চাকমা,হাজং শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করবো আমরাঃ খান্ডু

চাকমা,হাজং শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করবো আমরাঃ খান্ডু

ইটানগরঃ অরুণাচল প্ৰদেশের মুখ্যমন্ত্ৰী পেমা খান্ডু বুধবার বলেছেন,রাজ্যে চাকমা ও হাজং শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরুদ্ধে তাঁর সরকার সব রকমের প্ৰস্তুতি নিয়েই আইনি লড়াই করবে।

চাকমা,হাজং শরণার্থীদের নাগরিকত্ব মঞ্জুর করা নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্ৰের তরফে সুপ্ৰিমকোর্টে দাখিল করা রিভিউ পিটিশনের অবস্থান সম্পর্কে কংগ্ৰেস বিধায়ক নাবাম টুকি ও ওয়ানলিং লোয়াংডং বিধানসভায় জিরো আওয়ারে প্ৰশ্ন উত্থাপন করলে খান্ডু তার জবার দিচ্ছিলেন। মুখ্যমন্ত্ৰী জানান,এব্যাপারে ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর শীর্ষ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ২০১৫ সালের ২৬ অক্টোবর রিভিউ পিটিশনটি দাখিল করেছিল। উল্লেখ্য,সুপ্ৰিম কোর্ট ২০১৫-র ১৭ সেপ্টেম্বর চাকমা ও হাজংদের নাগরিকত্ব দেওয়ার রায় দিয়েছিল। কিন্তু ওই বছরের ১৯ নভেম্বর এই ইস্যু নিয়ে শুনানিকালে ওই রায় খারিজ করে দিয়েছিল কোর্ট। ‘রাজ্য সরকার ২০১৬-র ১৪ সেপ্টেম্বর একটি বিশেষ লিভ পিটিশন দাখিল করে যা সুপ্ৰিম কোর্ট গ্ৰহণ করেছিল এবং বিষয়টি শুনানির অপেক্ষায় ছিল’। মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, ১৯৯৬ সালের ৯ জানুয়ারি শীর্ষ আদালতের এক রায়ের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার রাজ্যের চাংলাং নামসাই এবং পাপুমপারে জেলায় বসবাসকারী চাকমা-হাজং শরণার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা,স্কুল,বিদ্যুৎ এবং জল ইত্যাদির মতো ন্যূনতম সু্যোগ সুবিধাগুলি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকরী হওয়ার পর চাকমা-হাজং শরণার্থীরা নিজেদের রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা দাবি করে শীর্ষ আদালতে পিটিশন দাখিল করার সম্ভাবনা সম্পর্কে লোয়াংডং মুখ্যমন্ত্ৰীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খান্ডু জবাবে বলেন,রাজ্যে সরকার এর বিরুদ্ধে ‘সমস্ত রকম প্ৰস্তুতি’ নিয়েই আইনি লড়াই লড়বে। চাংলাং জেলায় শরণার্থীদের বনাঞ্চলের জমি দখল এবং অবৈধভাবে গাছ কাটার ইস্যু নিয়ে অন্য একটি পরিপূরক প্ৰশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্ৰী জানান,আগামি ১০ জানুয়ারি মুখ্য বন সংরক্ষক ও অন্যান্য বন কর্তাদের নিয়ে তিনি একটা পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে এবং আইন অনু্যায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খান্ডু বলেন,চাকমা ও হাজংদের নাগরিকত্বের সমস্ত আবেদনে নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়েছে। তবে বিষয়টি এখন স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। ‘২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর শীর্ষ আদালতের নির্দেশিকা আনু্যায়ী শরণার্থীদের মোট ৪৬৩৭টি নাগরিকত্বের আবেদনে রাজ্য সরকার নেতিবাচক মন্তব্য করে তা স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰকের কাছে পাঠিয়েছে’-বলেন খান্ডু। অন্য এক পরিপূরক প্ৰশ্নের জবাবে খান্ডু বলেন,চাংলাং,নামসাই ও পাপুমপারে এই তিন জেলার জেলাশাসকদের চালানো জরিপ অনু্যায়ী চাকমা ও হাজংদের মোট জনসংখ্যা হচ্ছে ৬৫,৮৭৫ জন। তিনি আরও জানান রাজ্যে মোট ৭০৭২ জন তিব্বতী শরণার্থীও রয়েছে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Torch Relay of 3rd Khelo India Youth Games reaches Tinsukia

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com