১৮ নভেম্বরের আগে রাজ্যের ভোটারদের নাম পরীক্ষা করার আহ্বান সিইও মুকেশ চন্দ্ৰ সাহুর

গুয়াহাটিঃ কামরূপ(মেট্ৰো)সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ভোটাররা ভোটার ভেরিফিকেশন কর্মসূচিতে(ইভিপি)এখনও পর্যন্ত সন্তোষজনকভাবে সাড়া দেননি। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্যের নির্বাচন বিভাগ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের(ডিইও)নির্দেশ দিয়েছে বিএলও পর্যায়ের অফিসারদের কাজে লাগাতে,যাতে বিএলওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের নাম ও অন্যান্য তথ্যাদি যাচাই করতে পারেন। যে সকল ভোটাররা অনলাইনে নিজেদের নাম রেজিস্ট্ৰেশন করেননি তাদের ক্ষেত্ৰেই এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হচ্ছে। ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের(ইসিআই)এক নির্দেশিকার প্ৰেক্ষিতেই এই ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হয়। তবে রাজ্যের সমস্ত ভোটারদের ১৮ নভেম্বরের মধ্যে অনলাইনে নিজেদের নাম পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। এখানে দ্য সেন্টিনেলের সঙ্গে কথা বলার সময় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক(সিইও)মুকেশ চন্দ্ৰ সাহু বলেন,‘সব ভোটাররা অনলাইনে ভোটারস হেলপলাইন মোবাইল অ্যাপে ডাউনলোডিং করে নিজেদের নাম পঞ্জীয়ন করতে পারেন।
গুগল প্লেস্টোর অথবা সরকারি ওয়েবসাইটঃ https://www.nvsp.in.–এর মাধ্যমেও ভোটাররা নাম পঞ্জিয়ন করতে পারবেন।
সূত্ৰটি জানিয়েছে,রাজ্যের মোট ভোটারের ৮৫ শতাংশ এপর্যন্ত তাদের নাম পরীক্ষা করেছেন। ইলেকশন কমিশন অব ইন্ডিয়ার এই পদক্ষেপের প্ৰতি যে জেলাগুলির ভোটাররা সবচেয়ে কম সাড়া দিয়েছেন সেগুলি হচ্ছে কামরূপ(মেট্ৰো)মাত্ৰ ৬৪ শতাংশ,কামরূপ ৭০ শতাংশ,শোণিতপুর ৭৪ শতাংশ,মরিগাঁও ও দরং প্ৰতিটি ৭৬ শতাংশ।
কামরূপ(মেট্ৰো)ভোটাররা অনলাইন রেজিস্ট্ৰেশনে সবচেয়ে কম সাড়া দিয়েছেন। সূত্ৰটি জানিয়েছে,অনেক ক্ষেত্ৰে এমনও উদাহরণ দেখা গেছে যে বিএলওরা ভোটারদের অবস্থান খুঁজে পাননি। তাছাড়া অনেক ভোটারই বাড়িও পাল্টেছেন।
অন্যদিকে ডিমা হাসাও ও কার্বি আংলং জেলার একশো শতাংশ ভোটারই তাদের নাম পঞ্জিয়ন করে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। অনুরূপভাবে ৮টি বিধানসভা কেন্দ্ৰের একশো শতাংশ ভোটারই অনলাইনে নিজেদের নাম পরীক্ষা করেছেন। এই কেন্দ্ৰগুলি হচ্ছে বটদ্ৰবা,ডিগবয়,ডিফু,গোলাঘাট,হাফলং,হাওরাঘাট,লাহোয়াল এবং তিনসুকিয়া। ভোটারদের নিজের নাম,ছবি ইত্যাদির ক্ষেত্ৰে কোনও ভুলচুক থাকলে তা শুদ্ধ করার জন্য এই সু্যোগ দিয়েছে ইভিপি। নতুন ভোটাররাও এই কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের ’নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সু্যোগ পাচ্ছেন।
ভোটার তালিকায় নাম পরীক্ষা ও বিস্তারির তথ্যের জন্য ইসিআই সাতটি নথি আগেই অনুমোদন করেছিল। পাসপোর্ট,ড্ৰাইভিং লাইসেন্স আধার কার্ড,রেশন কার্ড,সরকারি ও অর্ধ সরকারি কর্মীদের আইডেনটিটি কার্ড,ব্যাংক পাসবুক,কৃষক আইডেনটিটি কার্ড। এছাড়াও আরও তিনটি নথি ভোটারদের বিস্তারিত তথ্য জানার ক্ষেত্ৰে প্ৰযোজ্য। এই নথিগুলো হচ্ছে প্যান,আরজিআই-র ইস্যু করা স্মার্ট কার্ড এবং জল-টেলিফোন,ইলেকট্ৰিসিটি,গ্যাস কানেকশন বিল ইত্যাদিও প্ৰযোজ্য হচ্ছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ দিশপুর ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করলেও সরকারি কার্যালয়ে কর্মসংস্কৃতি আজ তলানিতে!
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Wild Jumbo in Goalpara which claimed 5 Human Lives, Tranquilized