গুয়াহাটিঃ অসমে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৩.৬৪ লক্ষ হেক্টর জমি প্ৰায় ২.০৫ লক্ষ মানুষ বেদখল করে রেখেছেন। ২০১৯-২০ সালে অসমে অর্থনৈতিক জরিপের রিপোর্টে একথা উল্লেখ করা হয়েছে,যা বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় পেশ করা হয়েছে।
ওই রিপোর্ট অনু্যায়ী,সর্বোচ্চ পরিমাণ ৮৭,০০০ হেক্টর জমি বেদখল হয়েছে গোলাঘাট জেলায়। শোণিতপুর ইস্টে ৩৭০০০ হেক্টর,৩২,০০০ হেক্টর শোণিতপুর ওয়েস্টে,কামরূপ ওয়েস্টে ২১,০০০ হেক্টর এবং যোরহাটে বেদখল হয়েছে ১৮০০০ হেক্টর জমি।
রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে,গত ২০ বছরে রাজ্যে বনাঞ্চল থাকা ২,৩৮৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার চরম ক্ষতি হয়েছে,বনভূমি বেদখল ও জুম চাষের অভ্যাসের জন্য। এরফলে রাজ্যে জৈববৈচিত্ৰ্যেরও ক্ষতি হয়েছে যথেষ্ট।
এদিকে,বনমন্ত্ৰী পরিমল শুক্লবৈদ্য বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় জানান,রাজ্যে বালি এবং পাথরের কোনও সিন্ডিকেট নেই। তবে অবৈধভাবে বালি ও পাথর পরিবহণের বিষয়টি চিহ্নিত করার কথা স্বীকার করে মন্ত্ৰী বলেন,এসমস্ত কার্যকলাপে জড়িতদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ অ্যাকশন নিচ্ছে।
‘গত তিন বছরে পরিবেশ এবং বন বিভাগ অবৈধভাবে বনজ সম্পদ পরিবহণ এবং কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য জরিমানা হিসেবে ৪৪.৯৮ কোটি টাকা সংগ্ৰহ করেছে’-বলেন শুক্লবৈদ্য।
মন্ত্ৰী এদিন আরও বলেন,গত চার বছরে বালি,পাথর ইত্যাদি অবৈধভাবে পরিবহণ ও বনজ সম্পদ ধ্বংস করার বিরুদ্ধে প্ৰায় ৮০০টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আটক করা হয়েছে ৪০০ জনকে।
এদিকে জনা কয়েক বিধায়ক সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে উচ্ছেদ হওয়া ব্যক্তিরা ফের বনভূমিতে আস্তানা গেড়ে বসায় হতাশ ব্যক্ত করেন। ইতিপূর্বে দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত করা জমি সুরক্ষিত রাখতে বন বিভাগ প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণ না করায় এই হতাশা ব্যক্ত করেন তাঁরা। উচ্ছেদ হওয়া লোকেরা যাতে ফের বনভূমির জমিতে আস্তানা গাড়তে না পারে তারজন্য বিধায়করা বন বিভাগকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্ৰহণের দাবি জানান।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ বাকসায় ধর্মগ্ৰন্থ পোড়ানোর ঘটনায় শান্তি,সম্প্ৰীতি অক্ষুণ্ণ রাখার আহ্বান বিধানসভার
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Meet Rafiul Hossain Barua, sending messages of universal brotherhood for several years.