প্ৰধান নবীন পট্টনায়ক। ‘দেশ ও মানুষের স্বার্থে গৃহীত যেকোনও পদক্ষেপের প্ৰতি সমর্থনের হাত বাড়াতে বিজেডি সবসময়ই প্ৰস্তুত এবং ভবিষ্যতেও আমরা এধরনের ভূমিকা অব্যাহত রাখবো’-বলেন বিজেডি সভাপতি। পট্টনায়ক ছাড়াও এদিনের বৈঠকে যোগ দেন বিহারের মুখ্যমন্ত্ৰী নীতিশ কুমার,ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আব্দুল্লা,অকালি দলের সুখবীর সিং বাদল,জিডিপির মেহবুবা মুফতি,অন্ধ্ৰপ্ৰদেশের মুখ্যমন্ত্ৰী জগমোহন রেড্ডি। কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰিসভার তরফে রাজনাথ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন-অমিত শাহ,নীতিন গাড়করি ও জেপি নাড্ডা প্ৰমুখ।

সর্বদলীয় বৈঠকে গরহাজির থাকেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা ব্যানার্জি,বহুজন সমাজপার্টির নেত্ৰী মায়াবতী ও রাহুল গান্ধী সহ একাধিক দল প্ৰধান। মমতা আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন এই বৈঠকে তিনি যাচ্ছেন না। স্পর্শকাতর এই ইস্যু নিয়ে চটজলদি কোনও সিদ্ধান্ত গ্ৰহণের পক্ষপাতী নন মমতা। স্পর্শকাতর এই বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্ৰয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন মমতা। তাড়াহুড়ো করে এবিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া কেন্দ্ৰের পক্ষে ঠিক হবে না-মমতা এই অভিমতও ব্যক্ত করেছিলেন।

এদিনের বৈঠকে মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ বছর জন্মজয়ন্তী পালন করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ‘এক দেশ,এক ভোট’ ইস্যুতে আজ সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন মোদি,যাচ্ছেন না মমতা

Next Story
সংবাদ শিরোনাম