অরুণাচলের ইটানগর থেকে গন্ডার চোরাশিকারি গ্ৰেপ্তার

অরুণাচলের ইটানগর থেকে গন্ডার চোরাশিকারি গ্ৰেপ্তার
Published on

ইটানগরঃ অরুণাচল প্ৰদেশ পুলিশ(এপিপি)এবং অসম বন বিভাগের পূর্ব রেঞ্জ কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানের বন কর্মীরা এক যৌথ অভিযান চালিয়ে রিজেন পেগু(৩০)নামের এক গন্ডার চোরাশিকারি এবং চোরাকারবারিকে শনিবার গ্ৰেপ্তার করেছে।

ইটানগরের পুলিশ সুপার টুমে আম্মো জানান,পেগুর কাছ থেকে কয়েকটি মোবাইল সেটস,বিভিন্ন আপত্তিজনক নথিপত্ৰ ও রেকর্ড ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে কোর্টের নির্দেশে পেগুকে কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানের ইস্টার্ন ফরেস্ট রেঞ্জে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন,ইটানগর পুলিশ এবং অসম বন বিভাগের ইস্টার্ন রেঞ্জ কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানের বন কর্মীরা মামলা নং ইআর/০১,২০১৯-এর ভিত্তিতে অভিযান নেমে পেগুকে আটক করে,আন্তর্জাতিক বাজারে গন্ডারের খড়গ চোরাপাচারের দায়ে।

‘বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্ৰ কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানের বন কর্মীদের একটি দল গত শুক্ৰবার(১৪জুন)বিকেলে নথিভুক্ত ওই মামলাটি নিয়ে আমার কাছে আসেন এবং রিজেন পেগুকে গ্ৰেপ্তার করার ব্যাপারে আমার সাহায্য চান’। এরপরই অরুণাচল পুলিশ এসআই এন নিশান্তের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয় এবং এরপরদিনই যৌথ দলটি পেগুকে গ্ৰেপ্তার করে।

রিজেন অসমের গহপুর জেলার পুলিসমুনিগাঁওয়ের বাসিন্দা দিলিপৌ পেগুর ছেলে। রিজেন ইটানগরের গান্ধী মার্কেট এলাকায় বসবাস করছিল। সে গন্ডারের খড়গ ৩০ লক্ষ টাকায় বিক্ৰি করার রিপোর্ট রয়েছে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন,এই চোরাকারবারের ঘটনায় অরুণাচল প্ৰদেশের কিছু যুবক জড়িত থাকার কথা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তিনি রাজ্যের যুবকদের এধরনের অপরাধজনক ঘটনায় নিজেদের কোনওভাবে না জড়াতে আহ্বান জানান। বরঞ্চ যুবকদের নিজের ক্যারিয়ার ও দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত করার পরামর্শ দেন তিনি।

‘শনিবার এই বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমের কাছে প্ৰকাশ করা হয়নি। ধৃত ব্যক্তির সহযোগীরা অসমের বনকর্মী দলের ওপর আক্ৰমণ শানানোর আশঙ্কা করেই বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল কাজিরঙার বনকর্মীরা স্বস্থানে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত’-বলেন এসপি।

এদিকে অসমের টংলা থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানাচ্ছেন,ভারত-ভুটান সীমান্তের ওদালগুড়ি জেলায় হাতি-মানুষের সংঘাত লেগেই আছে। বুনো হাতির পাল এই জেলায় কৃষ্ণ বর্মন(৪৫)নামের এক ব্যক্তিকে পা দিয়ে পিষে মেরে ফেলে। ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে জেলার ভেরগাঁওয়ের কাছে দেওচুঙ্গায়। এই অঞ্চলে বুনো হাতিরা প্ৰায়ই লোকালয়ে নেমে মানুষের ঘর বাড়ি ভাঙছে। নষ্ট করছে খেতের ফসল। কখনো কখনো হাতিও মানুষের হাতে প্ৰাণ হারাচ্ছে। বনাঞ্চল সঙ্কুচিত হওয়ায় এবং খাদ্যাভাবেই হাতিরা লোকালয়ে নামার প্ৰধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ তিন কট্টর চোরাশিকারি গ্ৰেপ্তার

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com