‘পোবা’কে অভয়ারণ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য রাজ্যকে পদক্ষেপ নিতে বলল কেন্দ্ৰ

‘পোবা’কে অভয়ারণ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য রাজ্যকে পদক্ষেপ নিতে বলল কেন্দ্ৰ
Published on

গুয়াহাটিঃ বন্যজীবন সংরক্ষক এবং বন্যপ্ৰাণী প্ৰেমীদের জন্য এটা সুখবরই বটে! কেন্দ্ৰীয় বন,পরিবেশ ও আবহাওয়া পরিবর্তন মন্ত্ৰক অসমের ধেমাজি জেলার পোবা সংরক্ষিত বনাঞ্চলকে অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করার জন্য রাজ্য সরকারকে প্ৰয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

অসমের বিশিষ্ট বন্যজীবন এবং প্ৰকৃতি সংরক্ষণ সংগঠন ন্যাচারস বেকন পোবা সংরক্ষিত বনাঞ্চলকে অবিলম্বে অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করার জন্য প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদির হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দেওয়ার পরই কেন্দ্ৰীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্ৰক ওই নির্দেশ দেয়।

প্ৰধানমন্ত্ৰীর কার্যালয়(পিএমও)ওই চিঠিটি পরিবেশ,বন ও আবহাওয়া পরিবর্তন মন্ত্ৰকের কাছে পাঠিয়ে দেয় এব্যাপারে প্ৰয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে,যাতে করে অসমের বন বিভাগ পোবা সংরক্ষিত বনাঞ্চলকে অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করার পদক্ষেপ নিতে পারে।

পোবাকে অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটা সংরক্ষিত বনাঞ্চলকে অভয়ারণ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য যে সমস্ত গুণ থাকা প্ৰয়োজন তার সবটাই বিদ্যমান এই বনাঞ্চলে। পোবা পড়শি রাজ্য অরুণাচল প্ৰদেশের ডি ইরিং অভয়ারণ্য এবং অসমের তিনসুকিয়া জেলার ডিব্ৰু সৈখোয়া ন্যাশনাল পার্কের সঙ্গে আড়াআড়িভাবে সংযুক্ত রয়েছে। এই বনাঞ্চল নয়নাভিরামও বটে-বলেন ন্যাচার্স বেকনের সৌম্যদীপ দত্ত।

তিনি আরও বলেন,এটা সত্যিই একটা সুন্দর পদক্ষেপ। কারণ ন্যাচার্স বেকন গত প্ৰায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পোবাকে অভয়ারণ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য লড়ে আসছিল। অবশেষে প্ৰধানমন্ত্ৰীর কার্যালয় এই বিষয়টির প্ৰতি দৃষ্টি দিয়েছে।

‘কেন্দ্ৰের এই পদক্ষেপে আমরা অত্যন্ত খুশি। আমরা বরাবরই কিছু আদায় করার জন্য লড়াই করেছি। পোবাকে অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করার জন্য আমরা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে লড়াই করেছি’-বলেন ন্যাচার বেকনসের একজন সদস্য যুগল সন্দিকৈ। প্ৰধানমন্ত্ৰীর কাছে বেকনসের হয়ে সন্দিকৈই চিঠিটি দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন,পোবা যদি ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে জীবজন্তুর সম্পূর্ণ করিডর অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। বন্য জীবন সংরক্ষণেও এর নেতিবাচক প্ৰভাব দেখা যাবে।

চলতি বছরের এপ্ৰিলে ধেমাজির জোনাই বন ডিভিশনের কর্মকর্তারা পোবায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার-এর বিচরণ দেখতে পেয়েছেন। এই ঘটনা বন্যপ্ৰাণী প্ৰেমীদের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহের সৃষ্টি করেছিল।

স্থানীয় মানুষ বলেছেন,আইনি ও বেআইনিভাবে পোবার বন্যসম্পদ ধ্বংস করতে তারা দেখেছেন। এসব ঘটনা বন্যপ্ৰাণীদের ওপর বিরূপ প্ৰভাব ফেলবে।

তদানীন্তন ব্ৰিটিশ সরকার ১৯২৪ সালে পোবাকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এই বনাঞ্চলে দুর্লভ ও বিলুপ্তপ্ৰায় প্ৰজাতির কিছু জীবজন্তু রয়েছে। বনাঞ্চল ধ্বংস,চোরা শিকারির দৌরাত্ম্য এবং অবাঞ্ছিত ব্যবসায়ীরা বনজ সম্পদ লুটে পুটে নেওয়ায় বনাঞ্চলটির অস্তিত্ব রক্ষায় রীতিমতো হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: All Moran Students’ Union Press conference at Tinsukia Press Club

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com