চিকিৎসকের অভাবে রাজ্যে স্বাস্থ্যরক্ষায় ব্যাঘাত ঘটছে

চিকিৎসকের অভাবে রাজ্যে স্বাস্থ্যরক্ষায় ব্যাঘাত ঘটছে
Published on

গুয়াহাটিঃ রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে ডিসপেনসারি এবং জেলা হাসপাতালগুলিতে পরিকাঠামোগত সু্যোগ সুবিধা উন্নত করলেও ওই সব স্বাস্থ্য কেন্দ্ৰ রোগীর বাড়তি বোঝা বহন করতে পারছে না উপযুক্ত সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায়। চিকিৎসকের অভাব রাজ্যে এখনও একটা বড় সমস্যা।

গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ,ডিব্ৰুগড়ের আসাম মেডিক্যাল কলেজ,শিলচর,যোরহাট,তেজপুর ও বরপেটার ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে বছরে প্ৰায় ৭০০ জন ডাক্তার স্নাতক ডিগ্ৰি পেলেও এই সংখ্যা রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্ষেত্ৰে পর্যাপ্ত নয়। রাজ্যে বছরে যে পরিমাণ ডাক্তার স্নাতক ডিগ্ৰি নিয়ে বেরিয়ে আসছেন তাদের ২০ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে কাজ করতে চান না। তাই রাজ্যে ডাক্তারের চাহিদা ও ঘাটতির মধ্যে একটা বিরাট ফারাক থেকে যাচ্ছে। রাজ্যে বর্তমানে ১০ হাজার রোগীর বিপরীতে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্ৰ তিনজন। এটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার(হু)নির্ধারিত হিসেবের পরিপন্থী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত পরিসংখ্যান অনু্যায়ী চিকিৎসক ও রোগীর অনুপাত ন্যূনতম ১:১০০০ হওয়া উচিত। চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্ৰি নিয়ে বেরিয়ে আসা নতুন ডাক্তারদের অনেকেই সরকারি হাসপাতালে কাজ করতে অনীহা প্ৰকাশ করায় এই সমস্যা আরও গভীরতর করে তুলেছে। স্বাস্থ্য বিভাগে ব্যাপক সংখ্যক চিকিৎসকের পদ ফাঁকা পড়ে আছে। পোস্টের তুলনায় আবেদনকারী চিকিৎসকের সংখ্যা অনেক কম।

স্বাস্থ্য বিভাগ তথা অর্থ দপ্তরের মন্ত্ৰী ড.হিমন্তবিশ্ব শর্মা ২০১৭-১৮ সালের বাজেট বিধানসভায় পেশ করার সময় রাজ্যে চিকিৎসকের ঘাটতি জনিত সমস্যার কথা স্বীকার করেছিলেন। শর্মা বলেছিলেন নতুন মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করে বছরে ১২০০০ জন ডাক্তার বের করে আনার ব্যবস্থা করা হবে।

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com