রাজ্যে সত্ৰের জমি দখল মুক্ত করতে বিল আসছে

গুয়াহাটিঃ রাজ্যে সত্ৰ সহ ধর্মীয় প্ৰতিষ্ঠানের যে সব জমি দখলদারদের কবলে রয়েছে সেগুলি মুক্ত করতে একটি বিলের খসড়া প্ৰস্তুত করা হয়েছে। আগামি ১৮ জুলাই থেকে অনুষ্ঠেয় বিধানসভার অধিবেশনে এই বিলের খসড়াটি উত্থাপন করা হবে। ব্ৰিটিশ আমলের ভূমি আইন ও নীতির ক্ষেত্ৰে গুরুত্বপূর্ণ পরির্তন আনার লক্ষ্যেই এই বিলটি আনা হচ্ছে।
সূত্ৰটি জানিয়েছে,রাজ্যের রাজস্ব বিভাগ ‘আসাম ল্যান্ড অ্যান্ড রেভিনিউ রেগুলেশন অ্যামেন্ডমেণ্ট বিল ২০১৯’-এর খসড়া প্ৰস্তুত করেছে। সত্ৰ ও ধর্মীয় প্ৰতিষ্ঠানের জমি বেদখল মুক্ত করতে শতাব্দী পুরনো ‘আসাম ল্যান্ড অ্যান্ড রেভিনিউ রেগুলেশন আইন’ ১৮৮৬-র প্ৰয়োজনীয় সংশোধনে বিলটি আনা হচ্ছে। মূল আইনটিতে ধর্মীয় সংস্থা বা দাতব্য প্ৰতিষ্ঠানের জমি বেদখলকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে কোনও কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা দেওয়ার শর্ত সন্নিবিষ্ট ছিল না। তাই প্ৰস্তাবিত বিলটি বিধানসভায় পাস হলে নির্দিষ্ট ধর্মীয় ও দাতব্য প্ৰতিষ্ঠানের জমি দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত করার জন্য যাবতীয় ক্ষমতা জেলাশাসকদের হাতে অর্পণ করা যাবে।
রাজস্ব বিভাগের একজন অফিসার দ্য সেন্টিনেলকে বলেন,শতাব্দী পুরনো ধর্মীয় ও দাতব্য প্ৰতিষ্ঠান সমূহ এই বিলের আওতায় আসবে। তবে নব প্ৰতিষ্ঠিত ধর্মীয় ও দাতব্য প্ৰতিষ্ঠানগুলোর মালিকানাধীন জমিগুলো এই বিলের আওতায় পড়বে না।
সাম্প্ৰতিক হিসেব অনু্যায়ী রাজ্যের প্ৰায় ২৩১ বিঘা ৪ কাটা সত্ৰের জমি অবৈধ দখলদারদের কবলে রয়েছে। সত্ৰের যেসব জমি অবৈধ দখলদারদের কবলে রয়েছে সেগুলির তালিকায় আছে বরপেটা জেলার শ্যামরাই বিগ্ৰহ সত্ৰের ১২১ বিঘা ১৬ লেসা জমি,আউনিআটি সত্ৰ(কামরূপ মেট্ৰো)৫৪ বিঘা,ধেমাজি জেলার চিমেন চাপরির গোজালা সত্ৰের ৬ বিঘা,ধেমাজি জেলার শ্ৰী শ্ৰী নাহরকটিয়া সত্ৰের ১ বিঘা,ধেমাজি জেলার চিমেন চাপরি হলোগুড়ি সত্ৰের ১ বিঘা,বঙাইগাঁওয়ের শ্ৰীঠাকুর আতা সত্ৰের ২০ বিঘা,শ্ৰী শ্ৰী দক্ষিণপাট(যোরহাটের টিয়ক)সত্ৰের ১৫ বিঘা,পেটেকিবারি সত্ৰের(মরিগাঁও)১২ বিঘা ১ কাঠা ১৭ লেসা,যোরহাটের শ্ৰী শ্ৰী গড়মুর সত্ৰের ১ কাঠা ১৯ লেসা এবং ধুবড়ির রামরাই কুঠি সত্ৰের দুই কাঠা ৭ লেসা।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ সত্ৰের জমি দখল মুক্ত করতে জেলাশাসকদের ক্ষমতা দিচ্ছে দিশপুর