রিয়াং শরণার্থীদের ত্ৰিপুরায় সংস্থাপনে চুক্তি স্বাক্ষরিত

রিয়াং শরণার্থীদের ত্ৰিপুরায় সংস্থাপনে চুক্তি স্বাক্ষরিত
Published on

নয়াদিল্লিঃ রিয়াং(ব্ৰু)শরণার্থীদের দীর্ঘ ২২ বছরের সমস্যাটির অবশেষে অবসান ঘটলো বৃহস্পতিবার। নয়াদিল্লি ৩০ হাজারের বেশি ব্ৰু শরণার্থী সংস্থাপনের ইস্যুটি নিয়ে ত্ৰিপুরা ও মিজোরাম সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই উদ্দেশ্যে ৬০০ কোটি টাকার একটি আর্থিক প্যাকেজ অনুমোদন করেছে কেন্দ্ৰীয় সরকার। ত্ৰিপুরায় আশ্ৰয় নেওয়া রিয়াং(ব্ৰু)শরণার্থীদের ৫,৩০০টি পরিবার রয়েছে। মিজোরামে উপজাতি সংকটের পরিপ্ৰেক্ষিতে এই সমস্ত রিয়াং শরণার্থীরা ত্ৰিপুরায় চলে গিয়েছিলেন।

কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহ,ত্ৰিপুরার মুখ্যমন্ত্ৰী বিপ্লব দেব এবং মিজোরামের মুখ্যমন্ত্ৰী জোরামথাঙ্গা,মিজোরামের মুখ্যসচিব,মিজোরাম থেকে স্থানচ্যুত মিজোরাম ব্ৰু ডিসপ্লেচড পিপলস ফোরামের(এমবিডিপিএফ)নেতা ও অন্যান্য সংগঠনের মধ্যে বৃহস্পতিবার দিল্লির নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰকের(এমএইচএ)কার্যালয়ে এক বৈঠকের পর ওই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

স্বাক্ষরিত চুক্তি অনু্যায়ী,ব্ৰু শরণার্থীদের এখন ত্ৰিপুরায় সংস্থাপন দেওয়া হবে এবং তাদের পুনর্বাসনে সাহা্য্যও দেওয়া হবে। ত্ৰিপুরার মুখ্যমন্ত্ৰী বিপ্লব দেব গত বছর নভেম্বরে ব্ৰু উপজাতিদের সংস্থাপন দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছিলেন। এরই পরিপ্ৰেক্ষিতে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। ‘চুক্তি অনু্যায়ী ব্ৰু উপজাতিদের নাম এখন ত্ৰিপুরার ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ত্ৰিপুরায় ব্ৰু উপজাতিদের সংস্থাপনে কেন্দ্ৰীয় সরকার ৬০০ কোটি টাকার প্যাকেজ সাহা্য্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এই প্যাকেজ থেকে ১৫০ লক্ষ টাকা ত্ৰিপুরা সরকারকে দেওয়া হবে ব্ৰুদের জন্য জমি অধিগ্ৰহণ বাবদ। বাকি টাকা এই উপজাতি জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় করা হবে।

ব্ৰু শরণার্থী পরিবারগুলো ৪০*৩০ ফুটের ভূখণ্ড পাবে এবং প্ৰতিটি পরিবারের জন্য ৪ লক্ষ টাকা করে ফিক্সড ডিপোজিটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাছাড়া প্ৰতিটি ব্ৰু উপজাতি পরিবারকে দুবছরের জন্য প্ৰতি মাসে ৫ হাজার করে টাকা ও বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে’-উল্লেখ করেন তিনি।

এই সিদ্ধান্তের প্ৰতি স্বাগত জানিয়ে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্ৰী জোরামথাঙ্গা বলেন,এটা একটা ঐতিহাসিক চুক্তি এবং এই চুক্তিকে স্বাগত জানাতেই হয়। এই চুক্তি সই হওয়ায় ব্ৰু শরণার্থী সংকটের একদিকে যেমন সমাধান হলো তেমনি একই সঙ্গে এই ইস্যু নিয়ে মিজোরাম ও ত্ৰিপুরা সরকারের মধ্যে কোনওরকম রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আর থাকছে না’-বলেন জোরামথাঙ্গা।

রিয়াংরা এর আগে মিজোরাম ও বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্ৰামের পাহাড়ি এলাকায় থাকতো। ১৯৯৭ সালে সাম্প্ৰদায়িক উত্তেজনার প্ৰেক্ষিতে রিয়াংরা ত্ৰিপুরায় আশ্ৰয় নিয়েছিল। ‘রিয়াং শরণার্থীরা আমাদের রাজ্যে শরণার্থী শিবিরে কষ্টের মধ্যেই ছিল। ন্যূনতম মানবিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল তারা। তাই আমরা এই সমস্ত শরণার্থীদের রাজ্যে সংস্থাপন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি ও স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহর বলিষ্ঠ পদক্ষেপের জন্য রিয়াংদের রাজ্যে সংস্থাপন দেওয়া সম্ভব হয়েছে’-বলেন ত্ৰিপুরার মুখ্যমন্ত্ৰী বিপ্লব দেব।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Watch Bhogali Bihu preparation from Guwahati ahead ‘Uruka’ (Night before Magh Bihu)

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com