রাজ্যের স্কুলগুলিতে বৃষ্টির জল সংরক্ষণে প্ৰকল্প হাতে নিচ্ছে শিক্ষা বিভাগ

রাজ্যের স্কুলগুলিতে বৃষ্টির জল সংরক্ষণে প্ৰকল্প হাতে নিচ্ছে শিক্ষা বিভাগ

গুয়াহাটিঃ বর্ষার মরশুমে ধেমাজি লখিমপুর,মাজুলি,মরিগাঁও,নগাঁও,ধুবড়ি,বরপেটা,নলবাড়ি এবং দক্ষিণ শালমারা মানকাচর জেলার অধিকাংশ অঞ্চল জলে ডুবে থাকে। বছরের বাকি সময়ে এই অঞ্চলগুলোকে তীব্ৰ জল সংকটের মুখে পড়তে হয়। রাজ্যে বহু স্কুলেও এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হতে দেখা যায়। তাই জল সংকট থেকে পার পেতে শিক্ষা বিভাগ স্কুলগুলোতে বৃষ্টির জল সংগ্ৰহ করে রাখার একটি প্ৰকল্প হাতে নিচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্ৰদের বৃষ্টির জল সংগ্ৰহের কাজে জড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বর্ষার মরশুমে এই স্কুলগুলো জলে ডুবে থাকে। কিন্তু বর্ষা পেরিয়ে যাওয়ার পর এই সব স্কুলে তৃষ্ণা মেটাতে পানীয় জলের তীব্ৰ আকাল সৃষ্টি হয়। ‘দেশের মধ্যে অসম একটা বর্ষণ সিক্ত রাজ্য। সেইহেতু শিক্ষা বিভাগ স্কুলের ছাত্ৰদের নিজেদের ব্যবহারের জন্য বৃষ্টির জল সংগ্ৰহের উদ্দেশ্যে একটি প্ৰকল্প রূপায়ণের চেষ্টা করছে’। শিক্ষা বিভাগের একটি সূত্ৰ একথা জানিয়েছে।

অনেক সময় দেখা যায় বর্ষার মরশুমে বৃষ্টির জল শুধু শুধু ভেসে যায়। স্থানে স্থানে জল জমে বন্যার সৃষ্টি করে। অন্যদিকে,রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বহু স্কুলে পানীয় জল এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য জলের তীব্ৰ আকাল সৃষ্টি হয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে বিভিন্ন স্কুলের টয়লেটে একবিন্দুও জল থাকে না। নিজেদের লাভালাভের কথা বিবেচনা করে বর্ষার মরশুমে এই সব স্কুলে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করার এটাই উপযুক্ত সময়-বলেছে সূত্ৰটি।

ধেমাজি ও লখিমপুর জেলায় বন্যার পর বিভিন্ন স্কুল প্ৰাঙ্গণ বালি ও কাদায় ভরে যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ এই সময় পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে কুয়ো খনন বা টিউবওয়েল বসাতে পারেন না পানীয় জলের সূত্ৰ উদ্ভাবনে। এহেন পরিস্থিতিতে এই সব স্কুলে বৃষ্টির জল ধরে রাখার প্ৰকল্পটি বাস্তবায়িত করা হলে পানীয় জল সংকট থেকে পরিত্ৰাণের সেটাই হবে উত্তম পথ।

বৃষ্টির জল সংগ্ৰহ করে রাখার প্ৰকল্পটি রূপায়ণ করা তেমন ব্যয় সাপেক্ষ অথবা কঠিন কিছু নয়। ‘তবে বৃষ্টির জল ধরে রাখতে হলে স্কুল ও কলেজগুলোতে পরিকাঠামো ও জলধার নির্মাণের ব্যবস্থা করতে হবে’-বলেছে সূত্ৰটি। শিক্ষা বিভাগ পরিকাঠামো যথা স্থানে স্থাপন করবে। তবে জল যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় সেটা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব শিক্ষক ও ছাত্ৰদের। বৃষ্টির সময় স্কুলে ছাদের ওপরে থাকা ট্যাংকের ঢাকনা খুলে রাখার দায়িত্ব ছাত্ৰ,শিক্ষকদের নিতে হবে এবং বৃষ্টির জলে সেটি ভরে যাওয়ার পর ঢাকনা বন্ধ করে দিতে হবে।

উল্লেখ্য,দেশের বিভিন্ন প্ৰান্তেই জল সংকট রয়েছে। প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি সম্প্ৰতি কৃষক এবং সাধারণ জনগণকে বৃষ্টির জল ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। মোদির মতে,এভাবে বৃষ্টির জল সংগ্ৰহ করা হলে বিপদের সময় তা কাজে আসবে।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com