গুয়াহাটিঃ অসম সরকার বৃহত্তর অসমিয়া সমাজের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ঐতিহ্যপূর্ণ স্থান ও সম্পত্তিগুলি সংরক্ষণে আইন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এব্যাপারে এই প্ৰথম এধরনের একটি প্ৰক্ৰিয়া হাতে নেওয়া হচ্ছে। আইনের খসড়া প্ৰস্তুত করার জন্য অসম সরকারের প্ৰত্নতত্ত্ব বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই বিলটির নাম হবে ‘আসাম হ্যারিটেজ প্ৰিজারভেশন বিল’। নিম্নলিখিত বিষয়গুলি প্ৰস্তাবিত এই আইনের আওতায় আনা হবে। প্ৰত্নতত্ত্ব বিভাগ এবং ভারতীয় প্ৰত্নতত্ত্ব জরিপ বিভাগের অধীন পুরনো সৌধগুলিকে এই আইনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাছাড়া রাজ্যের যে সমস্ত সত্ৰ,মন্দির,অন্যান্য উপাসনা স্থল,মুদ্ৰা,তাম্ৰ ফলক,সাঁচিপাত ও অন্যান্য যে সমস্ত সামগ্ৰী আজও অবধি চিহ্নিত করা হয়নি সেগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে এই আইনের আওতায়। সাঁচিপাত হচ্ছে আগর গাছের ছালে হাতে লেখা লিপি।
দ্য সেন্টিনেলের সঙ্গে কথা বলার সময় রাজ্যের প্ৰত্নতত্ত্ব বিভাগের মন্ত্ৰী কেশব মহন্ত বলেন,বিলটি সরকারের সক্ৰিয় বিবেচনায় রয়েছে। গত ২১ ডিসেম্বর ক্যাবিনেট বৈঠকে বিলের গুরুত্ব নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে। ‘২০২০ সালের বিধানসভার বাজেত অধিবেশনের সময় আমরা বিলটি পেশ করার চেষ্টা করবো’। প্ৰত্নতত্ত্ব বিভাগের মন্ত্ৰীর পৌরোহিত্যে খসড়া বিলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সম্প্ৰতি প্ৰাথমিক পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। প্ৰত্নতত্ত্ব সঞ্চালকালয়,দ্য ডিরেক্টরেট অফ মিউজিয়াম এবং শিক্ষা বিভাগের অধীন ইতিহাস এবং প্ৰত্নতত্ত্বীয় প্ৰতিনিধিরা ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্ৰী প্ৰস্তাবিত আইনটি নিয়ে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এবং সত্ৰ ও পুরোহিত শ্ৰেণির প্ৰতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ‘গুপ্তহত্যা মামলায় হাইকোর্ট আমাকে ক্লিনচিট দিয়েছে’: প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Public meeting on Protection of the indigenous communities held in Tinsukia