ধুবড়ি গার্লস কলেজের অস্থায়ী জেল থেকে কয়েদি ফেরার

ধুবড়ি গার্লস কলেজের অস্থায়ী জেল থেকে কয়েদি ফেরার

গুয়াহাটিঃ রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয় রূপ ধারণ করায় ধুবড়ি জেলা কারাগার অন্যত্ৰ স্থানান্তর করা হয়। বন্যার ছোবল থেকে কয়েদিদের বাঁচাতে কারাগার স্থানান্তর করা হয় ধুবড়ি গার্লস কলেজ বিল্ডিঙে। একই সঙ্গে কারাগারের মোট ৪০৯ জন কয়েদিকে ওই কলেজ বিল্ডিঙে নিয়ে যাওয়া হয়। কলেজকে জেলে রূপান্তরের সু্যোগ নিয়ে একজন কয়েদি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায়।

ধুবড়ির বন্যা পরিস্থিতি এতোটাই শোচনীয় যে মূল জেল চত্বরের পুরোটাই এখন বন্যার জলে ভাসছে। কলেজ বিল্ডিঙে কারাগার স্থানান্তর করা হলেও বিল্ডিঙের গ্ৰাউন্ড ফ্লোর জলে ডুবে রয়েছে। খবরে প্ৰকাশ,জেলা কারাগার বানভাসি হওয়ায় কর্তৃপক্ষ কিছুদিনের জন্য কয়েদিদের কলেজ বিল্ডিঙে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। স্থানান্তরের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা একটু চিলেঢালা হওয়ায় এবং পরিবেশ হঠাৎ করে পাল্টে যাওয়ায় এক কয়েদি পালাবার সুবর্ণ সু্যোগ পেয়ে যায়। ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত এই কয়েদি বিচারাধীন ছিল। কারাগার কলেজ বিল্ডিঙে স্থানান্তরের একদিন পর বুধবার সাত সকালে বিচারাধীন কয়েদিটি কলেজ বিল্ডিং থেকে পালিয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ পরে ওই ফেরার কয়েদিটিকে শনাক্ত করেছেন। বিচারাধীন কয়েদির নাম হাফিজুর রহমান। হাফিজুর কলেজ ভবনের জানলার গ্ৰিল ভেঙে জলে সাঁতার দিয়ে ওই এলাকা থেকে উধাও হয়ে যায়।

রাজ্য পুলিশের ডিআইজি(পশ্চিম রেঞ্জ)জানিয়েছেন,এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। তদন্তকারী একজন পুলিশ আধিকারিক বলেছেন,হাফিজুর কলেজ বিল্ডিঙের জানলা দিয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছে। কয়েকদিনের জন্য মূল কারাগার থেকে কয়েদি স্থানান্তর করার পর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ঠিকই,কিন্তু একটা কলেজ বিল্ডিং নিরাপদ কারাগার কখনোই হতে পারে না। হাফিজুর নামের ওই কয়েদি কলেজের জানলার গ্ৰিল ভেঙে অন্ধকারের সু্যোগে পালিয়ে গেছে। পলাতক কয়েদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে পুলিশ আধিকারিকটি বলেন,রহমান ধুবড়ি জেলার ছাগল চরা পার্ট-২ গ্ৰামের বাসিন্দা। ধর্ষণের দায়ে এক বছর আগে তাকে গ্ৰেপ্তার করেছিল পুলিশ।

সারা রাজ্যের সঙ্গে ধুবড়িও ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছে। এ সময় বিদ্যুৎ ঘাটতি ছাড়াও অন্যান্য সমস্যাও চাড়া দিয়ে উঠেছে।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com