চিরাং: চিরাঙের জেলা বিচার বিভাগীয় আদালত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত ২০ জন অভি্যুক্তকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে সম্প্ৰতি। চিরাঙে একই পরিবারের একটি দেড় বছরের শিশু সহ চারজনকে নৃসংশভাবে হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল ওই ২০ জন ব্যক্তি। প্ৰাপ্ত রিপোর্ট অনু্যায়ী,২০০০ সালের ২ ডিসেম্বর ঘটেছিল এই নারকীয় হত্যাকান্ড। চিরাং জেলার ঢালিগাঁও থানার অধীন ভাইখুনগাঁওয়ে অভি্যুক্ত ওই ২০ জন ব্যক্তি একই পরিবারের জরিনা খাতুন,সম্ৰাট বেগম,সুরমান আলি এবং নুর মহম্মদ নামের চারজন ব্যক্তি নৃশংসভাবে খুন করেছিল। অভিযুক্তরা পুড়িয়ে ফেলেছিল এদের ঘরবাড়িও।
এদিকে সূত্ৰটি জানিয়েছে,দুটো পরিবারের মধ্যে কোন্দলের পরিণতিতেই ঘটেছিল ওই হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনার পরিপ্ৰেক্ষিতে নজরুল হক নামের এক ব্যক্তি ঢালিগাঁও থানায় একটি মামলা(নং ৮৩/২০০০)রুজু করেছিলেন। হত্যাকাণ্ডের দিন হক বাড়িতে ছিলেন না বলে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ড মামলার রায় ঘোষণাকালে জেলা বিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারপতি দিব্যজ্যোতি মহন্ত ভারতীয় দণ্ড বিধি আইনের ৩০২/৪৩৬/১৪৭/১৪৮/৪৪৮ ধারার অধীনে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে ২০ জন ব্যক্তিকে দোষী ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত দোষীদের ইকাবুর মণ্ডল(৪৮),নায়ের আলি(৪৯),আব্দুল গফর(৫৬),মুজিবুর রহমান(৪৫),রিয়াজউদ্দিন আলি আহমেদ(৪৯),রহমত আলি(৪৮),সামাত আলি(৩৮),সামসুল আলি(৩২),ইমান আলি মণ্ডল(৬১),আনোয়ার আলি শিকদার(৪৬),আমজদ আলি মণ্ডল(৭০),আনোয়ার আলি মণ্ডল(৩৫),আব্দুল রহিম মণ্ডল(৪১),ওয়াজেদালি মণ্ডল(৫৭),নবাব আলি মণ্ডল(৫৬),তাহের আলি মণ্ডল(৩৫) ও সাতেক আলি মণ্ডল(৪৭) নামে শনাক্ত করা হয়েছে।
দোষীরা উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবে বলে জানিয়েছেন সরকারি কৌঁশুলি ড্যানিয়েল দাস। পরে চিরাং জেলার কাজলগাঁও কোর্ট থেকে দোষীদের একটি বাসে করে কোকরাঝাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতে ৩৬ বছর পর আবার আইনজীবীর বেশে তরুণ গগৈ
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: AATASU staged protest against the Citizenship Amendment Act. 2019 in Golaghat