নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতে ৩৬ বছর পর আবার আইনজীবীর বেশে তরুণ গগৈ

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতে ৩৬ বছর পর আবার আইনজীবীর বেশে তরুণ গগৈ
Published on

গুয়াহাটিঃ অসমের প্ৰবীণ কংগ্ৰেস নেতা এবং প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ তিন দশক পর বুধবার ফের আইনজীবীর পোশাক গায়ে জড়ালেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন(সিএএ)২০১৯-এর সাংবিধানিক বৈধতার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দাখিল করা একগুচ্ছ আবেদন আজ শুনানির জন্য গ্ৰহণ করা হয় শীর্ষ আদালতে। আদালতের এই প্ৰক্ৰিয়ায় একজন আইনজীবী হিসেবে অংশ নিয়েছেন তরুণ গগৈ। উল্লেখ্য,পেশায় একজন আইনজীবী তরুণ গগৈ সিএএ মামলায় কংগ্ৰেস নেতা পি চিদম্বরমের সাহায্যে কোর্টে হাজির হয়েছেন। প্ৰাপ্ত রিপোর্ট মতে,অসমের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈকে ১৯৮৩ সালে একটি মামলায় সওয়াল করার জন্য শেষবার আদালতে দেখা গিয়েছিল।

এদিকে,শীর্ষ আদালত সিএএ ইস্যু নিয়ে কেন্দ্ৰকে একটি নোটিশ ইস্যু করার পর বিষয়টি আগামি ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতুবি রেখেছে। সিএএ-র বিরুদ্ধে যারা পিটিশন দাখিল করেছেন তাদের মধ্যে শাসক দল বিজেপি-র শরিক অসম গণ পরিষদ(অগপ),কংগ্ৰেস নেতা জয়রাম রমেশ,রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝাও রয়েছেন। অসমের কংগ্ৰেস সাংসদ গৌরব গগৈ এক টুইটে বলেছেন ‘আমার বাবা এবং অসমের তিন তিনবারের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের(সিএএ)বিরুদ্ধে সুপ্ৰিমকোর্টে তাঁর মামলা দাখিল করতে বুধবার আইনজীবীর পোশাক গায়ে জড়িয়েছেন’।

https://twitter.com/GauravGogoiAsm/status/1207160781462102016?ref_src=twsrc%5Egoogle%7Ctwcamp%5Eserp%7Ctwgr%5Etweet

এদিকে,সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ নাগরিকত্ব আইনটিকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলে অভিহিত করেন। এর আগে অসমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে গগৈ বলেছিলেন,‘এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল দুটোই পরস্পরবিরোধী’।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চল বিশেষ করে অসমে ব্যাপক প্ৰতিবাদ চলছে এ সম্পর্কিত বিলটি রাজ্যসভায় তোলার সময় থেকে। গণ আন্দোলনের সু্যোগ নিয়ে শুরু হওয়া হিংসাশ্ৰয়ী ঘটনা নিয়ন্ত্ৰণে রাজ্যে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: AJYCP & 30 other organizations launched 'Gana Satyagraha Programme' against CAA in Biswanath

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com