গুয়াহাটিঃ রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা সোমবার রাজ্য বিধানসভায় জানিয়েছেন যে তাঁর বিভাগ জাপানি এনকেফেলাইটিসের(জেই)বিরুদ্ধে প্ৰতিষেধক অভিযান শুরু করবে। আগামি ১ নভেম্বর থেকে এই রোগের বিরুদ্ধে প্ৰতিষেধক অভিযান শুরু করা হবে-বলেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী শর্মা এই বলেও সতর্ক করে দেন যে জাপানি এনকেফেলাইটিস রাজ্যে মহামারির আকার নিতে পারে।
শর্মা বলেন,রাজ্যে জাপানি এনকেফেলাইটিসের প্ৰাদুর্ভারের বিষয়টি কেন্দ্ৰ ও রাজ্য উভয় সরকারই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এই রোগের কবল থেকে মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপও গ্ৰহণ করা হয়েছে। ‘২০০৬ সালে আমি যখন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী ছিলাম ওই সময় গোটা রাজ্যের পাঁচটি জেলা ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছিল’। বর্তমানে এই রোগ রাজ্যের ২৭টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। আগামি দিনে আরও কিছু জেলা এই রোগের মুখে পড়তে পারে। এমন কি জাপানি এনকেফেলাইটিস রাজ্যে মহামারির আকারে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে শর্মা উল্লেখ করেন।
শর্মার মতে,‘চলতি বছরে এপর্যন্ত ১২৫ জনের জীবন কেড়ে নিয়েছে ঐ রোগ ব্যাধি। তবে যথা সময়ে প্ৰতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করায় তুলনামূলকভাবে শিশু মৃত্যুর হার অনেকটাই ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। প্ৰতিষেধক টিকা দেওয়ার অভিযানের সাফল্যের জন্যই মৃত্যুর হার রোখা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন’।
শর্মা বলেন,২০১৬ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সরকার প্ৰাপ্ত বয়স্কদের প্ৰতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট একটি সম্প্ৰদায়ের ভুল ধারণার জন্য প্ৰতিষেধক টিকা দানে অন্তরায়ের সৃষ্টি হয়।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে জাপানি এনকেফেলাইটিসে আক্ৰান্ত প্ৰাপ্তবয়স্কদের মৃত্যু হওয়ার প্ৰধান কারণ হলো ওই সব এলাকায় প্ৰতিষেধক টিকা দেওয়ার অভিযান সফল হতে না দেওয়া। জাপানি এনকেফেলাইটিসের কোনও চিকিৎসা নেই। প্ৰতিষেধক টিকাই এই রোগ প্ৰতিরোধের মোক্ষম দাওয়াই।
শর্মা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ধুবড়ি,বরপেটা,দরং,বঙাইগাঁও ও গোয়ালপাড়ার বিধায়কদের উদ্দেশে আর্জি জানিয়ে বলেন,তাঁরা যেন নিজেদের কেন্দ্ৰগুলিতে গিয়ে মানুষজনকে বুঝিয়ে শুনিয়ে প্ৰতিষেধক টিকা নিতে রাজি করান।
স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী আরও বলেন,এনকেফেলাইটিস ঠেকাতে পরবর্তী প্ৰতিষেধক টিকা দেওয়ার অভিযান ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। সরকার এই উদ্দেশ্যে সব বিধায়কদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে প্ৰতিষেধক টিকা দেওয়ার অভিযান সফল করে তুলতে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ জাপানি এনকেফেলাইটিসের ক্ষেত্ৰে অত্যন্ত স্পর্শকাতর রাজ্যের রূপ নিয়েছে অসম