গুয়াহাটিঃ ২০০৮ সালে গুয়াহাটি সহ বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণে নিহতদের বুধবার রাজ্য জুড়ে স্মরণ করা হয়। বেআইনি সন্ত্ৰাসী সংগঠনের বোমা বিস্ফোরণে গুয়াহাটিতে বহু নিরীহ মানুষকে প্ৰাণ হারাতে হয়েছিল। গুয়াহাটির সিজেএম আদালত চত্বর এবং গণেশগুড়ি উড়াল সেতুর কাছে এই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে নিহতদের স্মরণে বুধবার আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নিহতদের স্মৃতির প্ৰতি শ্ৰদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্ৰী। ২০০৮-এর ওই অভিশপ্ত দিনে গুয়াহাটি,বরপেটা,বঙাইগাঁও ও কোকরাঝাড়ে একই সময়ে ধারা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল সন্ত্ৰাসীরা।
আইনজীবী সংস্থা গুয়াহাটি এবং কামরূপ মহানগর জেলা প্ৰশাসনের তরফ থেকে সিজেএম আদালত চত্বরে এদিন আয়োজিত শ্ৰদ্ধাঞ্জলি কর্মসূচিতে প্ৰথম অংশ নেন মুখ্যমন্ত্ৰী। এরপর তিনি গণেশগুড়ি উড়াল সেতুর নিচে আয়োজিত স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিস্ফোরণে নিহতদের প্ৰতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্ৰদ্ধা জানান। এদিন এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সর্ব ধর্মীয় প্ৰার্থনা সভায়ও অংশ নেন তিনি।
স্মরণ অনুষ্ঠানে সোনোয়াল বলেন,‘২০০৮ সালের ৩০ অক্টোবর ধারাবাহিক বিস্ফোরণে যে সকল নিরীহ মানুষ প্ৰাণ হারিয়েছিলেন তাঁদের স্মৃতিতে আমি শ্ৰদ্ধা জানাচ্ছি’। এই দিনটিতে রাজ্যের পাহাড়,সমতল এবং ব্ৰহ্মপুত্ৰ ও বরাক উপত্যকায় বসবাসকারী প্ৰত্যেক ব্যক্তিকেই সন্ত্ৰাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর শপথ নেওয়া উচিত। সন্ত্ৰাস মুক্ত অসমের জন্যই এই শপথ নেওয়া প্ৰয়োজন। ঐক্য ও ভ্ৰাতৃত্ববোধের মাধ্যমে আমাদের একটা শক্তিশালী সমাজ গড়ে তুলতে হবে-বলেন তিনি। ‘তাই অসমে শান্তির বাতাবরণ সৃষ্টির জন্য আমি প্ৰতিজন ব্যক্তির প্ৰতি অনুরোধ জানাচ্ছি’।
অন্যান্য যে সমস্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা স্মরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা হচ্ছেন শিক্ষামন্ত্ৰী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য,সাংসদ কুইন ওজা,মুখ্যমন্ত্ৰীর আইনি উপদেষ্টা সান্ত্বনু ভরালি,বিধায়ক অতুল বরা,ঋতুপর্ণ বরুয়া,ডিজিপি কুলধর শইকিয়া এবং বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ৩০ অক্টোবর অসমে কালো দিবস হিসেবে পালিত
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: BTAD Army Football League 2019-2020