গুয়াহাটিঃ ভারতের ট্ৰ্যাকের রানি ধিং এক্সপ্ৰেস হিমা দাস তাঁর সাফল্যের মুকুটে আরও একটা পালক জুড়লেন। দেশের জন্য বয়ে আসলেন আরও একটা গৌরব। পোল্যান্ডে পোজনান অ্যাথলেটিক্স গ্ৰা প্ৰিতে মহিলাদের ২০০ মিটার দৌড়ে স্প্ৰিনটার হিমা দাস সোনা জেতেন। পোল্যান্ডের এই প্ৰতিযোগিতায় ভারতের আরও একজন শট পুটার তেজিন্দর পাল সিং টুর ব্ৰোঞ্জ জিতে দেশের সুনাম বাড়ান।
অসম তনয়া হিমা বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন এবং ৪০০ মিটারে দৌড়ে জাতীয় রেকর্ডধারী। পিঠে আঘাতের জন্য বেশ কিছুদিন বিশ্ৰামে ছিলেন হিমা। মাঝখানে বিশ্ৰামের জন্য হিমাকে সমালোচকদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। তবে পোজনান অ্যাথলেটিক্স গ্ৰা প্ৰিতে ফর্মে ফিরে সমালোচনাদের মুখ বন্ধ করে দিলেন এই অ্যাথলিট।
২০০ মিটার ট্ৰ্যাকে হিমা তাঁর প্ৰতিদ্বন্দ্বীকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যান রেকর্ড টাইমে। সময় নেন ২৩.৬৫ সেকেন্ড। উল্লেখ্য যে,পিঠে আঘাতের জন্য বিশ্ৰামে থাকার পর এই প্ৰথম ট্ৰ্যাকে ফিরে সোনা জিতলেন হিমা। ২০০ মিটারে তাঁর ব্যক্তিগত রেকর্ড ছিল ২৩.১০ সেকেন্ড,যা তিনি গত বছর করেছিলেন। অনেক দিন পর হিমা তাঁর প্ৰতিদ্বন্দ্বীকে পিছনে ফেলে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে যান।
এই একই ইভেন্টে হিমার সঙ্গে ট্ৰ্যাকে ছিলেন আরও একজন ভারতীয় দৌড়বিদ। তিনি ভিকে বিষমায়া। ২০০ মিটার দৌড়ে বিষমায়া তৃতীয় স্থান পান। দৌড় শেষ করেন ২৩.৭৫ সেলেন্ড সময় নিয়ে।
এই প্ৰতিযোগিতায় অন্যান্য ভারতীয় প্ৰতিযোগীদের মধ্যে যারা উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স করেছেন তাদের মধ্যে আছেন এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন টুর। শর্টপুটে পুরুষদের ইভেন্টে টুর ব্ৰোঞ্জ জিতেছেন। ১৯.৬২ মিটার দূরে শর্টপুট নিক্ষেপ করেন তিনি। গত বছর এশিয়ান গেমসে ২০.৭৫ মিটার দূরে শর্ট পুট ছুঁড়ে জাতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন টুর।
আরও একজন ভারতীয় মুহম্মদ আনাম পুরুষদের ২০০ মিটার দৌড়ে তৃতীয় স্থান পেয়েছেন। দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ২০.৭৫ সেকেন্ড। পুরুষদের ৪০০ মিটার দৌড়ে ভারতীয় অ্যাথলিট কেএম জীবন ব্ৰোঞ্জ জিতেছেন ৪৭.২৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে।
তবে সুখের কথা এটাই যে ভারতের স্টার স্প্ৰিন্টার হিমা দাস ট্ৰ্যাকে ফিরে আসার যে চমক দেখালেন তা তার সমালোচকদের মুখ বন্ধ করার এক স্পষ্ট সঙ্কেতই বলা যায়। হিমা এটা বুঝিয়ে দিয়েছেন,ট্ৰ্যাকে শাসন করার মতো যথেষ্ট ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। তাই যে কেউ তাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে পার পেয়ে যাওয়াটা কঠিন ব্যাপার।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ২০০ ও ৪০০ মিটারে সোনা জয়ী হিমা দাসকে সংবর্ধনা রাজ্যপালের