গুয়াহাটিঃ ‘সম্প্ৰতি অসম বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে বিদেশি চিহ্নিতকরণ ও বহিষ্কারে অসম চুক্তির ভিত্তি বছর নিয়ে অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা সদনকে ভুল পথে পরিচালিত করেছেন’। এই অভি্যোগ করেছেন রাজ্যের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ। বৃহস্পতিবার নিজের সরকারি বাসভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী। গগৈ বলেন,অসম চুক্তির ভিত্তি বছর এবং কাট অফ ডেট নিয়ে শর্মা সদনে ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। শর্মা বলেছেন,অসম চুক্তি অনু্যায়ী ১৯৬৬ সালই বিদেশি শনাক্তের ভিত্তি বছর। ওই ভিত্তি বছর অনু্যায়ী,বিদেশিদের নাম দশ বছরের জন্য ভোটার তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলা এবং এরপর আবার তাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবার কথা ছিল। অথচ অসম চুক্তি মতে,বিদেশি চিহ্নিতকরণ ও বহিষ্কারে ভিত্তি বছর ধরা হয়েছে ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ। মন্ত্ৰী শর্মা এই দুটো তারিখ নিয়ে সদনে ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন-উল্লেখ করেন গগৈ।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(ক্যা)রূপায়িত হলে যে সমস্ত হিন্দু বাংলাদেশিরা নাগরিকত্ব পাবেন তাদের সংখ্যা কোনওভাবেই ৫ লাখের বেশি হবে না বলে শর্মা যে বিবৃতি দিয়েছেন সে সম্পর্কে গগৈ বলেন,শর্মা ওই সংখ্যাটি কোথায় পেলেন এবং কখন এই ৫ লক্ষ হিন্দু বাংলাদেশি অসমে ঢুকলো? মুখ্যমন্ত্ৰী হিসেবে আমার ১৫ বছরের শাসনকালে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে রাজ্যে আসা একজনও ব্যক্তির কাছ থেকে আমি কোনও আবেদন পাইনি। এর থেকে এটা প্ৰমাণিত যে আমার শাসনকালে ধর্মীয় উৎপীড়নের শিকার হয়ে কোনও ব্যক্তি অসমে ঢোকেনি। কবে,কখন ওই পাঁচ লাখ লোক অসমে এসেছে? ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে অসমে আসা হিন্দু লোকেদের নাগরিকত্ব চেয়ে কতটি আবেদন জমা পড্ৰেছে সরকারকে জনসমক্ষে তা প্ৰকাশ করতে হবে-বলেন তরুণবাবু।
অসমে নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার যে প্ৰস্তাব উঠেছে সে সম্পর্কে গগৈ বলেন,‘২০২১ সালে কংগ্ৰেসকে বাদ দিয়ে কোনও দলই অসমে সরকার গড়তে পারবে না। যদি কোনও সংগঠন নতুন দল গড়ার চেষ্টা করে থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে মিলে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে আমরা প্ৰস্তুত আছি। যেহেতু ক্যা ইস্যুতে আমরা একজোট। এমনটা হলে আমি নিশ্চিত যে ২০২১-এর নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হবেই-বলেন গগৈ।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ এনডিএফবি(এস)-কে শান্তি আলোচনায় ডাকার কেন্দ্ৰীয় প্ৰস্তাবকে স্বাগত জানালো আবসু
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Watch Bhogali Bihu preparation from Guwahati ahead ‘Uruka’ (Night before Magh Bihu)