গুয়াহাটিঃ রাজ্যে করোনা ভাইরাসের প্ৰাদুর্ভাবের মোকাবিকায় স্বাস্থ্য বিভাগ সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেছে। শুক্ৰবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী ড.হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন,অসমের সংবাদ মাধ্যম,চিকিৎসক,নার্স,আশাকর্মী,শিক্ষক প্ৰত্যেকেই সজাগতা কর্মসূচী সুন্দরভাবে পালন করছেন। তার জন্য শর্মা তাঁদের ধন্যবাদ জানান। মন্ত্ৰী বলেন,রাজ্যের বিমানবন্দরগুলোতে ১৬,৫০৮ জনের স্ক্ৰিনিং করা সম্ভব হয়েছে। ৬২,৮৭০ জন ব্যক্তিকে হাসপাতাল,রেলওয়ে স্টেশন বা অন্যান্য স্থানে পরীক্ষা করা হয়েছে। কাসি,জ্বর না থাকলে বিমানবন্দর থেকে কাউকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে তিনি বলেন,‘বাইরে থেকে আসা কোনও লোকের সংক্ৰমণ ধরা না পড়লেও ঘরের ভিতর ১৪ দিন পৃথকভাবে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১,০০৩ জন ব্যক্তিকে ঘরের মধ্যে পৃথকভাবে রাখার ব্যবস্থা করা গেছে’।
একইসঙ্গে তিনি বলেন,করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় রাজ্যে পরীক্ষাগারের সংখ্যা ৪টিতে বৃদ্ধি করা হয়েছে। যোরহাট,গুয়াহাটি,ডিব্ৰুগড় এবং নতুন করে শিলচরে পরীক্ষণ পরীক্ষাগার স্থাপন করেছে সরকার। ডিফু,বরপেটা,তেজপুরেও পরীক্ষাগার স্থাপনের চেষ্টা চলছে।
গুয়াহাটিতে এপর্যন্ত ৩৯ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। তাছাড়া ডিব্ৰুগড়ে ১১,যোরহাটে ৩ এবং শিলচরে দুজনের পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন,করোনা ভাইরাসের ৫৭টি নমুনাই নিগেটিভ। এখন পর্যন্ত করোনা আক্ৰান্ত কোনও ব্যক্তি ধরা পড়েনি।
মন্ত্ৰী শর্মা বলেন,অসমে করোনা ভাইরাস এখন অবধি স্টেজ ১-এ রয়েছে। কেউ রোগ জীবাণু শরীরে বয়ে আনলে তবেই হবে। অসমের বাইরে থেকে রাজ্যে আসা লোকের সংখ্যা এখন কমেছে। যদি ২২ মার্চ থেকে কেউ না আসে তাহলে ৫ এপ্ৰিল অবধি এই তারিখের আগে আসা লোকেদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
বিটিসি নির্বাচন নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান আজ অথবা আগামীকাল সন্ধ্যায় প্ৰকাশ করা হবে-জানান মন্ত্ৰী। নির্বাচনি প্ৰচার বন্ধ বা নির্বাচন পিছিয়ে নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, এই মুহূর্তে যেকোনও ধরনের পরীক্ষা ৩১ মার্চ অবধি আয়োজন করতে দেওয়া হবে না। তবে আগামিকাল থেকে সরকারি কার্যালয়ে ৫০ শতাংশ কর্মী আসবেন। বাকি ৫০ শতাংশ বাড়িতে থেকেই কাজ করবেন। তিনদিন বা সাপ্তাহিক হিসেবে ৫০ শতাংশকে ভাগ করে নিতে হবে। স্কুল,কলেজ অন্য সরকারি কার্যালয়েও এই ব্যবস্থা করা হবে-জানান তিনি। রবিবার থেকে রেল স্টেশন ও বিমানবন্দরে বাইরের দেশ বা রাজ্য থেকে আসা যাত্ৰীদের স্টাম্পিং করা হবে। স্টাম্প থাকা লোকেদের ১৪ দিন ঘরের ভিতরে রাখা হবে পৃথকভাবে। তবে জরুরিকালীন সেবাগুলোকে বাদ দেওয়া হয়েছে এই ব্যবস্থা থেকে। স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী থেকে কর্মচারী কেউ ছুটি পাবেন না এখন। ডাক্তার,নার্স সবাইকে ২৪ ঘন্টা জনগণের সেবায় ব্ৰতী থাকতে হবে। কোনো যাত্ৰীবাহী বাসে কোনও য়াত্ৰী দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন না। শুধু বসে যাবার সুবিধা থাকা বাসে যাত্ৰীরা উঠবেন। শপিং মলে ৫০-এর বেশি মানুষ থাকতে পারবেন না। তবে মল বন্ধ হচ্ছে না। মলের আকৃতি বুঝে মানুষ ভেতরে ঢোকানো হবে। সেনিটাইজার না হলেও চলবে। সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধোয়া চাই। যারা দোকান খুলে রাখতে চাইছেন তাদের সাবান বা সেনিটাইজার দিয়ে গ্ৰাহকের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। অন্যথায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দোকান বন্ধ করে দেবেন। সব সরকারি,বেসরকারি কার্যালয়ের সামনে সেনিটাইজারে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে-বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ করোনা সংক্ৰমণঃ গুয়াহাটিতে জাদুঘর,গ্ৰন্থাগার,সেলুন,কোচিং কেন্দ্ৰ বন্ধ ৩১ মার্চ পর্যন্ত
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: CJM Court will only hear urgent matters till March 29 due to prevent Coronavirus Spread