মুম্বইঃ মানহানির মামলা নিয়ে শুনানিকালে মুম্বইয়ের একটি আদালত বৃহস্পতিবার কংগ্ৰেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে দোষ মুক্ত বলে রায় দিল। মানহানির ওই মামলাটি করেছিলেন আরএসএস-এর জনৈক কর্মী। সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে মর্যাদা হানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে আরএসএস কর্মী ওই মানহানির মামলাটি করেছিলেন। বিজেপি ‘আরএসএস-এর আদর্শবাদের’ জন্যই সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ খুন হয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। এই নিয়ে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছিল। ১৫ হাজার টাকার মুলেকায় রাহুলের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছিল।
মামলাটি নিয়ে শুনানি শেষে আজ আদালত থেকে বেরিয়ে কংগ্ৰেস নেতা গান্ধী বলেন,‘আমি আক্ৰমণের শিকার হয়েছি,তবে লড়াইটা আমি কানায় কানায় উপভোগ করেছি’।
রাহুল গান্ধী কংগ্ৰেস সভাপতির পদে আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্তফা দেওয়ার ঠিক একদিন পর মুম্বই আদালত মামলাটি নিয়ে এই রায় দিল। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্ৰেসের দুর্বল পারফরম্যান্সের যাবতীয় দায় মাথা পেতে নিয়ে রাহুল গান্ধী দলীয় সভাপতির পদে ইস্তফা দেন।
তবে বৃহস্পতিবার সকালটা বিদায়ী কংগ্ৰেস সভাপতির কাছে একটা ভিন্ন দিনের স্বাদ এনে দেয়। মামলায় বিজয়ীর হাসি হেসে বেরিয়ে আসতেই বহু কংগ্ৰেস কর্মী ও সমর্থকরা দলীয় পতাকা নেড়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় গান্ধী বলেন,‘এটা ছিল একটা আদর্শবাদের লড়াই। আমি গরিব,কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই আক্ৰমণ জারি থাকবে’। ‘মজা আ রহা হ্যায়-আমি এই লড়াইটা মজ্জায় মজ্জায় উপভোগ করেছি’।
কংগ্ৰেস নেতা আরও বলেন,‘এই লড়াই অব্যাহত থাকবে। গত পাঁচ বছরে আমি যে লড়াই করেছি এখন তার দশগুণ বেশি কঠিন লড়াই লড়বো’। মানহানিকর মামলায় আদালতে গান্ধীর সশরীরে উপস্থিত থাকার সিদ্ধান্তকে অনেকেই আদর্শগত লড়াই হিসেবে মেনে নিয়েছেন।
বুধবার ইস্তফাপত্ৰে রাহুল উল্লেখ করেছেন-‘আমি ব্যক্তিগতভাবে প্ৰধানমন্ত্ৰীর সঙ্গে লড়েছি। লড়েছি আরএসএস এবং প্ৰতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। তারা আমার সব কিছুই দখল করে নিয়েছে। আমার এই লড়ার কারণ হলো আমি ভারতকে ভালবাসি। একটা সময় আমি সম্পূর্ণ একাই রুখে দাঁড়িয়েছি এবং তার জন্য আমি নিজেকে গর্বিত বোধ করি’। ৪৯ বছর বয়সী কংগ্ৰেস নেতা আরও বলেন,তাঁর আদর্শবাদের এই লড়াই আরও গভীরতর হবে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ লোকসভা ভোটে হারের দায় মাথা পেতে নিয়ে কংগ্ৰেস সভাপতি পদে ইস্তফা দিলেন রাহুল গান্ধী