গুয়াহাটি মেট্ৰো রেলঃ আর্থিক দিকটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি

গুয়াহাটি মেট্ৰো রেলঃ আর্থিক দিকটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি
Published on

গুয়াহাটিঃ গুয়াহাটিতে প্ৰস্তাবিত রেল-বেইসড মাস রেপিড ট্ৰ্যান্সপোর্ট সিস্টেম(এমআরটিএস)অথবা মেট্ৰো রেল স্থাপন নিয়ে রাজ্য সরকার পরিবহণের পন্থা এবং সেই সঙ্গে আর্থিক দিকটি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। বুধবার রাইটসের(রেলওয়ে ইনফ্ৰাস্ট্ৰাকচার টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিসেস)একটি দল দিশপুরে গুয়াহাটি উন্নয়ন বিভাগের(জিডিডি)মন্ত্ৰী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যের কার্যালয়ে তাঁর কাছে প্ৰস্তাবিত গুয়াহাটি এমআরটিএস সম্পর্কে একটি নমুনা উপস্থাপন করে। রাইটস এমআরটিএসের তিনটি মোড প্ৰদর্শন করেছে। এই মোড বা পন্থাগুলো হচ্ছে ‘মেট্ৰো রেল’,‘দ্য মেট্ৰোলাইট সিস্টেম’ এবং ‘দ্য এলিভেটেড বাস রেপিড সিস্টেম’। গুয়াহাটি এমআরটিএস(মেট্ৰো)-এর জন্য রাইটস চারটি করিডর চিহ্নিত করেছে।

রাইটসের এই উপস্থাপনার পর মন্ত্ৰী ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন,‘গুয়াহাটি এমআরটিএস প্ৰকল্পের জন্য আমরা একধাপ এগিয়ে গেছি’। চিহ্নিত চারটি করিডর সম্পর্কে একটি ক্যাবিনেট নোট প্ৰস্তুত করবে। ‘রাইটস আমাদের যে তিনটি পন্থা বা মোড দেখিয়েছে তার প্ৰত্যেকটির আর্থিক খরচ খরচার বিষয়টি ক্যাবিনেট নোটের আওতায় আসবে। আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত চারমাস সময়ের মধ্যে রাইটসকে জানাবো’।

গুয়াহাটিতে এমআরটিএস প্ৰকল্পের গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক দিকটি সম্পর্কে মন্ত্ৰী ভট্টাচার্য উল্লেখ করেন। নির্বাচিত প্ৰকল্পটির জন্য আমরা জেআইসিএ(জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি)-এর মতো কোনও আন্তর্জাতিক তহবিল সংস্থা,এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক(এডিবি)এবং বিশ্ব ব্যাংক ইত্যাদির দ্বারস্থ হবার কথা ভাবছি। তিনি আরও বলেন,‘আমরা আশা করছি,ভারত সরকার,ডিপিআর অনুমোদন করার পর ছমাসের মধ্যে প্ৰকল্পের কাজে হাত দেওয়া যেতে পারে।

উল্লেখ্য,কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰিসভা শুধু সম্পূর্ণ বিস্তারিত প্ৰকল্প রিপোর্টই(ডিপিআর)অনুমোদন করে এমন নয়,সারা দেশে এজাতীয় প্ৰকল্পের আর্থিক দিকটিরও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে থাকে।

২০১৬ সালের ২৩ ফেব্ৰুয়ারি রাজ্য মন্ত্ৰিসভা গুয়াহাটি মেট্ৰোরেল কর্পোরেশন লিমিটেড(জিএমআরসিএল)গঠন করেছিল। এর পরই তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ ২০১৬-র ২৯ ফেব্ৰুয়ারি গুয়াহাটিতে মেট্ৰো রেল প্ৰকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন।

২০১৬-তেই পরে দিশপুরের শাসন ক্ষমতায় পরিবর্তন ঘটে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার দিশপুরের ক্ষমতায় আসার পর তারা গোটা প্ৰকল্পটির নকশা পরিবর্তন করে। তারা রাইটসকে বিস্তারিত প্ৰকল্প রিপোর্ট(ডিপিআর)প্ৰস্তুত করতে বলে। ২০১৩-২০১৫-র সার্ভে এবং ট্ৰাফিক স্টাডির ডাটার ওপর ভিত্তি করে ডিপিআর প্ৰস্তুত করা হয়। ২০১৭ সালে তারা ডিপিআরটি রাজ্য সরকারের কাছে দাখিল করে। ভারত সরকারের আবাসন ও নগর উন্নয়ন মন্ত্ৰক(এমওএইচইউএ)ঘোষণা করেছিল দেশে এধরনের প্ৰকল্পের জন্য ‘সিএমপি’ এবং ‘এএ’ ডিপিআর-এর সঙ্গে দাখিল করতে হবে। সিএমপি হচ্ছে কমপ্ৰিহেনসিভ মোবিলিটি প্ল্যান এবং ‘এএ’ হচ্ছে ‘অলটারনেটিভ অ্যানালাইসিস’। রাইটস বাধ্যতামূলক দুটো রিপোর্টই প্ৰস্তুত করেছে,যা এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Poster, Song and Teaser for the upcoming movie ‘Pratighat’ released Yesterday.

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com