অসম চুক্তির ৬নং দফা রূপায়ণে উচ্চস্তরীয় কমিটির রিপোর্ট পেশের সময় বাড়ল আরও একমাস

অসম চুক্তির ৬নং দফা রূপায়ণে উচ্চস্তরীয় কমিটির রিপোর্ট পেশের সময় বাড়ল আরও একমাস
Published on

গুয়াহাটিঃ অসমের খিলঞ্জিয়া মানুষের সাংবিধানিক রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করতে সুপারিশ পেশ করার জন্য স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক যে উচ্চস্তরীয় কমিটি গঠন করেছে সেই কমিটিকে এব্যাপারে তাদের রিপোর্ট পেশ করার জন্য একমাস সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অসম চুক্তির ষষ্ঠ দফা রূপায়ণকারী সমিতির সভাপতি বিচারপতি(অবসরপ্ৰাপ্ত)বিপ্লব কুমার শর্মার নেতৃত্বে চারজনের একটি প্ৰতিনিধিদল স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার দুদিন পর কমিটিকে রিপোর্ট পেশের সময় একমাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়। উচ্চস্তরীয় কমিটির কাজকর্মের অগ্ৰগতি সম্পর্কে কেন্দ্ৰকে অবগত করাতেই তাঁরা স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।

স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰকের এক বিজ্ঞপ্তি অনু্যায়ী উচ্চস্তরীয় কমিটিকে তাদের রিপোর্ট পেশের জন্য অতিরিক্ত আরও এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। আগে রিপোর্ট পেশের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটিকে ছমাস সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন রিপোর্ট পেশের সময়সীমা বেড়ে সাত মাসে দাঁড়ালো। অসম চুক্তির ৬নং দফা রূপায়ণের লক্ষ্যে গত বছর জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে এই উচ্চস্তরীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন,স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে কমিটির প্ৰতিনিধিদলটি তাদের প্যানেল রিপোর্ট পেশের জন্য আরও ১৫ দিনের সময় চেয়েছিলেন।

স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰীর সঙ্গে বৈঠকের পর কমিটির প্ৰধান অবসরপ্ৰাপ্ত বিচারপতি শর্মা বলেন,‘আমরা আমাদের কাজকর্মের অগ্ৰগতি সম্পর্কে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰীকে সবকিছু অবগত করিয়েছি। স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰীও কিছু শলা পরামর্শ রেখেছেন। আশা করছি আগামি ১৫ দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত রিপোর্ট আমরা দাখিল করতে পারবো’।

১৯৮৫ সালে স্বাক্ষরিত অসম চুক্তির ৬নং দফা রূপায়ণে এই উচ্চস্তরীয় কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে এক ডজনের বেশি সদস্য রয়েছেন। অসম বিধানসভা এবং স্থানীয় পর্ষদগুলোতে অসমিয়া মানুষের জন্য আসন সংরক্ষণে উপযুক্ত পরিমাণ বা সংখ্যা কী হবে সে ব্যাপারে সুপারিশ করবে এই কমিটি। স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰকের এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা উল্লেখ করা হয়েছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল গত সপ্তাহে দিল্লিতে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী শাহর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। শাহর সঙ্গে বৈঠকের সময় অসম চুক্তির ৬নং দফার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনাও হয়েছ। কেন্দ্ৰীয় সরকার ওই বৈঠকে অসমের খিলঞ্জিয়া মানুষের সাংবিধানিক রক্ষাকবচের প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছে। এদিকে উচ্চস্তরীয় ওই কমিটি চুক্তির ৬নং দফা রূপায়ণ সম্পর্কে রাজ্যের বিভিন্ন দাবিদারদের মতামত ও আলোচনা ইতিমধ্যেই সেরে নিয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের(ক্যা)বিরুদ্ধে অসমে তুমুল প্ৰতিবাদ চলছে। রাজ্যের খিলঞ্জিয়া মানুষের মনে প্ৰশ্ন উঠেছে ক্যা রূপায়িত হলে রাজ্যের ভাষা,সংস্কৃতি,অস্তিত্ব বিপন্ন হবে-উল্লেখ করেছে সূত্ৰটি।

অসম চুক্তিতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর অসমে আসা সব বিদেশিকে শনাক্ত করে বহিষ্কারের কথা বলা হয়েছে,তা সে যেকোনও ধর্মেরই হোক না কেন। এদিকে ক্যা-র মতে,পাকিস্তান,বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে আসা হিন্দু,বৌদ্ধ,শিখ,জৈন,পার্শি ও খ্ৰিস্টান শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে চাওয়া হয়েছে। আইনটিতে বলা হয়েছে,এই সব শরণার্থীদের অবৈধ অনুপ্ৰবেশকারীর নজরে দেখা যাবে না। এদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু অসমে প্ৰতিবাদকারীদের আভিমত হলো ক্যা অসম চুক্তির বিধি ব্যবস্থাকে লঙ্ঘন করছে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Watch Bhogali Bihu preparation from Guwahati ahead ‘Uruka’ (Night before Magh Bihu)

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com