গুয়াহাটিঃ রাজ্যের সত্ৰগুলোর(নববৈষ্ণব কেন্দ্ৰ)জমির বার্ষিক খাজনা আদায় দেওয়া থেকে ছাড় দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকার সক্ৰিয়ভাবে খতিয়ে দেখছে। বরপেটা সত্ৰ জমির বার্ষিক খাজনা ছাড় দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়ালের কাছে আর্জি জানানোর পরই সরকার এই বিষটি নিয়ে বিচার বিবেচনা করছে। মুখ্যমন্ত্ৰীর কাছে জানানো ওই আর্জিতে বরপেটা সত্ৰ বলেছিল,বার্ষিক জমির খাজনা দেওয়া তাদের কাছে একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সত্ৰের ব্যবস্থাপক মণ্ডলী তাদের স্মারকপত্ৰে উল্লেখ করেছিল যে বর্তমানে বিশাল পরিমাণ জমির খাজনা তারা আদায় দিচ্ছে। অথচ ওই সমস্ত জমি বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক,শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠান ও সংগঠন তাদের যাতায়াতের পথ সহ জন কল্যাণমূলক সেবায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
তাই বিশাল অঙ্কের খাজনা দেওয়া সত্ৰের পক্ষে বোঝা হয়ে পড়েছে আর এজন্যই সত্ৰটি খাজনায় ছাড় দেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিল।
বর্তমানে রাজ্যের সত্ৰগুলোকে জমি বাবদ বার্ষিক প্ৰায় ৭ লক্ষ টাকা খাজনা আদায় দিতে হচ্ছে-এই মোট খাজনার ১ শতাংশ যা রাজকোষ প্ৰতি অর্থ বছরে সংগ্ৰহ করছে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্ৰীর কার্যালয়ের(সিএমও)নির্দেশিকার পরিপ্ৰেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকরা(ডিসি)অসমের এই ধর্মীয় প্ৰতিষ্ঠানগুলোর খাজনা আদায় দেওয়ার বিস্তারিত রিপোর্ট ইতিমধ্যেই দাখিল করেছেন। সিএমও-র কার্যালয় রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে এই বিষয়টি পরীক্ষা করে তাদের মতামত জানিয়ে রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে এই প্ৰস্তাবে অর্থ বিভাগের ছাড়পত্ৰেরও প্ৰয়োজন হবে।
রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের একটি সূত্ৰ দ্য সেন্টিনেলকে জানিয়েছে,প্ৰস্তাবটি কার্যকরী করতে সময়ের প্ৰয়োজন এবং ২০২০ সালে এবিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে। উল্লেখ্য,মুখ্যমন্ত্ৰী নিজেই রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্ব দেখাশোনা করছেন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ মধ্যাহ্ন ভোজনের আহার নিয়ে রাঁধুনীদের আন্দোলন ‘বিদ্ৰোহের’ রূপ নিচ্ছে রাজ্যে
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Fire breaks out at Almirah Factory in Tinsukia, Properties worth lakhs gutted