গুয়াহাটির যানজট সমস্যাঃ দিশপুরের কাছে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্ৰহণের স্ট্যাটাস রিপোর্ট চাইলো এইচসি

গুয়াহাটির যানজট সমস্যাঃ দিশপুরের কাছে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্ৰহণের স্ট্যাটাস রিপোর্ট চাইলো এইচসি

গুয়াহাটিঃ গৌহাটি হাইকোর্ট মহানগরীতে যানজটের সমস্যা সমাধানে কী ধরনের কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার স্ট্যাটাস ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জানাতে রাজ্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সাতটি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। ২০১৬ সালে আইনজীবী রীতা দাস মজুমদার গুয়াহাটি শহরে যানজটের সমস্যা অধঃপাতে যাওয়া সম্পর্কে হাইকোর্টে জনস্বার্থ সম্পর্কিত একটি মামলা(পিআইএল)দাখিল করেছিলেন। এই পিআইএল নিয়ে গত শুনানির সময় গুয়াহাটিতে যানজটের সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সাতটি কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্ৰহণ সম্পর্কে হাইকোর্ট মোটেও সন্তুষ্ট নয় বলে জানিয়েছে। আর সেজন্য হাইকোর্ট গুয়াহাটিতে যানজটের অবাধ চলাচল ও নিয়ন্ত্ৰণ সুনিশ্চিত করতে বেশকটি আইন থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষগুলো যানবাহনের অবাধ চলাচল সুনিশ্চিত করতে কেন ব্যর্থ হলো তা জানতে চেয়েছে।

ওই জনস্বার্থ মামলায় বিশেষ করে অন্যান্য কিছু ইস্যু সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়েছিল। প্ৰথমত,গুয়াহাটির সিটি বাসগুলো তাদের জন্য বরাদ্দ রুটে কেন চলাচল করে না। দ্বিতীয়ত,সিটি বাস থামার নির্ধারিত পয়েণ্ট থাকা সত্ত্বেও কেন তারা যেখানে সেখানে বাস থামায়। তৃতীয়ত,ট্ৰাফিক নিয়ন্ত্ৰণে বিভিন্ন আইন থাকা সত্ত্বেও সরকার এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষ শহরে সিটি বাসের অবাধ চলাচল কেন সুনিশ্চিত করতে পারছে না। চতুর্থত, শহরে ফুট ব্ৰিজের সংখ্যা এত কম কেন। এসকেলেটর বসানোর ব্যবস্থা করা হলে তা মহিলা ও বৃদ্ধ লোকেদের ব্যবহার করা অসুবিধাজনক হয়ে দাঁড়াবে’।

উল্লেখ করা যেতে পারে ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে একদফা বৈঠকে মিলিত হয়ে গুয়াহাটির যানজট নিরসনে একটা অ্যাকশন প্ল্যান প্ৰস্তুত করতে তাদের বলেছিল। ইতিমধ্যেই একটা বছর কেটে গেছে। কিন্তু আজ অবধি এব্যাপারে কোনও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হয়নি। এরই পরিপ্ৰেক্ষিতে হাইকোর্ট এব্যাপারে অ্যাকশন টেকেন স্ট্যাটাস সম্পর্কে রিপোর্ট দাখিল করতে সরকার ও অন্যান্য সাতটি সংস্থাকে নির্দেশ দেয়। বলা হয়েছে রাজ্যে চলাচলকারী মোট বাহনের ২০ শতাংশ চলে এ শহরে। ২০১৮-র এপ্ৰিল থেকে ২০১৯ এর মার্চ পর্যন্ত শহরে পঞ্জিকৃত গাড়ির সংখ্যা ৯৮,৫৮১টি। গাড়ির সংখ্যা ক্ৰমেই বেড়ে চলায় শহরের রাস্তাগুলিতে তার চাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে। শহরে বিকল্প পথেরও অভাব রয়েছে। তাছাড়া পথ প্ৰশস্ত করার মতো জায়গাও কম।

এক সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গেছে,৬৩ শতাংশ ট্ৰাফিক পুলিশ শহরের রাস্তায় ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা ডিউটি দেন। ৩০ শতাংশ পুলিশ কর্মী ডিউটি দেন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা এবং ৭ শতাংশ ডিউটি দেন দিনে ১৫ ঘণ্টারও বেশি সময়। অন ডিউটিতে থাকা ট্ৰাফিক পুলিশের জন্য তদারকির কোনও ব্যবস্থা নেয়। অনেক ট্ৰাফিক পুলিশ ডিউটির জন্য কাজে গিয়ে সই করার পরই কেটে পড়েন।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Golaghat District Sports officer caught red handed on bribery charges | The Sentinel News

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com