ইটানগরঃ অরুণাচল প্ৰদেশের আকাশ থেকে অদৃশ্য হওয়া ভারতীয় বায়ু সেনার এএন-৩২ বিমানটির কোনও হদিশ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিমানে ৮ জন ক্ৰু এবং ৫ জন যাত্ৰী সহ মোট ১৩ জন ছিলেন। সোমবার দুপুর ১২-২৭ মিনিটে যোরহাটের ররৈয়া বিমানবন্দর থেকে অরুণাচল প্ৰদেশের মেচুকার উদ্দেশে বিমানটি আকাশে ওড়ে। চিন সীমান্ত লাগোয়া অরুণাচল প্ৰদেশের সি ইয়োসি জেলার মেচুকা অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্ৰাউন্ডে অবতরণের আগেই বিমানটি নিখোঁজ হয়। বেলা দেড়টা নাগাদ বিমানটির সঙ্গে গ্ৰাউন্ড স্টাফের শেষবার যোগাযোগ হয়েছিল।
নৌবাহিনীর দূরপাল্লার ম্যারিটাইম রিকনাইসেন্স এয়ার ক্ৰ্যাফট পি৮আই এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার(ইসরো)স্যাটেলাইট নিখোঁজ বিমানের হদিশ খুঁজতে কাজে লাগানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়নি। একথা জানান একজন সরকারি কর্মকর্তা।
প্ৰতিরক্ষা মন্ত্ৰকের মুখপাত্ৰ এবং উইং কমান্ডার রত্নাকর সিং বলেন,নিখোঁজ বিমানের খোঁজে তল্লাশি এবং উদ্ধার অভি্যান জোরকদমে চালানো হচ্ছে। সেনা,ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ এবং বিভিন্ন সরকারি ও অসামরিক সংস্থা তল্লাশি চালাচ্ছে। কিন্তু বিমানের কোনও দেখা মেলেনি এখনো। ইস্টার্ন এয়ারকমান্ডের অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ এয়ার মার্শাল আরডি মাথুর যোরহাট এয়ারফোর্স স্টেশনে বিমানটির তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানে তদারক করছেন। তিনি বিমানের নিখোঁজ বায়ু সেনার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। মাথুর বলেন,ভারতীয় সেনা,ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ এবং অসামরিক সংস্থাগুলি নিখোঁজ বিমানের হদিশ খুঁজতে সম্মিলিতভাবে তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালাচ্ছে।
মাঝ আকাশ থেকে হারিয়ে যাওয়া বিমানের খোঁজে সোমবার সি-১৩০ এবং এএন-৩২ বিমান,দুটি এমআই-১৭(আইএএফ)এবং সেনার এএলএইচ হেলিকপ্টার নামানো হয়। কিন্তু বিমানের কোনও ভাঙা অংশও এখনও পর্যন্ত নজরে আসেনি-বলেন মুখপাত্ৰ সিং। গ্ৰামবাসীরাও উদ্ধারের কাজে অরুণাচল প্ৰদেশের সি-ইয়োমি জেলা প্ৰশাসনকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।