গোয়ালপাড়াঃ গোয়ালপাড়া জেলার ওপর দিয়ে সোমবার রাতেও প্ৰবল ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। এই নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ঘূর্ণি ঝড় জেলার বুকে তিনবার থাবা বসালো। গত শনি ও রবিবারের ঘূর্ণিঝড়ে জেলায় প্ৰভূত ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ওই বিভীষিকার হ্ৰাস না কাটতেই সোমবার ফের জেলার বুকে নেমে আসে প্ৰাকৃতিক বিপর্যয়। সোমবার রাত প্ৰায় ১২টা নাগাদ প্ৰবল ঘূর্ণিঝড় জেলার বুকে রেখে যায় ধ্বংসের ছাপ। প্ৰায় পনেরো মিনিটের এই ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় জেলাবাসীকে। গত ৩০ বছর ঘূর্ণিঝড় জেলার বুকে এত বিধ্বংসী রূপ নিতে দেখা যায়নি। মাটিয়া উন্নয়ন ব্লকের মরনই,মনাকোষা,নেপালিখুটি,কোদালদেওয়া,ডাকাইদল,দলভূজা তিনালি,ভাটিপাড়া,ক্যাম্প বাজার,লুপ্টাচর,সোনাপুর,ডুবাপাড়া,লালাবারি এবং দহিকোটায় ঝড়ের দাপট ছিল ভয়ংকর। মরনইয়ে সৈনিক স্কুলের কাছে পথের ওপর বড় বড় গাছ ভেঙে পড়ে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। প্ৰায় ৪০টির মতো বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে ওই এলাকায়। ইলেকট্ৰিসিটি বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জীব দাস একথা জানান। প্ৰায় ৩০ লক্ষ টাকার সোলার প্যানেল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। সেনাবাহিনীর একটি দল পথ থেকে ভাঙা পাছপালা সরানোর কাজে নেমেছে। ডুবাপাড়া পুলিশ আউট পোস্টের ব্যারাকে ১১ জন কনস্টেবল এবং হোমগার্ড ওই সময় ঘুমোচ্ছিলেন। ঝড়ে ব্যারাকের ছাদ ধসে পড়ে। তবে পুলিশ কর্মীর বরাত জোরে বেঁচে যান। ঝড়ে মরনই পুলিশ স্টেশনের তিনটি পাকা ঘরের বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। ফরেস্ট গেট,বাপুজিনগর ও শালবাড়ি গত তিনদিন থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
প্ৰথম দুদফার ঘূর্ণি প্ৰবাহে রংজুলি রাজস্ব সার্কলের ২৭৯টি বাড়ি,৫১টি বাণিজ্যিক প্ৰতিষ্ঠান ও তিনটি স্কুল বাড়ির প্ৰভূত ক্ষতি হয়। মাটিয়া রাজস্ব সার্কলে ক্ষতি হয়েছে ৫ হাজারটি বাড়ির। প্ৰায় ৬৬০টি পরিবারকে ছাদ নির্মাণের জন্য অস্থায়ী প্লাস্টিক দেওয়া হয়েছে।