গুয়াহাটিঃ রাজ্য সড়ক যোগা্যোগ ব্যবস্থা চাঙ্গা করে তুলতে বর্তমানে দুটো বড় ধরনের প্ৰস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। প্ৰস্তাবটি হচ্ছে গহপুর থেকে নুমলিগড় পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ ফোর লেন রোড কাম ব্ৰিজ প্ৰোজেক্ট। একটি প্ৰস্তাব হচ্ছে এই পথে ব্ৰহ্মপুত্ৰের উপর ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সেতু নির্মাণ এবং অন্যটি ব্ৰহ্মপুত্ৰের নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ অর্থাৎ টানেল নির্মাণ।
হাইওয়েটি ব্ৰহ্মপুত্ৰের উত্তর তীরে গহপুরর ৫২নং রাষ্ট্ৰীয় সড়ককে দক্ষিণ তীরের নুমলিগড়ের ৩৭নং রাষ্ট্ৰীয় সড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। কলিয়াবর তিনালি থেকে নগাঁও-ডিব্ৰুগড় ফোর লেন হাইওয়ে উত্তরপাড়ে ধোলাবাড়ি হয়ে গহপুর অবধি যাবে। এই পয়েণ্ট থেকে দেখলে হাইওয়েটি অবশেষে দক্ষিণে নুমলিগড়ের দিকে বাঁক নেবে।
মেসার্স লুইস বার্জার প্ৰকল্পের কনসালটেন্ট। রাষ্ট্ৰীয় সড়ক এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগম(এনএইচআইডিসিএল)কেন্দ্ৰীয় সরকারের ভারতমালা প্ৰকল্পের(বিএমপি)অধীনে প্ৰকল্পটি রূপায়ণ করবে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে প্ৰস্তাবিত সড়কটি কাজিরঙা রাষ্ট্ৰীয় উদ্যানের পুরো এলাকায় বাইপাসের ভূমিকা নেবে।
দ্য সেন্টিনেলের সঙ্গে কথা বলার সময় এনএইচআইডিসিএল-এর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর(এনই)অজয় আলুওয়ালিয়া বলেন,‘আমরা স্থল পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্ৰকের কাছে দুটো প্ৰস্তাবটি পাঠিয়েছি। এব্যাপারে মন্ত্ৰকই চূড়ান্ত মতামত দেবে’।
এই সড়কগুলোর অ্যালাইনমেন্ট ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে। মূল পরিকল্পনা মতে,চার লেন সড়ক এবং সড়কের ৩০ কিলোমিটার অংশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে আনুমানিক ৩,৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে। তবে কনসালটেন্ট দেরিতে হলেও ব্ৰহ্মপুত্ৰে টানেল নির্মাণের বিকল্প প্ৰস্তাব রেখেছে।
এদিকে সূত্ৰটি জানিয়েছে,উভয় প্ৰস্তাবের সম্ভাবনা সম্পর্কিত রিপোর্টে বলা হয়েছে,টানেল নির্মাণ খরচের পরিমাণ বেশি হবে সেতুর তুলনায়। তবে সেতুর চেয়ে টালেন নির্মাণে সময় কম লাগবে। আর টানেল নির্মাণের বিষয়টি অনুমোদন করা হলে ব্ৰহ্মপুত্ৰের নিচে এধরনের ব্যবস্থা এটাই হবে প্ৰথম।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ নতুন শরাইঘাট সেতু থেকে ব্ৰহ্মপুত্ৰে ঝাঁপ দিয়ে মহিলার আত্মহত্যা
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Security beefed up in Guwahati ahead of publication of final NRC