কোরোনা ভাইরাস অত্যন্ত মারাত্মক। ভারতেও ধরা পড়েছে কোরোনা ভাইরাসের উপস্থিতি। চিনে এই কোরোনা ভাইরাস অত্যন্ত মারাত্মক। এই ভয়ংকর ভাইরাসের কোনও ভ্যাকচিন আবিষ্কৃত হয়নি এখনও এবং এর কোনও চিকিৎসা পদ্ধতিও নেই। চিনে এই ভাইরাস দ্ৰুত ছড়াচ্ছে। জানা গিয়েছে,এপর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্ৰান্ত হয়ে চিনে কমপক্ষেও ৮০ জন ব্যক্তি প্ৰাণ হারিয়েছেন।
এখন ভারতেও ধরা পড়েছে এই ভাইরাসের উপস্থিতি। রাজস্থানের একজন যুবক এই ভাইরাসে আক্ৰান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে,এই যুবকটি চিনে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অধ্যয়নরত ছিল। তবে যুবকটিকে ইতিমধ্যেই চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে এবং তাকে চিকিৎসালয়ের একটি পৃথক ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয় ভারতের পাটনাতেও এই ভাইরাসের অবস্থিতি ধরা পড়েছে। জানা গেছে,এই ভাইরাসের কেন্দ্ৰ বিন্দু চিনের ইউহান প্ৰদেশ। এই ভাইরাসে ওই দেশে এখনও পর্যন্ত ২৩০০ জন ব্যক্তি আক্ৰান্ত হয়েছেন।
কোরোনা ভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন নেই যদিও এর কিছু লক্ষণ ধরা পড়েছে।
কি এই কোরোনা ভাইরাস-এই ভাইরাস প্ৰাকৃতিকভাবেই ছড়িয়ে পড়ে। অত্যন্ত দ্ৰুতগতিতে ছড়ায় এই ভাইরাস।
এই ভাইরাসের লক্ষণ হলো,ভাইরাস সংক্ৰামিত হওয়ার ১৪ দিন পরই এই ভাইরাসের লক্ষণ সমূহ ফুটে ওঠে। এটা নিউমোনিয়ার মতো অনেকটা। ভাইরাস সংক্ৰামিত হওয়ার পর সর্দি,জ্বর,গলায় ব্যথা,শ্বাস কষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। এটা একটা আরএমএ ভাইরাস। এরফলে শরীরের ভিতরের কোষগুলো ভেঙে যায়।
খবরে প্ৰকাশ,কোরোনা ভাইরাস বিশ্বের প্ৰায় দশটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাস মানুষ,শূকুর,মুরগি,কুকুর,বিড়াল এবং অন্যান্য জীনজন্তুর শরীরেও সংক্ৰামিত হতে পারে। এই ভাইরাস কাসি এবং হাঁচির মাধ্যমে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের প্ৰতিষেধক উদ্ভাবনে লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
প্ৰতিরোধের ব্যবস্থা নিয়ে এই মুহূর্তে যথেষ্ট সচেতন কেন্দ্ৰীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। চিন থেকে ফিরে আসা যাত্ৰীদের স্বাস্থ্যের বিশেষ পরীক্ষা চালানো হচ্ছে বিমান বন্দরগুলোতে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ সরকারি চাকরি পেতে হলে প্ৰার্থীদের দশম শ্ৰেণি পর্যন্ত অসমিয়া বিষয় থাকতে হবেঃ হিমন্ত
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: AASU launched hunger strike to stage protest against CAA 2019