রাজ্যে রাষ্ট্ৰীয় সড়কগুলির অবস্থা শোচনীয়

রাজ্যে রাষ্ট্ৰীয় সড়কগুলির অবস্থা শোচনীয়

গুয়াহাটিঃ অসমে রাষ্ট্ৰীয় সড়কগুলির অবস্থা বিভিন্ন স্থানে অত্যন্ত শোচনীয় রূপ নিয়েছে। বর্ষা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সড়কগুলোর অবস্থা যে আরও খারাপের দিকে মোড় নেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কয়েকটি সড়ক সারাইয়ে শম্বুক গতিতে কিছু কাজ হলেও সেগুলি যানবাহন চলাচলের যোগ্য হয়নি।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং পূর্তমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সম্প্ৰতি নয়াদিল্লিতে কেন্দ্ৰীয় ভূতল পরিবহণ ও হাইওয়ে দপ্তরের মন্ত্ৰী নীতিন গাড়করির সঙ্গে দেখা করে অসমের জীবন দেখা স্বরূপ এই সড়কগুলো সারাইয়ে ব্যবস্থা গ্ৰহণ করতে তাঁকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্ৰাস্ট্ৰাকচার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড-এর(এনএইচআইডিসিএল)উত্তর পূর্বাঞ্চলের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অজয় আলুওয়ালিয়া দ্য সেন্টিনেলকে বলেন,‘অসমে রাষ্ট্ৰীয় সড়ক নির্মাণে জড়িত ফার্মগুলির বিষয়ে পর্যালোচনা প্ৰক্ৰিয়ার কাজ আমরা শুরু করছি। এই ফার্মগুলির কয়েকটি কাজ দ্ৰুত লয়ে এগিয়ে নিতে পারছে না। যাদের পারফরম্যান্স খুবই দুর্বল তাদের বিরুদ্ধে আইন অনু্যায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে’। রাষ্ট্ৰীয় সড়কের নগাঁও বাইপাস থেকে ডিব্ৰুগড় বাইপাস পর্যন্ত পাঁচটি স্থানে কাজ আশানুরূপ হয়নি। সূত্ৰটি জানাচ্ছে,এনএইচআইডিসিএল ইতিমধ্যেই তিনটি ফার্মের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিয়েছে। টিকে ইঞ্জিনিয়ারিং কনসরটিয়াম প্ৰাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সিমপ্লেক্স ইনফ্ৰাস্ট্ৰাকচার লিমিটেড এবং গেনন ডামকারলে অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের(জিডিসিএল)এই দুটো ফার্মকেও টার্মিনেশন নোটিশ ইস্যু করেছেন হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ।

ওদিকে টিকে ইঞ্জিনিয়ার কনসরটিয়াম প্ৰাইভেট লিমিটেড টার্মিনেশন নোটিশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।

এই কোম্পানিকে নগাঁও বাইপাস থেকে রাঙাপাড়া পর্যন্ত ১৮.৪ কিলোমিটার ফোর লেন পথ নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়েছিল। এই কাজে খরচের পরিমাণ ধরা হয়েছিল আনুমানিক ১৫৯.২০ কোটি টাকা। এখন পথের এই এলাকায় কাজ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

সিমপ্লেক্স ইনফ্ৰাস্ট্ৰাকচার লিমিটেডকেও টার্মিনেশন নোটিশ দিয়েছে এনএইচআইডিসিএল। রাঙাপাড়া থেকে কলিয়াবর তিনালি পর্যন্ত রাষ্ট্ৰীয় সড়কের ১৮,৩১৫ কিলোমিটার এলাকা নির্মাণের বরাত করাত দেওয়া হয়েছিল এই ফার্মকে। এই কাজের জন্য আনুমানিক ব্যয় ধার্য করা হয়েছিল ১৯৬.৪২ ,কোটি টাকা। কিন্তু পথের ওই এলাকায় একেবারেই শম্বুক গতিতে কাজ চলছে। ওদিকে যোরহাট থেকে মরান বাইপাস অবধি রাষ্ট্ৰীয় সড়কের ১০৮ কিলোমিটার এলাকার কাজ সারার বরাত দেওয়া হয়েছিল গেনন ডামকারলে এবং কোম্পানি লিমিটেডকে জিডিসিএলকে। কিন্তু পথ মেরামতির কাজ সন্তোষ জনক না হওয়ায় এনএইচআইডিসিএল-এর কোম্পানিকে টার্মিনেশন নোটিশ ইস্যু করে।

ওদিকে মার্ঘেরিটা-লিডু সড়কটিও এনএইচআইডিসিএল-এর অধীনে রয়েছে। আলুওয়ালিয়া বলেন,এই পথটির একাংশ নির্মাণ বাবদ প্ৰাথমিক পর্যায়ে ৭৫ লক্ষ টাকা অনুমোদন করা হয়েছিল। তবে এই পথের কাজ শুরু হয়েছে এবং এবছর ২০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com