কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্ৰী হিসেবে শপথ নিলেন ইয়েদুরাপ্পা

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্ৰী হিসেবে শপথ নিলেন ইয়েদুরাপ্পা

বেঙ্গালুরুঃ অবশেষে প্ৰত্যাশানু্যায়ী কর্নাটকের ২৫তম মুখ্যমন্ত্ৰী হিসেবে শপথ নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিএস ইয়েদুরাপ্পা। শুক্ৰবার সন্ধ্যা ৬.৩০ নাগাদ রাজ ভবনের ঝলমলে গ্লাস হাউসে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বাজুভাই ভালা তাঁকে গোপনীয়তা রক্ষার শপথ বাক্য পাঠ করান। রাজ্যের জনৈক সরকারি কর্মকর্তা আইএএনএসকে একথা জানান।

রাজ্যের মুখ্যসচিব টিএম বিজয় মঞ্চে ১০ মিনিটের এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে শুরু ও শেষ হয় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে। সাদা সাফারি স্যুট পরে এবং কাঁধে সবুজ রঙের ভাজ করা চাদর জড়িয়ে ৭৫ বছর বয়সী ইয়েদুরাপ্পা চতুর্থবারের জন্য দক্ষিণী রাজ্য কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্ৰী হিসেবে শপথ নিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তি,আমন্ত্ৰিত অতিথি এবং রাজ্যের পদস্থ কর্তারা। উপস্থিত ছিলেন পুলিশের বরিষ্ঠ কর্তা,শতাধিক দলীয় নেতা,বিধায়ক,ক্যাডারস এবং ইয়েদুরাপ্পার পরিবারের লোকজন। অনুষ্ঠান উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হয়। ইয়েদুরাপ্পা রাজ্যের শিবমোঙ্গা জেলার নান্দনিক মালনাড অঞ্চলের বাসিন্দা।

শপথ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট দলীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র স্টেট ইনচার্জ মুরলীধর রাও,বিজেপির প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী জগদীশ সেট্টার,বিধানসভার প্ৰাক্তন অধ্যক্ষ কেজি রোপাইয়া,প্ৰাক্তন মন্ত্ৰী বাসবরাজ বোমাই এবং বি আর শ্ৰীরামুলি প্ৰমুখ। দলের বরিষ্ঠ নেতা এবং রাজ্যের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী এসএম কৃষ্ণও উপস্থিত ছিলেন এই ইভেন্টে।

এদিন ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে অন্য কোন মন্ত্ৰী শপথ নেননি। ২০০৭ সালের নভেম্বরে ইয়েদুরাপ্পা মাত্ৰ একসপ্তাহ কাল কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্ৰী ছিলেন। এরপর ২০০৮ এ ফের দ্বিতীয়বার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্ৰী পদে বহাল হন ইয়েদুরাপ্পা। পুনরায় ২০১৮ সালের মে মাসে তৃতীয়বার দক্ষিণী রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্ৰী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনওবারই ইয়েদুরাপ্পা তাঁর ৫ বছরের কার্যকাল পূরণ করতে পারেননি।

কয়েকদিন আগে আস্থা ভোটে কুমারস্বামীর নেতৃত্বাধীন কংগ্ৰেস-জনতা দল(এস)সরকারের পতন ঘটার পর বিজেপির ক্ষমতায় আসা প্ৰায় চূড়ান্ত হয়ে যায়। কুমারস্বামী সরকার আস্থাভোট ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিধান সৌধে আস্থা ভোট চাইতে বাধ্য হয়ে পড়েন কুমারস্বামী। ২২৫ সদস্যের(একজন মনোনীত)কর্নাটক বিধানসভায় আস্থা ভোটে বিজেপির পক্ষে পড়ে ১০৫টি ভোট। অন্যদিকে কংগ্ৰেস-জনতা দল(এস)জোটের পক্ষে জোটে ৯৯টি। এর আগে কুমারস্বামীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্ৰিসভা থেকে ১৩ জন কংগ্ৰেস ও ৩ জন জেডি(এস)সদস্য পদত্যাগ করায় কুমারস্বামী সরকারে সংকট ঘনিয়ে আসে।

আস্থা ভোটের দিন ২০ জন বিধায়ক বিধানসভায় গরহাজির থাকেন। এদিকে বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষ রমেশ কুমার ১৭ জনের মধ্যে ৩জন বিক্ষুব্ধ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করে দিয়েছেন। তিন বিধায়কের সদস্য পদ খারিজ হওয়ায় বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ১১১ জনের সমর্থন চাই। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বিষয়টি নিয়ে সুপ্ৰিম কোর্টেও মামলা ঝুলছে। নির্দল ও অন্যান্যদের সমর্থনে বিজেপি সরকার গড়লেও তার স্থায়িত্ব নিয়ে প্ৰশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

ওদিকে ইয়েদুরাপ্পা শুক্ৰবার জানান আগামি সোমবার তিনি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্ৰমাণ দেবেন।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com