রাজ্যের সব পুলিশ থানাকে অনেক বেশি শিশু বান্ধব হতে হবে। ন্যাশনাল কমিশন ফর প্ৰোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস(এনসিপিসিআর)রাজ্যের সব থানায় একটা শিশু বান্ধব প্ৰোকস্ট বা রুম সৃষ্টি করার সুপারিশ করেছিল। দিশপুর ওই সুপারিশ সক্ৰিয়ভাবে রূপায়ণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের সব থানায় শিশু বান্ধব রুম সৃষ্টি করা ছাড়াও সরকার সাদা পোশাকের শিশু বান্ধব অফিসারও নিয়োগ করবে, যাতে তারা বিভিন্ন ঘটনার শিকার শিশুদের সঙ্গে বন্ধু সুলুভ মন নিয়ে কথা বলতে পারেন।
এই প্ৰস্তাবের আড়ালে থাকা মূল ধারণাটি হলো,পুলিশ সম্পর্কে শিশুদের মনে যে ভয়ভীতি রয়েছে সেটা দূর করা। অপরাধের শিকার শিশুরা পুলিশের মুখোমুখি হতেই ভয়ে থিথিয়ে যায়। এনসিপিসিআর-এর মতে,শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থায় এধরনের শিশু ও পুলিশ অফিসারের মধ্যে সাধারণত প্ৰথমেই যোগা্যোগ হয়ে থাকে। তাই শিশুদের মন খেকে ভয় ঘোচাতে পুলিশকে শিশু বান্ধব মনোবৃত্তি নিয়েই তাদের পাশ ঘেঁষা প্ৰয়োজন।
এই উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এখানে এক অনুষ্ঠানে ‘আসাম পুলিশ শিশু মিত্ৰ কর্মসূচি’র সূচনা করেন। ইউএনআইসিইএফ আসাম এবং উৎসাহ চাইল্ড রাইটস অর্গনাইজেশনের সহযোগিতায় অসম পুলিশ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পুলিশ এবং শিশুদের মধ্যে দূরত্ব ঘুচিয়ে একটা বন্ধুত্বের ভাব গড়ে তোলাই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য। শিশুদের বিরুদ্ধে হিংসার অবসানে সাংবাদিকদের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানেরও এদিন সূচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়ালক বলেন,শিশুদের অধিকার রক্ষায় সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের একটা মার্জিত মনোভাব নিয়ে তাদের মুখোমুখি হওয়া উচিত। শিশুদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্ৰে এধরনের একটা সুষ্ঠু বাতাবরণ থাকা অত্যন্ত জরুরি-বলেন তিনি।
গত তিন বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্ৰে অসম পুলিশের সাফল্যের তারিফ করে সোনোয়াল বলেন,অসম শিশু মিত্ৰ কর্মসূচি পুলিশের সাফল্যের স্বার্থে আরও একটা পরীক্ষা। মুখ্যমন্ত্ৰী মনে করেন,উপযুক্ত বাতাবরণ সৃষ্টি করতে পারলে শিশুরা বেড়ে ওঠার সু্যোগ পাবে এবং এক একটা শিশু আদর্শ নাগরিক হয়ে উঠবে।
শিশুদের সঙ্গে মেশার সময় পুলিশ কর্মীদের মানবিক হতে এবং সেইসঙ্গে শিশুদের বন্ধু হয়ে উঠতে হবে। পুলিশকে তাদের আচার আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে। শিশুর মনতাত্ত্বিক দিকটিও পুলিশকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। পুলিশকে দয়ালু ও সমঝদার হওয়া চাই।
গুয়াহাটির ভরলুমুখ থানা ২০১৮ সালে প্ৰথম শিশু বান্ধব থানার স্বীকৃতি পাওয়া শিশুদের জন্য ওই থানায় একটি বর্ণিল কক্ষ রয়েছে। থানার ওই রুমে শিশুদের জন্য নানা রঙের চিত্ৰ,ড্ৰইং ও কার্টুন ইত্যাদি আঁকা রয়েছে। একটি টয় জোনও স্থাপন করা হয়েছে থানায়। জুভেনাইল জাস্টিস(শিশুদের দেখভাল ও সংরক্ষণ)আইন অনু্যায়ী ওই থানায় খেলনা জোনটি স্থাপন করা হয়েছে। রাজ্যের অন্যান্য থানায়ও অনুরূপ কক্ষ স্থাপন করা হবে।
গৃহ ও রাজনৈতিক বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ,পুলিশ প্ৰধান কুলধর শইকিয়া,পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল হরমীত সিং এবং ইউনিসেফ-এর প্ৰতিনিধি ড.এশমান আলি হক প্ৰমুখ বক্তব্য পেশ করেন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ এনআরসিঃ ডিসি,এসপিদের সঙ্গে আজ বৈঠক মুখ্যমন্ত্ৰীর
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Government takes step for Assamese film and cinema halls’ improvement | The Sentinel News | Assam N