বঙাইগাঁওয়ে কুঞ্জিয়া নদীতে সলিল সমাধি দুই কলেজ ছাত্ৰের

বঙাইগাঁওয়ে কুঞ্জিয়া নদীতে সলিল সমাধি দুই কলেজ ছাত্ৰের

বঙাইগাঁওঃ বঙাইগাঁও জেলায় দুই কলেজ ছাত্ৰের নদীতে ডুবে সলিল সমাধি ঘটার এক হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাত্ৰ দুটি জেলার যোগিঘোপার কাটাকবাড়িতে কুঞ্জিয়া নদীতে স্নান করতে গিয়ে নদীর জলে ডুবে যায়। ছাত্ৰ দুটিকে দারকিভ আহমেদ(১৯)এবং অভয়াপুরির নবজিৎ রায়(২০)নামে শনাক্ত করা হয়েছে।

এই ঘটনার পর এসডিআরএফ দল নদীর ওই এলাকায় তল্লাশি অভি্যানে নামে। নদীর বুকে তল্লাশি চালিয়ে কলেজ ছাত্ৰ দ্বয়ের কোনও হদিশ তারা খুঁজে পায়নি। এভাবেই বৃহস্পতিবারের রাতটা কেটে যায়। তবে শুক্ৰবার(আজ)সকালে এসডিআরএফ দল ফের নদীর বুকে তল্লাশি অভিযানে নামে। অবশেষে এসডিআরএফ কুঞ্জিয়া নদী থেকে ডুবে যাওয়া ছাত্ৰ দ্বয়ের শব উদ্ধার করতে সফল হয়।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে,শাহিদ হুসেন এবং আনিসুর রহমান নামে আরও দুটি ছাত্ৰ দারকিভ ও নবজিতের স্নান করার সময় কুঞ্জিয়া নদীর তীরে ছিল। স্নানরত অবস্থায়ই ছাত্ৰ দুটি নদীর বুকে নিখোঁজ হয়।

উল্লেখ্য,গত ১০ জুন বিকেলে গুয়াহাটির চন্দ্ৰপুরে জাগিরোড কলেজের দুটি ছাত্ৰ এবং চন্দ্ৰপুর হাইস্কুলের একটি ছাত্ৰ ব্ৰহ্মপুত্ৰের জলে ডুবে গিয়েছিল।

প্ৰাপ্ত রিপোর্ট অনু্যায়ী,রঞ্জন ডেকা,ভার্গব ডেকা,তৃষ্ণা কলিতা,অর্চনা ডেকা এবং ধ্ৰুবজ্যোতি হাজরিকা নামে পাঁচ জনের একটি ছাত্ৰদল চন্দ্ৰপুরের জনপ্ৰিয় বনভোজ স্থল ‘তপোবনে’ গিয়েছিল। ছাত্ৰগুলি মহাবাহু ব্ৰহ্মপুত্ৰে সাঁতার দিতে নামে। কিন্তু এর মধ্যে তিনটি ছাত্ৰ নদীর বুকে তলিয়ে যায়। ওই এলাকার স্থানীয় মানুষ এই ঘটনাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে সন্দেহ করেছিলেন। তবে তিন ছাত্ৰের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। পাঁচটি ছাত্ৰের মধ্যে অর্চনা ডেকা ও ধ্ৰুবজ্যোতি হাজরিকা নিরাপদে রয়েছে এবং বন্ধুদের খুঁজে পাওয়ার প্ৰতীক্ষা করেছিল তারা।

এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ দল নিখোঁজ ছাত্ৰদের খোঁজে নদীর বুকে জোর তল্লাশি অভি্যান চালায়। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর উদ্ধারকারীরা রঞ্জন ডেকা ও ভার্গব ডেকার মৃতদেহ নদীর বুক থেকে উদ্ধার করতে সফল হয়। পরবর্তী সময়ে উদ্ধারকারীরা আরও একটি ছাত্ৰের শব খুঁজে পায়।

চন্দ্ৰপুরের এই ঘটনা এক মর্মান্তিক পরিবেশের সৃষ্টি করেছিল। সাঁতার জানা অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা ব্ৰহ্মপুত্ৰে নামতে যেখানে দশবার ভাবেন সে ক্ষেত্ৰে অল্পবয়সী ছাত্ৰরা এধরনের ঝুঁকি নেওয়ার প্ৰবণতাই দুর্ঘটনার কারণ হয় দাঁড়াচ্ছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করেন। এধরনের ঝুঁকি নেওয়া থেকে ছাত্ৰছাত্ৰীদের নিরস্ত করতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে এই মহলটির অভিমত।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ইউক্ৰেনে জলে ডুবে মৃত্যু অসমের যুবকের

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com