পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাজনীতির রং চড়ছে

পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাজনীতির রং চড়ছে

গুয়াহাটিঃ পেঁয়াজ নিয়ে আবারও রাজনীতির গন্ধ ছড়াতে দেখা যাচ্ছে। পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার প্ৰতিরোধের পদক্ষেপ নিয়েছে। অন্যদিকে বিরোধী কংগ্ৰেস পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির প্ৰতিবাদে নেমেছে পথে। পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্ৰণে রাখতে না পারায় তারা বিজেপি সরকারকে দুষছে। এই মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে কংগ্ৰেস পথে নামলেও পরিস্থিতির সু্যোগে কংগ্ৰেস রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পেঁয়াজের মূল্য চড়ার সময় প্ৰতিবছরই এই দৃশ্য দেখা যায়। দিশপুরের ক্ষমতায় থাকা দলকে এই ইস্যু নিয়ে গা বাঁচানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে। বিরোধী কংগ্ৰেস আবার এর বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। পেঁয়াজের দর বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ যে অসুবিধায় পড়েছেন কংগ্ৰেসের মুখে তাই এখন ধ্বনিত হচ্ছে। কংগ্ৰেস নেতাকর্মীরা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে এবং পেঁয়াজের মালা গলায় জড়িয়ে রাস্তায় নেমেছেন। তারা এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য শাসক দল বিজেপির ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন। তিন বছর আগে বিজেপি নেতারাও ঠিক এভাবেই পথে নেমেছিলেন এই একই ইস্যুতে। ওই সময় কংগ্ৰেস ছিল দিশপুরের গদিতে।

পেঁয়াজের দর উর্ধ্বমুখী কেন হয়েছে কংগ্ৰেস নেতারা তা ভালই জানেন। কিন্তু তারা অজ্ঞতার ভান করছে। মূল উৎসগুলোতেই যেখানে পেঁয়াজের দর বেড়েছে,সেইহেতু তার প্ৰভাব তো অন্যত্ৰও পড়বে-বলেন একজন বিজেপি নেতা।

তবুও খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ দপ্তরের মন্ত্ৰী ফণীভূষণ চৌধুরী মূল্য নিয়ন্ত্ৰণে রাখতে সম্প্ৰতি বাজারগুলো পরিদর্শন করেছেন। সূত্ৰটি বলেছে,পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি হলেও মন্ত্ৰীর বিভাগ তা প্ৰতিরোধ করার ক্ষেত্ৰে অসহায়। কারণ পেঁয়াজ আবশ্যক পণ্যের মধ্যে পড়ে না।

এরআগে কংগ্ৰেস জমানায়ও ওই সরকারের খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ দপ্তরের মন্ত্ৰী একইভাবে বাজারগুলো পরিদর্শন করেছিলেন। কিন্তু সেই সময়ও পেঁয়াজের দর নিয়ন্ত্ৰণে রাখতে কিছুই করতে পারেনি উৎসস্থানে দাম বাড়ার জন্য।

বাস্তব সত্যটা হচ্ছে পেঁয়াজের জন্য অসমকে উৎপাদনকারী রাজ্যগুলোর ওপরই সম্পূর্ণ নির্ভর করতে হয়। রাজ্যে বছরে বড় জোর ৬০-৭০ মেট্ৰিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। অসমের কৃষকরা পেঁয়াজের চাষ থেকে খুব একটা লাভবান হন না। রাজ্যে প্ৰতি হেক্টর জমিতে ৩.৬ মেট্ৰিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। অথচ দেশের অন্যান্য উৎপাদনকারী স্থানে প্ৰতি হেক্টর জমিতে গড়ে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ১৬.৮ মেট্ৰিক টন।

২০১৩ সালে রাজ্যে প্ৰতি কেজি পেঁয়াজ বিক্ৰি হয়েছিল ৭০-৮০ টাকা দরে। তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ একটা অনিয়ন মিশন নিয়েছিলেন রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে। ওই মিশনের অধীনে ২ হাজার হেক্টর অতিরিক্ত জমি বাছাই করা হয়েছিল পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য। কিন্তু ওই মিশন ততটা ফলপ্ৰসূ হয়নি।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Durga Puja 2019: Durga Puja Preparation at Simoluguri in Sivasagar District

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com