গুয়াহাটিঃ পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট(পূর্তবিভাগ)এখন থেকে সংখ্যা নয়,গুণগত মানের প্ৰতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে এবং আগামি দিনে বিভাগের কাজে কোনও ধরনের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ উচিত হবে না। ঠিকাদারের কাজে গুণগত উৎকর্ষ সাধনের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির প্ৰতি গুরুত্ব আরোপ করে রাজ্যের পূর্তমন্ত্ৰী(পিডব্লিউডি)হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন,স্কুল এবং হাসপাতালে যাওয়ার সব পথগুলি উন্নত করা হবে। তিনি বলেন,‘এধরনের কাজে টাকার অভাব হবে না’। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের চতুর্থ দিন ‘২০১৯-২০ সালে পূর্ত বিভাগের পরিপূরক দাবি মঞ্জুরি সংক্ৰান্ত ভোটিং-এর ওপর আলোচনায় অংশগ্ৰহণ করে মন্ত্ৰী শর্মা বলেন,পূর্ত বিভাগ স্থানীয় ঠিকাদারদের কাজের ওপর আলোকপাত করার এটা চরম সময়,যারা তাদের নিষ্ঠা ও সততার মাধ্যমে ভালো কিছু করে দেখাতে পারবেন। আমাদের মিশন পূর্ণ করতে হলে সংখ্যার চেয়ে গুণগত মানের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতেই হবে। আগামি দিনে অসমে স্থানীয় লোকেদের মধ্য থেকে কমপক্ষেও ৫০০ জন গুণগত মানসম্পন্ন ঠিকাদার অবশ্যই থাকা চাই। আসছে কয়েক বছরে পূর্ত বিভাগকে(পিডব্লিউডি)রাজ্যে আনুমানিক ৫৩০০০ কিলোমিটার পথ নির্মাণ করতে হবে।
‘এব্যাপারে রাজ্যের সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা যাতে কঠোরভাবে পেশার ভিত্তিতে একাজ হাতে নিতে পারেন তারজন্য তাদের পারদর্শী করে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে বিভাগটিকে। প্ৰয়োজন হলে পূর্ত বিভাগ রাজ্যে আগামি দিনের কনট্ৰাকটরদের জন্য একটা পাঠক্ৰম এর ব্যবস্থা করতে পারে’। পূর্ত বিভাগ সংখ্যা থেকে গুণগত মানের প্ৰতি আলোকপাত করার প্ৰয়োজনীয়তা সম্পর্কে মন্ত্ৰী বলেন,সংখ্যা থেকে গুণমানের প্ৰতি গুরুত্ব আরোপ করলে বিভিন্ন নির্মাণমূলক কাজে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন বয়ে আনবে-উল্লেখ করেন তিনি। শর্মা বলেন,ইতিপূর্বে কিছু ঠিকাদারকে আমরা অন্যত্ৰ দায়সারা গোছের কাজ করতে দেখেছি। তারা রাস্তার উপর সিংগল লেয়ার ফেলে কোনও ক্ৰমে কাজ সেরে টাকা নিয়ে গেছেন। তবে ‘এখন থেকে যে সমস ঠিকাদার রাস্তা নির্মাণের কাজ করবেন তাদের পথে হোয়াইট লাইনিং এবং সাইড বাম্পসের কাজ সুনিশ্চিত করতে হবে।
‘অধিকন্তু,এব্যাপারে একটা স্ট্যান্ডার্ড রোড কনস্ট্ৰাকশন এস্টিমেট সিস্টেম থাকা উচিত। এক্ষেত্ৰে গুণগত কাজের জন্য তৃতীয় পক্ষের দ্বারা একটা মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করারও পরামর্শ চলছে।
পূর্ত বিভাগের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার প্ৰসঙ্গে শর্মা বলেন,আগামি অর্থ বছর ‘আসাম মালা’ স্কিমের অধীনে ৫০০০ কিলোমিটার পথ নির্মাণ করা হবে এডিবি(এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক)-এর তহবিলে। এছাড়াও আমাদের সরকারি পরিকল্পনা অনু্যায়ী ১০০০টি কাঠের সেতু কংক্ৰিটে রূপান্তর করা হবে। ইতিমধ্যেই নির্ধারিত সেতুগুলোর মধ্যে ৭০০ টির নির্মাণ কাজ প্ৰায় সম্পূর্ণ হবার পথে। বাকি ৩০০টি সেতুর কাজে হাত দেওয়া হবে ২০২০-২১ সালে। এছাড়াও ২০-২১ সালে ১২৬টি বিধানসভা কেন্দ্ৰের প্ৰত্যেকটিতে ১০ কিলোমিটার পথ ও একটি করে নতুন সেতু নির্মাণের প্ৰস্তাব রাখা হয়েছে। তিনি বলেন তেজপুর মিশন চারালিতে একটি উড়াল সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শিবসাগরে ৫০ কিমি পথ ও নাজিরায় ৪৫ কিমি পথের উন্নতি সাধন করা হবে।
গুয়াহাটিতে চলা বিভিন্ন কাজের প্ৰতি আলোকপাত করে শর্মা বলেন,মালিগাঁও থেকে কামাখ্যা গেট পয়েন্ট পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি উড়াল সেতুর কাজ শুরু হবে তিন মাসের মধ্যে। মালিগাঁও থেকে পাণ্ডু হয়ে কামাখ্যা মন্দির পর্যন্ত বিকল্প পথটি সম্পূর্ণ হবার পথে। লখরায় আরও একটি উড়াল সেতুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গণেশগুড়ি উড়াল সেতুর কাজ এবছর পুজোর আগে সম্পূর্ণ হবে। সুপার মার্কেটের উড়াল সেতুর নির্মাণ কাজ ২০২১-এর পুজোর আগে শেষ হবে-বলেন তিনি।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ রাজ্যে ৩.৬৪ লক্ষ হেক্টর সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমি ২ লক্ষ লোকের জবরদখলে
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Pending dues: Railway Contractors’ Body launched nationwide tool-down strike today