বকোঃ রাজ্যে আগামি ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি)প্ৰকাশিত হচ্ছে। এদিকে রাজ্যের সীমান্ত গ্ৰামের গ্ৰামবাসী গারো সংগঠনগুলি এনআরসিতে তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে। গারো ন্যাশনাল কাউন্সিলের(জিএনসি)কামরূপ জেলা সভাপতি অনিন্দ্ৰ মারাক বলেছেন,জেলার পাহাড়ি সীমান্ত এলাকার প্ৰায় ২০ শতাংশ মানুষ এনআরসিতে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য যথাসময়ে আবেদন করেননি। অন্যান্য কিছু লোকের আবার প্ৰয়োজনীয় নথিপত্ৰ নাও থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন,এনআরসি-র জন্য যখন আবেদন প্ৰক্ৰিয়া শুরু হয়েছিল,তখন কামরূপ জেলার গারো অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে তারা বেশকটি সচেতনতা সভার আয়োজন করেছিল,গারো লোকেদের এনআরসি সম্পর্কে সচেতন করতে। কিন্তু কিছু সমস্যার জন্য এই সব গারো মানুষের নাম এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত নাও হতে পারে-বলেন তিনি।
গারো ছাত্ৰ সংস্থার(জিএসইউ)অসম জোনের সম্পাদক সি আর মারাক বলেন,আঠিয়াবাড়ি,শালপাড়া,রানিঘাট,মাছপাড়া,রংতলি,নালাপারা ও সিজেং এর মতো কিছু গ্ৰাম রয়েছে অসম-মেঘালয় সীমান্তে। এই সব গ্ৰামের মানুষ সব সময়ই মনে করেন তাঁরা অসম সরকারের কাছে অবহেলিত। তাই এনআরসিতে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য তারা আবেদনই করেননি। গ্ৰামবাসীদের মতে,তারা মেঘালয় সরকার থেকে বিদ্যুৎ,জল,সড়ক যোগা্যোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন,প্ৰাথমিক শিক্ষার সু্যোগ সুবিধা এবং চিকিৎসা সেবা ইত্যাদি পেয়েছেন। কিন্তু অসম সরকার তাদের এসমস্ত সু্যোগ সুবিধা আদৌ দেয়নি।
হাসিম-এর স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় আর মারাক বলেন,অসম সরকারের ভূমিকায় কিছু লোক হতাশ,তাই এনআরসি নিয়ে কোনও আগ্ৰহ তারা দেখাননি। অনেক গারো গ্ৰামবাসী বহুবার অসমের হয়ে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু আজ অবধি ভোটার পরিচয় পত্ৰ পাননি। গ্ৰাম প্ৰধানের অবহেলার জন্যই এমনটা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। উল্লিখিত গ্ৰামগুলোর ব্লক পর্যায়ের অফিসারও গ্ৰামপ্ৰধানই।
এই বিষয় নিয়ে প্ৰশ্ন করা হলে বকো রাজস্ব সার্কলের অফিসার পিঙ্কি দত্ত বলেন,প্ৰত্যেকেরই নিজস্ব একটা পছন্দ রয়েছে। তারা পারিবারিক ডাটা এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত করতে অথবা নাও করতে পারেন। তিনি আরও বলেন,বকোর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্ৰণে আছে এবং রাজ্য পুলিশ স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলির দিকে নজর রাখছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বকো থানার ওসি যোগেন্দ্ৰ বর্মন বলেন,সবকিছুই নিয়ন্ত্ৰণে রয়েছে এবং সিআরপিএফ ও বিএসএফ কর্মীদের ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে যেকোনও অপ্ৰীতিকর পরিস্থিতি সামলাতে।
তিনি আরও বলেন,সীমান্ত এলাকার দিকে তিনি নিজেই লাগাতার নজর রাখছেন। ওসি যোগেন্দ্ৰ বর্মন বেশকিছু আন্তঃরাজ্য ইস্যুর সমাধান করেছেন। কামরূপ জেলার আমিনগাঁওয়ে ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসে তিনি সেরা পুলিশ অফিসারের পুরস্কার পেয়েছেন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ এনআরসি-র প্ৰকাশ ঘিরে ১৪টি স্পর্শকাতর জেলায় জোরদার নিরাপত্তা
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: AGP party is in favour of construction of small dams instead of Mega Dam Projects: Atul Bora