গুয়াহাটিঃ উত্তর পূর্ব গণতান্ত্ৰিক জোটের(এনইডিএ)সদস্যরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় একজোট হয়ে লড়ার সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। উত্তর পূর্বাঞ্চলকে দেশের মধ্যে একটা সমৃদ্ধশালী অঞ্চলে রূপান্তর করাও নেডার লক্ষ্য। সোমবার এখানে নেডার চতুর্থ সম্মেলনে আহ্বায়ক হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন,উত্তর পূর্বাঞ্চলের আট অকংগ্ৰেসি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰীরা এই সম্মেলনে এক অভিন্ন মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন যা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
‘আমার এখনও ২০১৬ সালের সেই দিনটি মনে আছে যখন বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিজেপির রাষ্ট্ৰীয় সভাপতি অমিত শাহ উত্তর পূর্বাঞ্চলকে কংগ্ৰেস মুক্ত করার কথা বলেছিলেন। নেডার জন্মের মাধ্যমে তাঁর সেই আকাঙ্খা পূরণ হয়েছে। আজ শাহজির সেই ভাবনা বাস্তব রূপ নিয়েছে এবং গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলে এখন অকংগ্ৰেসি দলগুলিই শাসন করছে’-বলেন শর্মা। উত্তর পূর্বাঞ্চলে অকংগ্ৰেসি দলগুলির একটা ছত্ৰ সংগঠন হচ্ছে নেডা। ২০১৬ সালে নেডা গঠিত হয়েছিল।
শর্মা বলেন,নেডার শরিকরা যবে থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের আট রাজ্য শাসন করছে,সেইহেতু অভিন্ন লক্ষ্যে পৌঁছতে এবং সব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার সময় এসে গেছে। ‘উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো কেন নিজেদের মধ্যে লড়াই করবে? উত্তর পুবের মানুষের জন্য কিছু করার সময় এটা। আসুন আমরা আমাদের সীমানা বিবাদ নিজেরাই মিটিয়ে ফেলি এবং যুবকদের মধ্যে মাদকাশক্তি এবং অন্যান্য অপরাধ প্ৰবণতা রোধ সংক্ৰান্ত চ্যালেঞ্জগুলির বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়াই করি’-বলেন নেডার আহ্বায়ক। শর্মার সঙ্গে সুর মিলিয়ে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্ৰী কনরাড সাংমা বলেন,মানুষ এই অঞ্চল শাসন করার জন্য অকংগ্ৰেসি দলগুলোকে একটা সু্যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন,নেডার শরিকরা এই ধরনের সু্যোগ হাতছাড়া করলে তা দুর্ভাগ্যজনকই হবে। ‘নেডার নেতারা বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে বছরে একাধিক বার বৈঠকে বসা উচিত’-বলেন সাংমা।
সিকিম সহ অন্যান্য সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰীরাও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং ইস্যুগুলি নিয়ে একজোট হয়ে কাজ করার ব্যাপারে তাঁদের সদিচ্ছা ব্যক্ত করেন।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহ বলেন,নেডা কোনও রাজনৈতিক আশা আকাঙ্খা পূরণের জন্য গঠিত হয়নি। তিনি বলেন,এ ধরনের অকংগ্ৰেসি মঞ্চ গঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে উত্তর পূর্বাঞ্চলের অপূর্ব ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মাধ্যমে পুরো অঞ্চলটিকে ঐক্যবদ্ধ করে রাখা।
‘বিজেপি উত্তর পূর্বাঞ্চলকে ভারতের উন্নতির নতুন চালিকা শক্তি হিসেবে মনে করে। আমাদের কাছে এই অঞ্চল কোনও রাজনৈতিক লক্ষ্য নয় বরঞ্চ লক্ষ্য উন্নয়নের। এরই পরিপ্ৰেক্ষিতে এই অঞ্চলের বিভিন্ন ইস্যু এবং চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় নেডা একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে’-বলেন শাহ।
স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী আরও বলেন,বার্ষিক বন্যা এবং পর্যটন উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্ৰে যৌথ পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিতে পারে নেডা। তিনি উল্লেখ করেন,আন্তঃরাজ্য সীমান্ত বিরোধ,ড্ৰাগস এবং মানুষ পাচার ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে অস্ত্ৰ সরবরাহ ইত্যাদি ইস্যুর সমাধানে কেন্দ্ৰ উচ্চ অগ্ৰাধিকার দিচ্ছে।
নেডার আহ্বায়ক হিমন্তবিশ্ব শর্মা পরে সাংবাদিকদের বলেন,শাহ উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্ৰীদের আশ্বাস দিয়েছেন ২০২২ সালের মধ্যে আন্তঃরাজ্য সীমান্ত বিরোধ মিটিয়ে ফেলা হবে যখন দেশ পালন করবে তার ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ক্যাব উত্তরপূর্বের অস্তিত্বে কোনও আঘাত হানবে নাঃ অমিত
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: All Assam Garia Maria Desi Jatiya Parishad staged sit-in demonstration over NRC in Guwahati