রাজ্যে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৬৫ জনে দাঁড়াল,কমছে নদীর জলস্তর

রাজ্যে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৬৫ জনে দাঁড়াল,কমছে নদীর জলস্তর
Published on

গুয়াহাটিঃ রাজ্যে বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে চলতি মরশুমের প্ৰলয়ংকরী বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৫ জনে দাঁড়ালো। এরআগে ভূমিস্খলনে প্ৰাণ হারিয়েছিলেন ২ জন। রাজ্যপাল অধ্যাপক জগদীশ মুখি রবিবার আকাশ থেকে কাজিরঙা রাষ্ট্ৰীয় উদ্যানের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির খোঁজ নেন। উদ্যানে বর্তমানে ১৫৫ সেন্টিমিটার জল কমেছে। জানিয়েছেন ইস্টার্ন অসম ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার। গত ১৩ জুলাই থেকে উদ্যানের ৩৯টি শিবির বানভাসি হয়েছে এবং ১৮২টি বন্যপ্ৰাণীর মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে,রবিবার পর্যন্ত ব্ৰহ্মপুত্ৰের জলপৃষ্ঠ অনেকটাই হ্ৰাস পেয়েছে। তবে যোরহাটের নিমাতিঘাট ও ধুবড়িতে ব্ৰহ্মপুত্ৰের জলস্তর এখনও বিপদ চিহ্নের উপরেই রয়েছে। ওদিকে শোণিতপুর জেলার এনটি রোড ক্ৰসিঙে জিয়া ভরলি এবং নগাঁওয়ের ধরমতুলে কপিলী বিপদ চিহ্নের উপর দিয়েই বইছে।

বর্তমানে ১৮টি জেলার ৬৫টি রাজস্ব চক্ৰের ২৬৬৯টি গ্ৰামের মোট ৩৮,৩৭,৩৫৪ জন মানুষ বন্যার কবলে রয়েছেন। এরমধ্যে ১,১৫,৩৮৯ জন মানুষ ৬৫৮টি ত্ৰাণ শিবিরে আশ্ৰয় নিয়ে আছেন। বর্তমানে ক্ষতিগ্ৰস্ত জেলাগুলির তালিকায় আছে ধেমাজি,বিশ্বনাথ,দরং,বরপেটা,নলবাড়ি,চিরাং,বঙাইগাঁও,কোকরাঝাড়,ধুবড়ি,দক্ষিণ শালমারা,গোয়ালপাড়া,কামরূপ,কামরূপ(মেট্ৰো),মরিগাঁও,নগাঁও,গোলাঘাট,যোরহাট এবং কাছাড়। বন্যায় ১,৩৫,২২৬.৬৭ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। অন্যদিকে ৬২টি গবাদি পশু(কামরূপে ৫৫ এবং দরঙে ৭) বন্যার তোড়ে ভেসে গেছে। অসম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের এক রিপোর্টে এখবর জানানো হয়েছে। বিধ্বংসী বন্যায় ১৫১টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে এবং আংশিক ক্ষতি হয়েছে ২,৬০০টি ঘরের। ওদালগুড়ি জেলার বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে। বঙাইগাঁও জেলার বিজনি রাজস্ব চক্ৰের ১৫টি পরিবার ভাঙনে ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছেন।

যোরহাট,দরং এবং বিশ্বনাথ রোডে বাঁধের প্ৰভূত ক্ষতি হয়েছে। বরপেটা,দরং,হাইলাকান্দি,কাছাড়,ধুবড়ি,ওদালগুড়ি এবং দক্ষিণ শালমারায় সেতু,কালভার্টের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বরপেটায় কিছু সেতু ও কালভার্ট ভেসে গেছে। কার্বি আংলং এবং নগাঁওয়ে অন্যান্য পরিকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।

এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ কর্মীরা এবং সেনাবাহিনী,অসামরিক প্ৰশাসন এবং স্থানীয় মানুষ উদ্ধার অভিযানে নেমেছিলেন। ত্ৰাণ শিবিরগুলিতে সাহা্য্য অভিযান এখনও অব্যাহত আছে।

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com