Begin typing your search above and press return to search.

কর্নাটকে রাজনৈতিক সংকট,বিক্ষুদ্ধ বিধায়কদের পথ করে দিতে ২২ কংগ্ৰেসি মন্ত্ৰীর ইস্তফা

কর্নাটকে রাজনৈতিক সংকট,বিক্ষুদ্ধ বিধায়কদের পথ করে দিতে ২২ কংগ্ৰেসি মন্ত্ৰীর ইস্তফা

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  8 July 2019 1:59 PM GMT

কর্নাটকঃ কর্নাটকে জনতা দল(এস)-কংগ্ৰেসের ১৩ মাস বয়সী জোট সরকারকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। ১৩ জন বিক্ষুব্ধ কংগ্ৰেস-জেডি(এস)বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় জোট সরকার সংকটের মুখে পড়ে। বিক্ষুব্ধ বিধাকদের পথে আনতে আজ ২২ জন কংগ্ৰেসি মন্ত্ৰী ইস্তফা দেন। কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্ৰী জি পরমেশ্বরার পৌরোহিত্যে সোমবার এক বৈঠকের পর মন্ত্ৰীদের পদত্যাগপত্ৰগুলি দল প্ৰধান দীনেশ গুন্ডু রাওয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের শান্ত করতেই পদত্যাগের প্ৰস্তাব করা হয়েছে।

কংগ্ৰেসি মন্ত্ৰীদের সঙ্গে বৈঠকের আগে কর্নাটকের উপ মুখ্যমন্ত্ৰী জি পরমেশ্বরা এই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে সরকার বাঁচাতে যা কিছু প্ৰয়োজনীয় তা অবশ্যই করা হবে। উপ মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন,‘বিজেপি কী করতে চেয়েছে আমাদের তা জানা আছে। প্ৰয়োজন হলে আমরা সবাই একসঙ্গে ইস্তফা দেবো এবং বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের জায়গা করে দেবো।

কংগ্ৰেসের ১০ এবং জনতা দল(এস)এর তিনজন সহ মোট ১৩ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার পরই কর্নাটকের জোট সরকারে সংকট দেখা দেয়। বিদায়ী বিধায়করা পরিষ্কার জানিয়েছেন ১৩ বিধায়কই একসঙ্গে রয়েছেন। পদত্যাগপত্ৰ তুলে নেওয়ার কোনও প্ৰশ্নই ওঠে না বলে তাঁরা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন। কর্নাটকের মন্ত্ৰী এবং নির্দল বিধায়ক এইচ নাগেশ সোমবার পদত্যাগপত্ৰ দাখিল করে জানিয়েছেন যে তিনি এইচডি কুমারস্বামী নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর থেকে তাঁর সমর্থন তুলে নিচ্ছেন। মন্ত্ৰীদের এই আকস্মিক পদত্যাগের সিদ্ধান্ত রাজ্যে জনতা দল(এস)-কংগ্ৰেস সরকারের ওপর একটা বড় ধরনের আঘাত বলে মনে করা হচ্ছে।

পদত্যাগের পিছনে বিজেপির হাত থাকা নিয়েও প্ৰশ্ন উঠেছে। বরিষ্ঠ বিজেপি নেতা তথা প্ৰতিরক্ষা মন্ত্ৰী রাজনাথ সিং বলেছেন,কর্নাটকে যা কিছু ঘটেছে তাতে বিজেপি জড়িত নয়। রাজনাথ বলেন,কর্নাটকে যা কিছু ঘটছে তাতে আমাদের দলের কিছু করার নেই। আমরা কখনোই কোনও সাংসদ বা বিধায়ককে প্ৰলোভিত করিনি। কর্নাটকের ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও লেনদেন নেই’-বলেন রাজনাথ।

তিনি আরও বলেন,‘রাহুল গান্ধীই পদত্যাগের শুরুটা করেছেন। কংগ্ৰেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী কর্নাটকে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টিতে বিজেপি কলকাঠি নাড়ছে বলে সংসদে অভি্যোগ করার প্ৰেক্ষিতেই রাজনাথ ওই মন্তব্য করেন।

শনিবার কংগ্ৰেস-জেডি(এস)-এর ১১ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার পর রাজ্যে জোট সরকারে সংকট ঘনিয়ে আসে। তবে সরকার বাঁচাতে জোট দল চেষ্টায় কোনও ত্ৰুটি রাখছে না। কর্নাটকে জোট সরকারে এর আগেও শরিকদের মধ্যে সংঘাত দেখা দিয়েছিল।

মুখ্যমন্ত্ৰী কুমারস্বামী অভিযোগ করেছেন,বিজেপি তাদের বিধায়কদের ভাঙানোর চেষ্টা করছে। তবে বিজেপি এসব অভিযোগ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে। কর্নাটক বিধানসভায় ১০৫টি আসন পেয়ে বিজেপি একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হলেও শেষ পর্যন্ত কংগ্ৰেস ও জনতা দল(এস)জোটই সরকার গঠন করেছিল। তাই জোট সরকার রাজনৈতিক সংকট থেকে পার পেরে ব্যর্থ হলে রাজ্যপাল বাজুভাই রুদাভাই ভালা বিজেপিকে সরকার গড়ার জন্য আমন্ত্ৰণ জানানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। রাজ্যে সরকার গড়ার জন্য ১০৭টি আসনের প্ৰয়োজন। বর্তমানে কংগ্ৰেস জেডি(এস)জোট এবং বিজেপি কারোরই সংখ্যা গরিষ্ঠতা নেই। কর্নাটকের প্ৰভাবশীল বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী ভি ডি সদানন্দ গৌড়া আশা করছেন রাজ্যপাল সম্ভবত ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বে বিজেপিকে সরকার গড়ার জন্য আমন্ত্ৰণ জানাতে পারেন। টালমাটাল এই পরিস্থিতিতে কর্নাটকে সরকার গড়া সম্ভব কিনা তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। তবে একান্ত যদি সরকার গঢ়া সম্ভব না হয় তাহলে এই রাজ্যে রাষ্ট্ৰপতি শাসনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তথ্যাভিজ্ঞ মহল।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ লোকসভা ভোটে হারের দায় মাথা পেতে নিয়ে কংগ্ৰেস সভাপতি পদে ইস্তফা দিলেন রাহুল গান্ধী

Next Story
সংবাদ শিরোনাম