গুয়াহাটিঃ রাজ্যের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে মোড় নিয়েছে। ১৭টি জেলার ৭০০-র বেশি গ্ৰাম এখন বন্যার কবলে। বানভাসি মানুষের সংখ্যা ৪ লক্ষ ছাপিয়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল বৃহস্পতিবার রাজ্যের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। তিনি জেলাশাসক এবং অন্যান্য সরকারি আধিকারিকদের পরিস্থিতির মোকাবিলায় সম্পূর্ণ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। গুয়াহাটি থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলাশাসক এবং বিভিন্ন সরকারি বিভাগের জেলা পর্যায়ের বরিষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও মত বিনিময় করেছেন মুখ্যমন্ত্ৰী। সোনোয়াল তাঁদের সম্পূর্ণ সতর্ক থাকার পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্ৰী বলেছেন,বন্যা দুর্গতদের প্ৰতি এই সংকটের মুহূর্তে যেন সমস্ত ধরনের সাহায্যের ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হয়। মুখ্যমন্ত্ৰী জেলাশাসকদের তাদের সংশ্লিষ্ট জেলায় বানভাসিদের প্ৰতি উপযুক্ত সাড়া দিতে অবিলম্বে কণ্ট্ৰোল রুম খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। ত্ৰাণ শিবিরগুলির অবস্থান সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্ৰী। জলবন্দি মানুষের কাছে ত্ৰাণ পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্ৰস্ত জেলাগুলিতে জীবজন্তুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছেন সোনোয়াল। বন্যাক্ৰান্তরা যাতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা পান সেই বিষটিও সুনিশ্চিত করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্ৰী।
জেলাশাসকদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্ৰী আরও বলেছেন,তাদের সংশ্লিষ্ট জেলায় যদি ডাক্তারের অভাব থাকে তাহলে জেলাশাসকরা যেন স্বাস্থ্য বিভাগের ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের ব্যবস্থা করেন। বন্যাক্ৰান্ত জীবজন্তুর রক্ষণাবেক্ষনের পাশাপাশি সেগুলির জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যের ব্যবস্থা করতেও জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে রাজ্যে জাপানি এনকেফেলাইটিস ও ম্যালেরিয়ার প্ৰাদুর্ভাবের জন্য ত্ৰাণ শিবিরে আশ্ৰিত মানুষের রক্তের নমুনা সংগ্ৰহ করতে স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন,যাতে দুর্গত মানুষজনকে এই সমস্ত রোগের আক্ৰমণ থেকে রক্ষা করা যায়।
জলবন্দিদের উদ্ধারের জন্য এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-কে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেছেন মুখ্যমন্ত্ৰী। জেলাশাসকদের সংশ্লিষ্ট জেলাপ্ৰশাসনের সঙ্গে ঘনঘন যোগাযোগ রাখার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। বন্যা কবলিত এলাকায় পুলিশ বাহিনীকে নিয়মিত টহলের ব্যবস্থা করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্ৰী,যাতে বন্যাক্লিষ্ট মানুষের সম্পত্তির সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়।
বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে কেউ যাতে দুর্ঘটনার শিকার হতে না পারে তার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্ৰী। বন্যায় কারো মৃত্যু হলে ক্ষতিগ্ৰস্ত পরিবারকে সঙ্গে সঙ্গে এককালীন সাহায্য দিতে জেলাশাসকদের বলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্ৰী।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ রাজ্যে বন্যা,ধসে ৩ জনের মৃত্যু,ক্ষতিগ্ৰস্ত দুই লক্ষের বেশি