করোনা ভাইরাস প্ৰতিরোধের জন্য সন্দেহযুক্ত আক্ৰান্তকে পৃথকভাবে রাখার নীতি নিয়ম রয়েছে,‘কিন্তু অলিম্পিয়ান বক্সার তথা রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদ মেরিকমের বিরুদ্ধে ওই নিয়ম ভাঙার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। প্ৰাপ্ত তথ্য অনু্যায়ী,মণিপুরের এই প্ৰখ্যাত বক্সার সম্প্ৰতি জর্ডনের আম্মানে অনুষ্ঠিত কোয়ালিফায়িঙে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। ওখান থেকে গত ১৩ মার্চ তিনি দেশে ফিরে আসেন। করোনা ভাইরাস প্ৰতিরোধে সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা অনু্যায়ী তাঁর পৃথকভাবে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এটাই যে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে ওই অলিম্পিয়ান বক্সার গত ১৮ মার্চ রাষ্ট্ৰপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওইদিন রাষ্ট্ৰপতির সঙ্গে সকালের আহারও গ্ৰহণ করেন তিনি। মেরিকম অবশ্য ইতিমধ্যেই রাষ্ট্ৰপতির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্বীকার করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে দেশজুড়ে জোর প্ৰতিক্ৰিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য যে মেরিকমের মতো একই কাজ করেছেন করোনা ভাইরাসে আক্ৰান্ত সংগীত শিল্পী কণিকা কাপুর। কণিকা দশদিন আগে লন্ডন থেকে মুম্বইয়ে আসেন। তারপর তিনি উত্তর প্ৰদেশের রাজধানী শহর লখনৌয়ের তাজ হোটেলে রাতে এক পার্টিতে অংশ নেন। ওই পার্টিতে উত্তর প্ৰদেশের বহুমন্ত্ৰী,বিধায়কও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু পরে কণিকার শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ায় লখনৌয়ের পার্টিতে উপস্থিত থাকা মন্ত্ৰী,বিধায়করা এখন নিজেদের পৃথকভাবে রেখেছেন। কণিকার সঙ্গে এই পার্টিতে অংশ নেওয়া রাজস্থানের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া এবং তাঁর সাংসদ পুত্ৰ দুষ্মন্ত নিজেকে বাড়িতে আবদ্ধ করে রেখেছেন। তাছাড়া দুষ্মন্তের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা উত্তর প্ৰদেশের আঞ্চলিক দল আপনা দলের নেত্ৰী অনুপ্ৰিয়া প্যাটেলও ওই একই পন্থা অবলম্বন করেছেন।
উল্লেখ্য যে ওই পার্টির পর সাংসদ দুষ্মন্ত অন্য আরও অনেক সাংসদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাছাড়া তিনি রাষ্ট্ৰপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন । সেইহেতু অনেক সাংসদই এখন নিজেকে আবদ্ধ করে রাখার পন্থা নিয়েছেন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ করোনা আতঙ্কঃ সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ হলো জিএমডিএ
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Fear of Coronavirus has decreased Market sales in Guwahati.