Begin typing your search above and press return to search.

নুমলিগড়ে বুনো হাতির তাণ্ডব,আতঙ্কিত গ্ৰামবাসী

নুমলিগড়ে বুনো হাতির তাণ্ডব,আতঙ্কিত গ্ৰামবাসী

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  6 July 2019 10:03 AM GMT

নুমলিগড়ঃ নুমলিগড়-মোরঙি এলাকার অধিকাংশ অঞ্চলে গত কয়েক বছর ধরে বুনো হাতির ত্ৰাস চলছে। খাদ্য ও বাসস্থানের অভাবে বুনো হাতির পাল প্ৰায়ই হানা দিচ্ছে লোকালয়ে। ভাঙছে মানুষের ঘর বাড়ি,নষ্ট করছে মাঠের ফসল। গত বুধবার রাতে এক দঙ্গল বুনো হাতি নুমলিগড় বুখিয়াল ফরেস্ট রেঞ্জের অধীন সায়মরাইপুর গ্ৰামে ঢুকে প্ৰচণ্ড ত্ৰাস সৃষ্টি করে।

হাতিরা গ্ৰামের দুটি বাড়ি ভেঙে ফেলে। ওই দুটি বাড়ির মালিক হলেন সুমন এক্কা এবং বিরুয়া ভুটানি। হাতিরা ধানের খেতে ঢুকে চারগাছগুলো নষ্ট করে। ওই এলাকার স্থানীয় মানুষের মতে,হাতিদের গ্ৰামে ঢোকার খবর তারা বন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বন বিভাগের তরফ থেকে প্ৰয়োজনীয় কোনও ব্যবস্থাই গ্ৰহণ করা হয়নি। তবে গ্ৰামের মানুষ অনেক চেষ্টার পর হাতিগুলিকে ওই এলাকা থেকে তাড়াতে সফল হন। গ্ৰামের মানুষ এখনও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তারা বলেন,হাতিগুলি নিকটবর্তী চা বাগানে গিয়ে আশ্ৰয় নিয়েছে।

হাতির ধ্বংসযজ্ঞ রুখতে এলাকাবাসীরা বন কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্ৰহণের জন্য দাবি জানিয়েছেন। বন্য জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্থানীয় একজন কর্মী তথা জুলজির অধ্যাপক রাজীব বসুমতারির মতে,সরকার যদি হাতি মানুষের সংঘাতের বিষয়টি এভাবে অবজ্ঞা করে চলে তাহলে খুব শিগগিরই বনাঞ্চল থেকে হাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বইয়ের পাতায় হাতির ছবি দেখিয়ে আমরা আমাদের ছেলে মেয়ে ও নাতি নাতনিদের এই প্ৰাণীটির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে-বলেন তিনি।

এদিকে ভারত ভুটান সীমান্তের বাকসা জেলার তামুলপুর ফরেস্ট রেঞ্জের বগামাটি পিকনিক স্পটের কাছে দরাইঝার গ্ৰাম থেকে বৃহস্পতিবার সকালে একটি মৃত হাতির শব উদ্ধার করা হয়। এক দঙ্গল হাতিকে কিছুদিন আগে খাদ্যের খোঁজে ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল।

প্ৰাপ্ত খবরে জানা গেছে,বুধবার রাতে একপাল হাতি খাদ্যের খোঁজে দরিয়াঝার গ্ৰামে ঢোকে। বৃহস্পতিবার সকালেই স্থানীয় মানুষ একটি বুনো হাতিকে খালের পাশে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এই খবর পেয়ে সুয়াগপুর থানার ভারপ্ৰাপ্ত অফিসার রাজেন বড়ো পুলিশের একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছন। তবে এই খবর লেখা পর্যন্ত হাতিটির কিভাবে মৃত্যু হলো সে সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। ময়না তদন্তের পর হাতিটিকে সমাধিস্থ করা হয়েছে। তামুলপুর মহকুমা ও বাকসা জেলায় বুনো হাতির দৌরাত্ম্য বর্তমানে এক বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ১৫ বছরে বুনো হাতির আক্ৰমণে এই অঞ্চলে এপর্যন্ত ৯০ জনের বেশি লোক প্ৰাণ হারিয়েছেন। হাতি-মানুষের সংঘাতে ১১টি হাতিও মারা পড়েছে।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ওদালগুড়ির গ্ৰামে বুনো হাতির তাণ্ডব

Next Story
সংবাদ শিরোনাম