ক্লাস ফাঁকি দিলে বেতন কাটা হবে শিক্ষকদের সতর্ক বার্তা শিক্ষামন্ত্ৰী হিমন্তের

ক্লাস ফাঁকি দিলে বেতন কাটা হবে শিক্ষকদের সতর্ক বার্তা শিক্ষামন্ত্ৰী হিমন্তের
Published on

গুয়াহাটিঃ স্কুল এবং কলেজ শিক্ষকরা ডিউটির সময় ক্লাস ফাঁকি দিয়ে অন্য কোনও কাজে লিপ্ত হলে তাদের বেতন কাটা হবে। শিক্ষামন্ত্ৰীর নতুন দাঁয়িত্ব কাঁধে নিয়েই বুধবার শিক্ষকদের উদ্দেশে এই সতর্কবাণী শোনালেন হিমন্তবিশ্ব শর্মা। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন,এই নিয়ম অন্যান্য সমস্ত সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্ৰেও প্ৰযোজ্য হবে। এখানে বুধবার শিক্ষক সমাজের সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠকে এই বার্তা দেন শর্মা। মন্ত্ৰী বলেন,‘যেহেতু সরকারি কর্মী হিসেবে আপনারা পাবলিকের দেওয়া কর থেকে বেতন পাচ্ছেন,সেইহেতু আপনাদের কর্তব্য জনস্বার্থে সর্বাগ্ৰে কাজ করা। ডিউটির সময় কেটে যাওয়ার পর আপনারা যা চান তা অনায়াসে করতে পারবেন। এমনকি কোনও শিক্ষক,স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী তাঁর ডিউটি চলাকালীন সময়ে যদি আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাহলেও সংশ্লিষ্ট সেই কর্মীর বেতন কাটা হবে। তাই এখন থেকে প্ৰতিজন সরকারি কর্মীকে তার কাজের সময় মেনে চলতে হবে’।

মন্ত্ৰী অভিযোগ করেন,রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্ৰে বৌদ্ধিক চিন্তাভাবনার প্ৰচণ্ড স্খলন ঘটেছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের(ক্যা)উদাহরণ তুলে ধরে মন্ত্ৰী বলেন,‘অনেক শিক্ষক ক্লাস ছেড়ে ক্যা নিয়ে আন্দোলন করছেন। কিন্তু ক্যা নিয়ে দুচার কথা বলতে বলা হলে সেটাও সম্ভব হবে না তাদের পক্ষে। কারণ ওই আইনের কোন দফায় কি রয়েছে তা তাদের জানা নেই। এমন কি ক্যা নিয়ে সদর্থক কোনও বিতর্ক এবং বৌদ্ধিক পর্যায়ে কোনও আলোচনাচক্ৰের ব্যবস্থা করতেই শিক্ষকদের দেখা যায়নি’। পরোক্ষ শিক্ষকদের কটাক্ষ করে মন্ত্ৰী শর্মা বলেন,যে সমস্ত শিক্ষক ক্যা নিয়ে আন্দোলন করছেন তাদের অধিকাংশ ক্যা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। যেটা লক্ষ্য করা গেছে সেটা হলো আবেগতাড়িত হয়েই তারা আন্দোলন করছেন। শিক্ষকদের সবার আগে ছাত্ৰদের ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হবে। তাই পাঠদানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া চাই তাঁদের। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে শিক্ষকরা সভা-সমিতি,মিছিল কিংবা আন্দোলনে শামিল হলে তাদের বেতন কাটা যাবে-সাফ জানিয়ে দেন মন্ত্ৰী।

রাজ্যের সরকারি ও প্ৰাদেশিকৃত কলেজ অধ্যক্ষদের এই সভায় ছাত্ৰদের হস্টেল মাশুলে ভরতুকি সম্পর্কে মন্ত্ৰী বলেন,সরকারি ও প্ৰাদেশিকৃত কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকা পড়ুয়াদের বছরে গড়ে ১৪ হাজার টাকা করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখন আমরা হস্টেল ভরতুকির ৫০ শতাংশ অর্থাৎ মাসে ৭ হাজার টাকা করে দেবো। এরফলে ২০ হাজার ছাত্ৰছাত্ৰী উপকৃত হবে। আমরা এই টাকা ছাত্ৰদের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করবো চলতি বছরের ফেব্ৰুয়ারির প্ৰথম সপ্তাহের মধ্যে। আগামি বছর থেকে এই হস্টেল ফি-র ভরতুকির পরিমাণ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে-জানান তিনি। মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্ৰদেরও হস্টেল ভরতুকি স্কিমের আওতায় আনার চেষ্টা আমরা করছি-উল্লেখ করেন শর্মা।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Anti-CAA protest by students at Tinsukia College

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com