‘ক্যাব’ নিয়ে সোনোয়াল,হিমন্তকে দুষলেন প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ

‘ক্যাব’ নিয়ে সোনোয়াল,হিমন্তকে দুষলেন প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ

গুয়াহাটিঃ নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিলকে(ক্যাব)আইনে পরিণত করা হবে বলে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহ নেডার বৈঠকে ঘোষণা করার পরপরই মঙ্গলবার এখানে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এর বিরুদ্ধে মুখ কুললেন প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ। কেন্দ্ৰ ফের ক্যাব আনার জন্য যে তোড়জোড় চালাচ্ছে তার জন্য গগৈ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্স সোনোয়াল ও অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে দায়ী করেন। ক্যাব নিয়ে বিরূপ প্ৰতিক্ৰিয়ার জন্য গগৈ সরাসরি মুখ্যমন্ত্ৰী সোনোয়াল ও অর্থমন্ত্ৰী শর্মাকে দোষারোপ করে বলেন,‘বিজেপি-র অসম শাখা যদি ক্যাবের বিরুদ্ধে শাহর সামনে জোরালো প্ৰতিবাদ জানাতো তাহলে কেন্দ্ৰ হয়তো ক্যাবকে আইনি রূপ দেওয়ার প্ৰস্তাবিত বিষয়টি নিয়ে আরও একবার ভেবে দেখতো’।

শহরে অনুষ্ঠিত নেডার চতুর্থ সম্মেলনে মেঘালয়,মিজোরাম,ও নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্ৰীরা সোমবার স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহর সামনে ক্যাব নিয়ে যে উৎকণ্ঠা প্ৰকাশ করেছেন তার জন্য গগৈ তাঁদের প্ৰশংসা করেন। ‘কিন্তু আমাদের মুখ্যমন্ত্ৰী সোনোয়াল ক্যাব নিয়ে টুশব্দও করেননি। উল্টে তাঁকে শাহর প্ৰশংসায় উদ্বেলিত হতেই দেখা গিয়েছে। অসম চুক্তির অন্যতম স্বাক্ষরকারী অতুল বরার নেতৃত্বাধীন অসম গণ পরিষদও(অগপ)নেডার সম্মেলনে ক্যাব ইস্যুটি উত্থাপনই করেনি-বলেন গগৈ। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী আরও বলেন,নেডার সম্মেলনে শাহ যখন ক্যাব আনার প্ৰস্তাব রাখলেন তখন সোনোয়াল ও শর্মা উভয়েই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে গেছেন। এর কারণ হলো তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকা।

তরুণবাবু বলেন,ফের ক্যাব আনা হলে তা উত্তর পূর্বান্চলের জাতীয় জীবনের ব্যাপক ক্ষতি করবে। তাই ক্যাব এর বিরুদ্ধে জন জাগরণ সৃষ্টি করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তাঁর মতে,সোনোয়াল এবং শর্মা উভয়েই আসল সত্যকে জনসমক্ষে চেপে যেতে চাইছেন। স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰীর সামনে মুখ খোলার সাহস তাঁদের নেই-বলেন গগৈ। তিনি বলেন,রাজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা(আসু)সহ বিভিন্ন জাতীয় সংগঠনগুলি ক্যাবের বিরুদ্ধে জন জাগরণ সৃষ্টির জন্য এই মুহূর্তে এগিয়ে আসা প্ৰয়োজন। গগৈর মতে,ক্যাব যদি আইনি রূপ নেয় তাহলে এনআরসি মূল্যহীন হয়ে পড়বে। তিনি বলেন,১৯৭১ সালের ২৪ মার্চকে ভিত্তি বর্ষ ধরে রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)প্ৰস্তুত করা হয়েছে। অথচ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে আইনি রূপ দিতে ভিত্তি বর্ষ হিসেবে ধরা হয়েছে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে পড়শি বাংলাদেশ থেকে আসা প্ৰব্ৰজনকারীদের নাগরিকত্ব দিতেই এই আইন আনার কৌশল রচনা করা হয়েছে বলে গগৈ অভিযোগ করেন।

প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী আরও বলেন,বিদেশি বিতাড়নের জন্য অসমে আন্দোলন হয়েছে,এরপর ১৯৮৫ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছে অসম চুক্তি। চুক্তির ছয় নং দফা রূপায়ণ নিয়ে আলোচনাও চলছে। অথচ অসম চুক্তি স্বাক্ষরকারী অগপ দলের হয়ে অতুল বরা এবং অন্যান্যরাও শাহর সামনে মুখে কুলুপ এঁটে থাকাটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক-বলেন গগৈ। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী গগৈ আরও দাবি করেন,চূড়ান্ত এনআরসি প্ৰকাশের আগেই তিনি বলেছিলেন এনআরসি একটা বর্জ্য কাগজে পরিণত হবে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: 113 grams of brown sugar seized in Nagaon, Two held | The Sentinel News | Assam News

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com