অসমে এলে প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদিকে ব্যাপক প্ৰতিবাদের মুখে পড়তে হবেঃ আসু

অসমে এলে প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদিকে ব্যাপক প্ৰতিবাদের মুখে পড়তে হবেঃ আসু
Published on

গুয়াহাটিঃ প্ৰধানমন্ত্ৰী নরন্দ্ৰ মোদি ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠেয় ‘খেলো ইন্ডিয়ার’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এখানে এলে তাঁকে তীব্ৰ প্ৰতিবাদের মুখে পড়তে হবে। এই সতর্ক বার্তা সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থার(আসু)। আগামি ৫ জানুয়ারি এখানে অনুষ্ঠেয় টি-২০ ক্ৰিকেট ম্যাচের দিকেও আসু তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে। মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল নাগরিকত্ব আইনের ফলে নগণ্য সংখ্যক হিন্দু বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পাবেন বলে উল্লেখ করেছেন। অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছেন রাজ্যের ৫ লক্ষ বাংলাদেশি হিন্দু নাগরিকত্ব পেতে পারেন। মুখ্যমন্ত্ৰী ও অর্থমন্ত্ৰী নাগরিকত্ব পেতে পারেন এমন হিন্দু বাংলাদেশির যে সংখ্যা দাবি করছেন তার উৎস জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য আসু তাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। আসু এই বলেও সতর্ক করেছে,নতুন নাগরিকত্ব আইন রদ করার জন্য জনপ্ৰতিনিধিদের ওপর চাপের বহর আরও বৃদ্ধি করা হবে। রবিবার এখানে প্ৰচার মাধ্যমের কাছে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের শীর্ষ ছাত্ৰ সংগঠনটি তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরে। আসুর মুখ্য উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেন,‘স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহ ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(ক্যা)রূপায়ণ করা হলে অসম সহ উত্তর পূর্ব ভারত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্ৰস্ত হবে। এই বিষয়টি বিবেচনা করে কেন্দ্ৰের অবিলম্ব এই আইনটি রদ করা উচিত’।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(ক্যা)সংসদে পাস হওয়ার পরবর্তী পর্যায়ে যে সমস্ত হিন্দু বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পাবেন তার সংখ্যা নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে ভিন্ন বিবৃতি দিয়ে বিভ্ৰান্তি ছড়ানো হয়েছে। এই প্ৰসঙ্গটি তুলে আসু নেতা বলেন,মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেছেন ক্যার দৌলতে নগণ্য সংখ্যক হিন্দু বাংলাদেশি উপকৃত হতে পারেন। অন্যদিকে ক্যাবিনেট মন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছেন এই সংখ্যা ৫ লক্ষ হতে পারে। সদ্য প্ৰকাশিত রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জির(এনআরসি)তালিকাকে ভিত্তি করে যদি অর্থমন্ত্ৰী শর্মা এই সংখ্যা পেয়েছেন তাহলে সেটা গ্ৰহণযোগ্য নয়। অথচ রাজ্যের বর্তমান বিজেপি সরকারই বলেছে এই এনআরসি মানা হবে না। তাই আমরা সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি যে সংখ্যাটা সরকার দাবি করছে তার উৎস তারা কোথায় পেলো তা জন সমক্ষে তুলে ধরা হোক। রাজ্যে সম্প্ৰতি ক্যার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্ৰতিবাদে পুলিশের গুলি চালনার জন্য সরকারকে দোষারোপ করে তিনি বলেন,নিরীহ মানুষকে হত্যা করার পর এখন শান্তির কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছে সরকার। পদযাত্ৰা,মিছিল করে শান্তি ফেরানো যাবে না। শান্তি তখনই ফিরবে যখন ক্যা পুরোপুরি বাতিল করা হবে-বলেন আসু নেতা।

আসুর সভাপতি দীপাঙ্ক কুমার নাথ আসু ও ৩০টি জাতীয় সংগঠনের ক্যা বিরোধী পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচিও ঘোষণা করেন এদিন। তিনি বলেন,‘প্ৰতিবাদ সমাবেশ,মিছিল ইত্যাদি চলবে।

৩১ ডিসেম্বর প্ৰতিটি পরিবারের একজন করে সদস্যকে ক্যার বিরোধিতা শপথ নিতে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি। ৩ ডিসেম্বর সারা অসম কর্মচারী পরিষদের(এসএকেপি)আন্দোলন কর্মসূচির প্ৰতি আমাদের সমর্থন রয়েছে’। নতুন বছরের ১ জানুয়ারি ক্যা শহিদদের স্মরণে রাজ্যের প্ৰতিটি এলাকায় প্ৰদীপ প্ৰজ্বলন কর্মসূচি পালন করা হবে। ৩ জানুয়ারি সব জেলা এবং মহকুমা সদরে বের করা হবে মশাল মিছিল। ৯ জানুয়ারি রাজ্যের জনস্থানগুলিতে পালিত হবে রণশিঙ্গা। বরতাল,শঙ্খ,ঘন্টা এবং নাগারা নিয়ে ক্যার বিরুদ্ধে জানানো হবে প্ৰতিবাদ। ‘ফের ১১ জানুয়ারি বের করা হবে মশাল মিছিল। ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি উরুকা ও মাঘ বিহুর দিন ক্যা-র প্ৰতিলিপি পোড়াতে আমরা জনগণকে আবেদন জানাচ্ছি’।

আসুর সাধারণ সম্পাক লুরিনজ্যোতি গগৈ বলেন,নাগরিকত্ব পেতে পারেন এমন হিন্দু বাংলাদেশির সংখ্যা নিয়ে সরকার জনগণকে বিভ্ৰান্ত করার চেষ্টা করছে। তবে মূল কথা হলো অসম একজনও বিদেশির বোঝা কাঁধে নেবে না-বলেন গগৈ।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Cotton University Students take out postering campaign as a gesture of protest against CAA 2019

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com