লখনৌয়ের ইমামবাড়ায় ছোট পোশাক পরে ঢোকা যাবে না,নির্দেশ জেলা প্ৰশাসনের

লখনৌয়ের ইমামবাড়ায় ছোট পোশাক পরে ঢোকা যাবে না,নির্দেশ জেলা প্ৰশাসনের

লখনৌঃ কোনও পর্যটকের লখনৌয়ে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকতেই পারে। কারণ নবাবি আমলের বহু দর্শনীয় ঐতিহাসিক সৌধ ও কীর্তি চিহ্ন রয়েছে লখনৌ-এর বুকে। লখনৌয়ের ইমামবাড়া মসজিদ দর্শনে পর্যটকরা যাবে না,তাই কখনো হয়,বিশেষ করে এই শহরে বেড়াতে এসে। তবে ইমামবাড়ায় যাওয়ার আগে পোশাক নিয়ে দর্শকদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। ভদ্ৰ ও মার্জিত পোশাক সম্পর্কে বিশেষ করে মহিলাদের সচেতন থাকতেই ফতোয়া জারি করেছে জেলা প্ৰশাসন। ছোটোখাটো বা চিলতে পোশাক পরে ইতিহাস প্ৰসিদ্ধ ইমামবাড়া মসজিদে প্ৰবেশ করা যাবে না। মার্জিত ও শরীর ঢাকা পোশাক ছাড়া কোনও মহিলা এই মসজিদে ঢুকতে পারবেন না। লখনৌয়ের জেলা ম্যাজিস্ট্ৰেট(ডিএম)কৌশল রাজ শর্মা জারি করেছেন এই ফতোয়া। জেলাশাসকের জারি করা এই ফতোয়া নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়েছে।

উত্তর প্ৰদেশের লখনৌয়ের দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বড়া ইমামবাড়া ও ছোট ইমামবাড়া। জেলা ম্যাজিস্ট্ৰেটের ওই নির্দেশের প্ৰেক্ষিতে এখন থেকে খোলা মেলা পোশাক পরে কোনও মহিলা ওই মসজিদে আরও ঢুকতে পারবেন না। জেলা ম্যাজিস্ট্ৰেট সম্প্ৰতি শিয়া সম্প্ৰদায়ের মৌলবাদীদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। ওই বৈঠকের পর কৌশল রাজ শর্মা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেন ছোট স্কার্ট বা টপ ইত্যাদি খোলামেলা পোশাক পরে কোনও মহিলা ইমামবাড়ায় ঢুকতে চাইলে তাকে মসজিদের ভেতরে ঢুকতে তো দেওয়া হবেই না,উল্টে মসজিদ দর্শনে বঞ্চিত হয়ে সংশ্লিষ্ট মহিলাকে ফিরে আসতে হবে।

মসজিদে ঢুকতে হলে মহিলাদের শরীর পুরোপুরি আচ্ছাদিত এবং মার্জিত ও রুচিশীল বস্ত্ৰ পরে আসতে হবে।

জেলা প্ৰশাসনের ব্যাখ্যা অনু্যায়ী প্ৰায় দুই শতাব্দী প্ৰাচীন এই মসজিদের পবিত্ৰতার কথা মাথায় রেখেই ওই বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়েছে। মসজিদ চত্বরে কোনওরকমের ফোটোগ্ৰাফি ও ভিডিওগ্ৰাফিও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্ৰশাসন। মসজিদের নিরাপত্তারক্ষী ও গাইডদেরও এবিষয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্ৰশাসনের পক্ষ থেকে। পর্যটক বা দর্শকরা মসজিদে প্ৰবেশের সময় তাদের পোশাক আসাকের প্ৰতি কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে নিরাপত্তা রক্ষীদের।

ফতোয়া জারির কারণ সম্পর্কে স্থানীয় সূত্ৰে জানা গিয়েছে যে,লখনৌয়ের শিয়া মৌলবী ও স্থানীয় সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি এবং উত্তর প্ৰদেশের মুখ্যমন্ত্ৰী যোগী আদিত্যনাথের কাছে একটি চিঠি দিয়ে মসজিদে ঢোকার জন্য মার্জিত পোশাক চালু করার দাবি করা হয়। এরপরই জেলা প্ৰশাসন ফতোয়াটি জারি করে। তবে পোশাকের ক্ষেত্ৰে এই নিষেধাজ্ঞা চাপানোয় মসজিদে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা হ্ৰাস পাবে বলে অনেকে মনে করছেন। ১৭৮৪ সালে অবধের নবাব আসাদ উদ দৌলা লখনৌ-এর বড়া ইমামবাড়া নির্মাণ করেছিলেন। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া(এএসআই)ইমামবাড়া মসজিদদ্বয়কে ইতিমধ্যেই সংরক্ষিত স্থান হিসেবে ঘোষণা করেছে।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ লখনৌয়ে মনোনয়নপত্ৰ দাখিল করলেন রাজনাথ

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com