নয়াদিল্লিঃ দিল্লি হাইকোর্ট আজ এক রায় দিয়ে বলেছে,কোনও কর্মরত ব্যক্তির স্ত্ৰী স্বামীর মোট বেতনের ৩০ শতাংশ নিজের ভরণপোষণ বাবদ ব্যয় করার যোগ্য। এই শর্ত সেই সব দম্পতির ক্ষেত্ৰে প্ৰযোজ্য যেখানে স্বামী শুধু কাজ করছেন এবং স্ত্ৰী কোনও উপার্জন করেন না। তবে স্বামী এবং স্ত্ৰী দুজনেই উপার্জন করলে স্বামীর মোট রোজগারের দুভাগ ও স্ত্ৰীর রোজগারের একটা অংশ স্ত্ৰীর হাতে থাকবে।
একটি আবেদনের শুনানি গ্ৰহণ করতে গিয়ে কোর্ট এই রায় দেয়। কোর্ট আবেদনকারী মহিলাকে নির্দেশ দিয়েছে স্বামীর রোজগারের ৩০ শতাংশ নেওয়ার জন্য। একজন মহিলা এই পিটিশনটি দাখিল করেছিলেন যিনি ২০০৬ সালে ৭ মে সিআইএসএফ-এর একজন ইন্সপেক্টরকে বিয়ে করেছেন। তবে ওই বছরই ১৫ অক্টোবর স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে মহিলাটির। এরফলে বাধ্য হয়েই মহিলাটি ভরণপোষণের দাবি জানিয়ে আদালতে পিটিশন দাখিল করেন। পরে ২০০৮ সালের ২১ ফেব্ৰুয়ারি আদালত স্বামীর মোট বেতনের ৩০ শতাংশ মঞ্জুর করে মহিলাটিকে। কিন্তু মহিলার স্বামী ওই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে চ্যালেঞ্জ জানালে ট্ৰায়েল কোর্ট খোরপোশের পরিমাণ ৩০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ হ্ৰাস করে। এরপর মহিলাটি ফের ওই রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। অবশেষে দিল্লি হাইকোর্টে স্বামীর বেতনের ৩০ শতাংশ মহিলাটি পাওয়ার যোগ্য বলে রায় দেয়।
মহিলার আইনজীবী হাইকোর্টে সওয়াল করে বলেন,ট্ৰায়াল কোর্ট খোরপোশের পরিমাণ ১৫ শতাংশ হ্ৰাস করার ব্যাপারে কোনও সঠিক কারণ দেখাতে পারেনি। স্বামীর পক্ষে কৌঁশুলি মহিলাটি অন্য সূত্ৰ থেকে টাকা পাচ্ছেন বলে সওয়াল করে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে স্পষ্টীকরণ চান। কিন্তু মহিলাটি বলেন,তার বাবা এতদিন টাকা দিয়ে তাকে সাহা্য্য করেছেন। এরপরই দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবা মহিলাকে স্বামীর বেতনের ৩০ শতাংশ তাঁর ভরণপোষণ বাবদ দেওয়ার নির্দেশ দেন।
দিল্লি হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে প্ৰতিজন মহিলাই এখন নিরাপদ ও স্বাধীনভাবে জীবন নির্বাহ করতে পারবেন। কোনও ধরনের অসন্তুষ্টি ও হতাশা নিয়ে তাদের বিবাহিত জীবন কাটাতে হবে না।