ডিমৌঃ ডিমৌ-এর কাছে পানিদিহিং মৌজার গ্ৰামগুতিতে গত কয়েকদিন ধরে একপাল বুনো হাতি রীতিমতো ত্ৰাস সৃষ্টি করছে। একটি সূত্ৰের মতে,সন্ধে নামতেই বুনো হাতির পাল নিতাই পানিদিহিং এলাকার সীতালিয়া,আজন্তি,দালাপা,ধাইবাড়ি,গেলাপাহার,দিহিংমুখ,লচনগাঁও,ভেকুরিচাপরি,কোকিলামা রি,সিঙ্গিয়ানি,বরপথার,তেতেলিগুড়ি,আহোমপথার,লাইবিল,সরুগুয়া,মাহরনি এবং গোহাইবাড়ি ইত্যাদি গ্ৰামে ঢুকে খেতের ধান খেয়ে নষ্ট করছে।
সোমবার রাতেও হাতির পাল ধাইবাড়ি,শান্তিপুর,রূপহিবাম,নবিল এবং সামাগুড়ি অঞ্চলে ঢুকে কৃষকদের খেতের ধান খেয়ে ফেলে। হাতিরা গ্ৰামবাসীদের মধ্যে ত্ৰাসেরও সৃষ্টি করে। মঙ্গলবার সকালে বুনো হাতির পাল কোকিলামারি গ্ৰামে ঢুকে সোজা খেতের জমিতে চলে যায়। হাতির পাল বালিয়া বাবা মন্দিরের কাছে এলে স্থানীয় মানুষ হাতি তাড়াতে লেগে পড়েন। দিন দুপুরেও বুনো হাতি কোকিলামারি গ্ৰামে ঢুকছে। স্থানীয় মানুষ বন বিভাগকে এখবর জানিয়েছেন যদিও বন বিভাগের কোনও কর্মকর্তা বা কর্মী ওখানে আসেননি বলে গ্ৰামবাসীরা অভিযোগ করেছেন। ঘটনার খবর শোনার পর থাওরার বিধায়ক কুশল দোয়ারি কোকিলামারি পথার বালাসাজানে ছুটে গিয়ে বুনো হাতি তাড়াতে গ্ৰামবাসীদের সহযোগিতা করেন বলে সূত্ৰটি জানিয়েছে।
এদিকে যোরহাটেও ৬০-৭০টি বুনো হাতি মরিয়নি বন বিভাগের অধীন গিবন অভয়ারণ্যের আশপাশ এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। ওই এলাকায় বহু হেক্টর জমির ধান নষ্ট করে ফেলেছে হাতির পাল। খাদ্যের খোঁজেই হাতিরা গ্ৰাম এলাকায় হানা দিচ্ছে বলে জানান বন কর্তা বিকেন পেগু। সাইকোটা,কঠালগুড্ৰি,নাগাপাহার,ডাংলাংগিয়া,কলিয়াপানি,পুখুরিয়া,কঠালগুড়ি ইত্যাদি এলাকায় বিস্তর ক্ষতিসাধন করেছে হাতিরা। হাতির দৌরাত্ম্যে বন বিভাগ রীতিমতো অসহায় বোধ করছে। তারা বাজি পুড্ৰিয়ে এবং আগুন জ্বেলে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করলেও সব সময় তাতে কাজ হচ্ছে না। এদিকে গত অক্টোবর থেকে এই অঞ্চলে বুনো হাতির ত্ৰাস চলছে এবং আগামি ফেব্ৰুয়ারি পর্যন্ত হাতির এধরনের ত্ৰাস চলবে বলে জানান একজন বন কর্তা।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ এলজিবিআই বিমান বন্দরে জরুরি অবতরণ গুয়াহাটি-কলকাতাগামী বিমানের
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: An aerial view of the Dibrugarh Protest "Janataar Gorjon" programme, Watch Here