Begin typing your search above and press return to search.

মেঘালয়ে ধস,প্ৰচণ্ড বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস

মেঘালয়ে ধস,প্ৰচণ্ড বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  10 July 2019 1:48 PM GMT

শিলং: মেঘালয়ে বিশেষ করে পুব খাসি পাহাড় জেলায় গত কদিন ধরে অবিশ্ৰান্ত বৃষ্টিপাতের ফলে ধস নামে। একটি গাছ সমূলে উৎপাটিত হয়। মঙ্গলবার শিলং শহরের মালকি এলাকায় ধস নামে। একটি গাছও সমূলে ধরাশায়ী হয়। নংশিলিয়াঙে একটি বেসিক স্কুলের কাছে ধস নামার ঘটনাটি ঘটে। তবে সৌভাগ্য ক্ৰমে এই প্ৰাকৃতিক বিপর্যয়ে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই খবর পাওয়া মাত্ৰই জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের(ডিডিএমএ)একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয়।

পুর খাসি পাহাড়ের ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ(ডিডিএমএ)জানিয়েছেন,মাওলং এবং মৌরিংকেনেং ব্লকের অধীন মাওলিংগাড গ্ৰামেও ধস নামার ঘটনা ঘটেছে। মাওলেংয়ে একটি গাছ সমূলে ধরাশায়ী হয়েছে। জেলার বন কার্যালয়ের একটি কর্মী দল ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন।

এদিকে,পুব খাসি পাহাড়ের জেলাশাসক ম্যাটসিউডরওয়ার নংব্ৰি জানান,আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কতটা হবে তা এখনও হিসেব করা সম্ভব হয়নি। ‘আমাদের একটা দল রয়েছে তারাই ঘটনা স্থলে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করবেন। যদি এজাতীয় ঘটনা গ্ৰামাঞ্চলে হয়ে থাকে তাহলে বিডিও এবং গ্ৰাম সেবকরাই ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করবেন’-বলেন নংব্ৰি। জেলাশাসক আরও বলেন,ডিডিএমএ এধরনের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের কর্মীদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে থাকে।

রাজ্যে বেশ কটা দিন টানা গরমের পর মেঘালয়ের বিভিন্ন স্থানে বর্ষা নেমেছে। কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের(আইএমডি)পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,১১ ও ১২ জুলাই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে প্ৰচণ্ড বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে,পুবখাসি পাহাড় জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং সিইও ডিডিএমএ জনগণের জ্ঞাতার্থে কিছু পরামর্শ ইস্যু করেছেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক জনগণকে এই পরামর্শ দিয়েছেন যে ভারি বৃষ্টিপাতের সময় তারা যেন বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেন। কারণ এসময়ে নদী ও স্ৰোতস্বিনীর সামনে বসবাসকারী মানুষ বন্যার মুখোমুখি হতে পারেন। তাই জেলা কর্তৃপক্ষ জনগণকে এ সময়ে নদী,স্ৰোতধারা,নালা ও কালভার্ট ইত্যাদি থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করে দিয়েছে।

বন্যা কবলিত এলাকা দিয়ে গাড়ি না চালাতে জনগণকে সতর্ক করে দেওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের খুঁটি থেকে দূরে থাকারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। প্ৰচণ্ড বৃষ্টির সময় ছাত্ৰদের নদী অথবা স্ৰোতস্বিনী পারাপার না করতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জেলা প্ৰশাসনের তরফ থেকে। পর্যটকদের নদী,জলধারা এবং জল প্ৰপাতের কাছে ঘেঁষতে বারণ করা হয়েছে।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ অরুণাচলে ভারি বৃষ্টিপাতে অসমের বন্যা পরিস্থিতি খারাপের দিকে মোড় নিয়েছে

Next Story
সংবাদ শিরোনাম