গুয়াহাটিঃ সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা(আসু)অসমে ইনারপাইন পারমিট(আইএলপি)চালু করার দাবি জানিয়েছে। রাজ্যকে আইএলপির আওতায় আনতে ব্যর্থতার জন্য আসু কেন্দ্ৰ ও রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছে। আসু বলেছে,‘বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(ক্যা)২০১৯ যখন সংসদে পাস করা হলো সে সময় কেন্দ্ৰীয় সরকার আইএলপির বিধি ব্যবস্থায় আনার ক্ষেত্ৰে অসমকে বঞ্চিতই করেছে। আসুর মুখ্য উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য উল্লেখ করেন,‘বেঙ্গল ইন্টার্ন ফ্ৰন্টিয়ার রেগুলেশন-১৮৭৩’ অনু্যায়ী অসমের তদানীন্তন অবিভক্ত জেলাগুলিতে বিশেষ করে কামরূপ,দরং,নগাঁও,শিবসাগর,লখিমপুর(গারো হিলস),খাসি এবং জয়ন্তিয়া পাহাড়,নাগা পাহাড় এবং কাছাড়ে আইএলপি অত্যন্ত প্ৰাসঙ্গিকই ছিল,কিন্তু এটা রূপায়ণ করা হয়নি’।
অসমকে আইএলপি-র আওতায় না এনে কি অসমের মারাত্মক ক্ষতি করা হয়নি সে ব্যাপারে একটি সরকারি বিবৃতি ইস্যু করার জন্য রাজ্য সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন আসু নেতা। অরুণাচল প্ৰদেশ,মিজোরাম,মণিপুরে ইনারলাইন পারমিট বহাল রয়েছে। ওই রাজ্যগুলোতে ক্যা প্ৰযোজ্য হচ্ছে না। প্ৰযোজ্য হচ্ছে না ষষ্ঠ তফশিলভুক্ত এলাকাগুলোতেও। ভট্টাচার্য বলেন,‘অসমের বর্তমান পরিস্থিতির প্ৰেক্ষিতে ওই রেগুলেশনের পরিসর বৃদ্ধি করে গোটা অসমকে ইনার লাইন পারমিটের আওতায় আনতে আমরা চাপ দিচ্ছি। কেন্দ্ৰীয় সরকার চাইলেই এটা করতে পারে। মণিপুর যদি আইএলপি-র আওতায় আসতে পারে তাহলে অসমও সেটা পাওয়ার যোগ্য। আসু এবং উত্তরপূর্ব ছাত্ৰ সংগঠন(নেসো)অসম সহ গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলকে আইএলপি আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে এটা আজ অবধি করা হয়নি।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ অসমে এলে প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদিকে ব্যাপক প্ৰতিবাদের মুখে পড়তে হবেঃ আসু
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Cotton University Students take out postering campaign as a gesture of protest against CAA 2019