Begin typing your search above and press return to search.

গুয়াহাটির সড়কে দুর্নীতি,৯৭ শতাংশের বেশি ট্ৰাক চালক পুলিশকে ঘুষ দিচ্ছেনঃ সমীক্ষা

গুয়াহাটির সড়কে দুর্নীতি,৯৭ শতাংশের বেশি ট্ৰাক চালক পুলিশকে ঘুষ দিচ্ছেনঃ সমীক্ষা

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  9 March 2020 8:08 AM GMT

গুয়াহাটিঃ ৯৭ শতাংশের বেশি ট্ৰাক চালক গুয়াহাটির মধ্য দিয়ে যাওয়া সড়ক ও হাইওয়েতে তাদের ট্ৰাক চালাচ্ছেন পুলিশকে ঘুষ দিয়ে। সম্প্ৰতি সেভ লাইফ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থার ‘স্ট্যাটাস অফ ট্ৰাক ড্ৰাইভারস ইন ইন্ডিয়া-২০২০’ শীর্ষক এক সমীক্ষায় এই তথ্য প্ৰকাশ্যে এসেছে। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনু্যায়ী,গুয়াহাটির ৯৭.৫ শতাংশ ট্ৰাক চালক এটা স্বীকার করেছেন যে ট্ৰাক চালাতে গিয়ে ট্ৰাফিক ও হাইওয়ে পুলিশকে তাদের ঘুষ দিতে হচ্ছে। তুলনামূলকভাবে সারা দেশে প্ৰায় ৬৭ শতাংশ ট্ৰাক চালক পুলিশকে ঘুষ দিচ্ছেন। যেখানে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে গড় হিসেবে ট্ৰাক চালকরা ৮৪৯ টাকা ঘুষ দিচ্ছেন,সেইক্ষেত্ৰে গুয়াহাটিতে গড়ে পুলিশকে ১৬০৮ টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে বলে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে ১০ জন ট্ৰাক চালকের মধ্যে ৯ জনই বলেছেন নির্দিষ্ট কিছু স্থানীয় গোষ্ঠীকেও তাদের ঘুষ দিতে হচ্ছে।

ট্ৰাক চালকরা আরও বলেছেন,বিভিন্ন চেক পয়েন্টেও তাদের টাকা দিতে হচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট চেকপয়েন্টে ঘুষ দেবার পরও ১০.৭ শতাংশ ট্ৰাক চালক বলেছেন পরবর্তী চেকপয়েন্টেও তাদের অনুরূপভাবে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। প্ৰায় ৬৭.৮ শতাংশ চালক দাবি করেছেন তারা(পুলিশ এবং চালক)প্ৰত্যেক মাসের রশিদও রাখছেন। ওই সমীক্ষায় দেখা গেছে যে সমস্ত পুলিশ কর্মীরা ডিউটিতে থাকছেন তারা চালকদের হাতে একটা নির্দিষ্ট কোড লিখে দিচ্ছেন টাকা দেওয়া বাবদ। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে,শহরের ৮৮ শতাংশ চালক লাইসেন্স সংগ্ৰহের আগে কোনও ড্ৰাইভিং টেস্ট দেননি। তুলনামূলকভাবে সারা দেশে চালকদের এই হার ৩৭.৫ শতাংশ।

অন্যদিকে,৯৯ শতাংশ ট্ৰাকচালক দাবি করেছেন যে এই পেশা গ্ৰহণের আগে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ট্ৰাক চালনায় কোনও প্ৰশিক্ষণ নেননি। তুলনামূলকভাবে সর্বভারতীয় ক্ষেত্ৰে এই হার ৯২ শতাংশ। সমীক্ষায় বলা হয়েছে ৭০ শতাংশের বেশি ট্ৰাক চালক এই পেশায় সন্তুষ্ট নয়।

‘এই সমীক্ষার রিপোর্টটি পুলিশের অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। এমনও অভিযোগ রয়েছে যে ট্ৰাকগুলো অবৈধভাবে কয়লা,মাটি,কাঠ এবং অন্যান্য সামগ্ৰী সহজেই শহরের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ এবং অন্যান্য কর্তাদের ঘুষ দিয়ে-সিদ্ধার্থ গোস্বামী নামে জু রোডের একজন বরিষ্ঠ নাগরিক একথা বলেছেন।

তবে মহানগর পুলিশের একজন বরিষ্ঠ কর্মকর্তা এব্যাপারে ব্যতিক্ৰমী মন্তব্য করেছেন। ‘কিছু পুলিশ কর্মী এধরনের অসাধু কার্যকলাপে জড়িত থাকতে পারেন। তাই বলে সেটা সব পুলিশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যায় না। অনেক পুলিশ কর্মী রয়েছেন যারা প্ৰতিদিনই ট্ৰাক বাজেয়াপ্ত করছেন নিয়ম অমান্য করায় অথবা অবৈধভাবে সামগ্ৰী বয়ে নেওয়ার জন্য-বলেন পুলিশ কর্তাটি।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ রাজ্য বাজেট বিশ্লেষণঃ কি আছে ২০ লক্ষ বেকারের জন্য

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: NDFB-S General Secretary B R Ferenga likely to join UPPL party soon

Next Story
সংবাদ শিরোনাম